মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ঘর নির্মাণ না করেই বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করে নেয়া হয়েছে। পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার দরীদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৫টি গৃহহীন পরিবারকে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ৫টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয় ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা করে। মোট বরাদ্দ দেয়া অর্থের পরিমাণ ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া মালামাল পরিবহনের জন্য প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ দেয় হয় ৫ হাজার টাকা। এই ঘরসমূহ তৈরি করার দায়িত্ব ছিল সাঁথিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির ওপর। যার সভাপতি ছিলেন নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ। ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন মায়া রানী দাস গোবিন্দ চন্দ্র দাস, সিপন চন্দ্র দাস, অমরেশ চন্দ্র দাস ও কর্মচন্দ্র দাস। তারা ঋষি ও রাই সম্প্রদায়ের লোক।
সরেজমিন বাড়িগুলোর কি অবস্থা তা দেখতে কয়েকজন সাংবাদিক শুক্রবার (১২ আগস্ট) ও শনিবার (১৩ আগস্ট) গিয়েছিলেন নাগডেমড়া, কাশিনাথপুর এবং করমজা গ্রামে। নাগডেমড়া গ্রামের মায়া রানী দাসের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, ঘরের দেয়াল গাঁথা হয়েছে তবে প্লাস্টার হয়নি। অসমাপ্ত রয়েছে বারান্দার পিলার তৈরি, উপরের টিনের ছাউনি হয়নি। দরজা, জানালা এবং মেঝের কাজ কিছুই হয়নি। মায়া রানী বললেন, রাজমিস্ত্রি কাজ করে কিন্তু তার সঙ্গে কোন শ্রমিক থাকে না। শ্রমিকের কাজ করতে হয় মায়া রানীর ছেলেকে। ইট-বালু, খোয়া-সিমেন্ট নৌকা ও মাথায় করে নির্মাণ স্থলে আনতে হয় আমার ছেলেকে। এজন্য কোন পারিশ্রমিক প্রদান করা হয় না। একই কথা বললেন অমরেশ চন্দ্র দাস ও কর্ম চন্দ্র দাস। অমরেশ এবং কর্ম চন্দ্র শ্রমিকের কাজ করেন রাজমিস্ত্রীর সঙ্গে। এর বিনিময়ে তারা কোন পারিশ্রমিক পাননি। তারা আরও বললেন, কাজের জন্য তারা দুই ভাই মিলে একটি পানির পাম্প মেশিন কিনেছেন। এই পাম্প মেশিনের বিদ্যুৎ বিলও তাদের পরিশোধ করতে হচ্ছে। অমরেশ ও কর্ম চন্দ্রের ঘর দুটির কাজ অসমাপ্ত পড়ে আছে। টিনের চালার ছাউনি লাগানো হয়েছে। বারান্দার কাজ, দরজা, জানালা মেঝের ঢালাই ও প্লাস্টারের কাজ হয়নি। করমজা গ্রামের গোবিন্দ ও সিপনের বাড়ির কাজ এখনও পুরোপুরি হয়নি। যেনতেন প্রকারে মেঝের ঢালাই করা হয়েছে। দরজা-জানালার সিআই সিট খুবই নিম্নমানের।
প্রকল্পটির কাজ করেন সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (সদ্য বদলি হয়ে যাওয়া) এসএম জামাল আহমেদ। তিনি প্রকল্পের সমুদয় টাকা উত্তোলন করেন গত ২৭ জুন। ইউএনওর পক্ষে এই প্রকল্পের কাজ করেন বেড়া উপজেলার সানিলা গ্রামের এমএন আসিফ ওরফে বাবু। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি ৫টি ঘর নির্মাণের সমুদয় টাকা পেয়েছি। তিনি আরও বলেন, কাজ প্রায় শেষ। যদিও সাংবাদিকরা কাজের অগ্রগতির পরিস্থিতি দেখেছেন। তিনি প্রতিটি ঘরের জন্য পেয়েছেন ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা।
এ ব্যাপারে পাবনা জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বলেন, ‘জুন ফাইনালের জন্য তো অসমাপ্ত কাজের অব্যহৃত টাকা উত্তোলন করে রাখতেই হয়েছে।’ তবে এই টাকা কোন তহবিলে গচ্ছিত আছে তার সদুত্তোর তিনি দেননি।
বিষয়টি সম্পর্কে বদলি হয়ে যাওয়া টাকা উত্তোলন করা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল অহমেদর মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সাঁথিয়ার বর্তমান (সদ্য যোগদানকারী) উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুদ হোসেন অসমাপ্ত ঘরসমূহের কাজ পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, ‘আমি কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে (এমএন আসিফ) ২০ আগস্টের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করার নির্দেশ প্রদান করেছি।’
শনিবার, ১৩ আগস্ট ২০২২
মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ঘর নির্মাণ না করেই বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করে নেয়া হয়েছে। পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার দরীদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৫টি গৃহহীন পরিবারকে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ৫টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয় ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা করে। মোট বরাদ্দ দেয়া অর্থের পরিমাণ ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া মালামাল পরিবহনের জন্য প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ দেয় হয় ৫ হাজার টাকা। এই ঘরসমূহ তৈরি করার দায়িত্ব ছিল সাঁথিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির ওপর। যার সভাপতি ছিলেন নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ। ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন মায়া রানী দাস গোবিন্দ চন্দ্র দাস, সিপন চন্দ্র দাস, অমরেশ চন্দ্র দাস ও কর্মচন্দ্র দাস। তারা ঋষি ও রাই সম্প্রদায়ের লোক।
সরেজমিন বাড়িগুলোর কি অবস্থা তা দেখতে কয়েকজন সাংবাদিক শুক্রবার (১২ আগস্ট) ও শনিবার (১৩ আগস্ট) গিয়েছিলেন নাগডেমড়া, কাশিনাথপুর এবং করমজা গ্রামে। নাগডেমড়া গ্রামের মায়া রানী দাসের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, ঘরের দেয়াল গাঁথা হয়েছে তবে প্লাস্টার হয়নি। অসমাপ্ত রয়েছে বারান্দার পিলার তৈরি, উপরের টিনের ছাউনি হয়নি। দরজা, জানালা এবং মেঝের কাজ কিছুই হয়নি। মায়া রানী বললেন, রাজমিস্ত্রি কাজ করে কিন্তু তার সঙ্গে কোন শ্রমিক থাকে না। শ্রমিকের কাজ করতে হয় মায়া রানীর ছেলেকে। ইট-বালু, খোয়া-সিমেন্ট নৌকা ও মাথায় করে নির্মাণ স্থলে আনতে হয় আমার ছেলেকে। এজন্য কোন পারিশ্রমিক প্রদান করা হয় না। একই কথা বললেন অমরেশ চন্দ্র দাস ও কর্ম চন্দ্র দাস। অমরেশ এবং কর্ম চন্দ্র শ্রমিকের কাজ করেন রাজমিস্ত্রীর সঙ্গে। এর বিনিময়ে তারা কোন পারিশ্রমিক পাননি। তারা আরও বললেন, কাজের জন্য তারা দুই ভাই মিলে একটি পানির পাম্প মেশিন কিনেছেন। এই পাম্প মেশিনের বিদ্যুৎ বিলও তাদের পরিশোধ করতে হচ্ছে। অমরেশ ও কর্ম চন্দ্রের ঘর দুটির কাজ অসমাপ্ত পড়ে আছে। টিনের চালার ছাউনি লাগানো হয়েছে। বারান্দার কাজ, দরজা, জানালা মেঝের ঢালাই ও প্লাস্টারের কাজ হয়নি। করমজা গ্রামের গোবিন্দ ও সিপনের বাড়ির কাজ এখনও পুরোপুরি হয়নি। যেনতেন প্রকারে মেঝের ঢালাই করা হয়েছে। দরজা-জানালার সিআই সিট খুবই নিম্নমানের।
প্রকল্পটির কাজ করেন সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (সদ্য বদলি হয়ে যাওয়া) এসএম জামাল আহমেদ। তিনি প্রকল্পের সমুদয় টাকা উত্তোলন করেন গত ২৭ জুন। ইউএনওর পক্ষে এই প্রকল্পের কাজ করেন বেড়া উপজেলার সানিলা গ্রামের এমএন আসিফ ওরফে বাবু। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি ৫টি ঘর নির্মাণের সমুদয় টাকা পেয়েছি। তিনি আরও বলেন, কাজ প্রায় শেষ। যদিও সাংবাদিকরা কাজের অগ্রগতির পরিস্থিতি দেখেছেন। তিনি প্রতিটি ঘরের জন্য পেয়েছেন ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা।
এ ব্যাপারে পাবনা জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বলেন, ‘জুন ফাইনালের জন্য তো অসমাপ্ত কাজের অব্যহৃত টাকা উত্তোলন করে রাখতেই হয়েছে।’ তবে এই টাকা কোন তহবিলে গচ্ছিত আছে তার সদুত্তোর তিনি দেননি।
বিষয়টি সম্পর্কে বদলি হয়ে যাওয়া টাকা উত্তোলন করা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল অহমেদর মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সাঁথিয়ার বর্তমান (সদ্য যোগদানকারী) উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুদ হোসেন অসমাপ্ত ঘরসমূহের কাজ পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, ‘আমি কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে (এমএন আসিফ) ২০ আগস্টের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করার নির্দেশ প্রদান করেছি।’