গৃহবধূ রহিমা বেগমের প্রচন্ড পেটের ব্যথা। জীবন বাঁচাতে তিনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের হাসনা ক্লিনিকে ভর্তি হন। এরপর শুরু হয় প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা। সবশেষে ডাক্তাররা বলেন, রোগীর পেটের মধ্যে নাড়ি পেঁচানো রয়েছে। তাকে দ্রুত অপারেশন করা প্রয়োজন।
এরপর আর্থিক চুক্তি সম্পন্ন করেই গত ১১ আগস্ট রাতে ওই ক্লিনিকের ডা. আসলাম হোসেন ও ডা. প্রবীর কুমার বিশ্বাস রোগীকে অপারেশন টেবিলে নিয়ে শুরু করেন অস্ত্রোপচার। এ সময় রোগীর পেট কাটার পর তারা বললেন, অস্ত্রোপচার করা সম্ভব নয়। এরপর কাটা পেট সেলাই করে পূনরায় বেডে স্থানান্তর করেন। সেই থেকেই ক্লিনিকের বেডে শুয়ে ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন রহিমা বেগম। এখন রোগীর স্বামী কালীগঞ্জ উপজেলার আনন্দবাগ গ্রামের জহুরুল ইসলামের প্রশ্ন এর জন্য দায়ী কে? অপারেশনের ডাক্তার না ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের রিপোর্ট?
জহুরুল ইসলাম জানান, তার অসুস্থ স্ত্রীকে গত ৬ আগস্ট হাসনা ক্লিনিকে ভর্তি করেন। নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২০ হাজার টাকায় চুক্তিতে ১১ আগষ্ট রাতে ক্লিনিকের দুই ডাক্তার রোগীকে অপারেশন টেবিলে নিয়ে রোগীর পেট কেটে দেখেন নাড়িতে টিউমার। রোগীর অবস্থা বেশ জটিল। তারা রোগীর পেট পুনরায় সেলাই দিয়ে বেডে পাঠিয়ে বলেন অপরেশন সফল করতে কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ জন চিকিৎসক লাগবে। এরপর থেকে রোগীর অবস্থা বেশি জটিল হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট ডা. প্রবীর কুমার মন্ডল জানান, রোগীর পেট কাটার পর নাড়ীতে টিউমার দেখতে পান। অবস্থা বেশ জটিল থাকায় তারা অপারেশন সম্পন্ন না করেই সেলাই দিয়ে বেডে পাঠান। ডাক্তার বলেন, এমন রোগীকে কোন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন করাতে হবে।
অন্যদিকে পেট কাটার পর অপারেশন সম্পন্ন না করার বিষয়ে হাসনা ক্লিনিকের মালিক আবদুর রহমান জানান, বিষয়টি ডাক্তাররাই ভাল বলতে পারবেন। তবে, অর্থের লোভে অপারেশন করা হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
এ ধরনের অপচিকিৎসার বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাজহারুল ইসলাম জানান, কেউ অপচিকিৎসার শিকার হলে লিখিত অভিযোগ দিতে পারেন। আর অভিযোগ পেলে যাচাই করে ব্যবস্থা নেবেন বলে যোগ করেন।
রোববার, ১৪ আগস্ট ২০২২
গৃহবধূ রহিমা বেগমের প্রচন্ড পেটের ব্যথা। জীবন বাঁচাতে তিনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের হাসনা ক্লিনিকে ভর্তি হন। এরপর শুরু হয় প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা। সবশেষে ডাক্তাররা বলেন, রোগীর পেটের মধ্যে নাড়ি পেঁচানো রয়েছে। তাকে দ্রুত অপারেশন করা প্রয়োজন।
এরপর আর্থিক চুক্তি সম্পন্ন করেই গত ১১ আগস্ট রাতে ওই ক্লিনিকের ডা. আসলাম হোসেন ও ডা. প্রবীর কুমার বিশ্বাস রোগীকে অপারেশন টেবিলে নিয়ে শুরু করেন অস্ত্রোপচার। এ সময় রোগীর পেট কাটার পর তারা বললেন, অস্ত্রোপচার করা সম্ভব নয়। এরপর কাটা পেট সেলাই করে পূনরায় বেডে স্থানান্তর করেন। সেই থেকেই ক্লিনিকের বেডে শুয়ে ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন রহিমা বেগম। এখন রোগীর স্বামী কালীগঞ্জ উপজেলার আনন্দবাগ গ্রামের জহুরুল ইসলামের প্রশ্ন এর জন্য দায়ী কে? অপারেশনের ডাক্তার না ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের রিপোর্ট?
জহুরুল ইসলাম জানান, তার অসুস্থ স্ত্রীকে গত ৬ আগস্ট হাসনা ক্লিনিকে ভর্তি করেন। নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২০ হাজার টাকায় চুক্তিতে ১১ আগষ্ট রাতে ক্লিনিকের দুই ডাক্তার রোগীকে অপারেশন টেবিলে নিয়ে রোগীর পেট কেটে দেখেন নাড়িতে টিউমার। রোগীর অবস্থা বেশ জটিল। তারা রোগীর পেট পুনরায় সেলাই দিয়ে বেডে পাঠিয়ে বলেন অপরেশন সফল করতে কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ জন চিকিৎসক লাগবে। এরপর থেকে রোগীর অবস্থা বেশি জটিল হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট ডা. প্রবীর কুমার মন্ডল জানান, রোগীর পেট কাটার পর নাড়ীতে টিউমার দেখতে পান। অবস্থা বেশ জটিল থাকায় তারা অপারেশন সম্পন্ন না করেই সেলাই দিয়ে বেডে পাঠান। ডাক্তার বলেন, এমন রোগীকে কোন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন করাতে হবে।
অন্যদিকে পেট কাটার পর অপারেশন সম্পন্ন না করার বিষয়ে হাসনা ক্লিনিকের মালিক আবদুর রহমান জানান, বিষয়টি ডাক্তাররাই ভাল বলতে পারবেন। তবে, অর্থের লোভে অপারেশন করা হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
এ ধরনের অপচিকিৎসার বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাজহারুল ইসলাম জানান, কেউ অপচিকিৎসার শিকার হলে লিখিত অভিযোগ দিতে পারেন। আর অভিযোগ পেলে যাচাই করে ব্যবস্থা নেবেন বলে যোগ করেন।