কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেছেন, ক্ষুধা-দারিদ্র্য বিমোচনে অনন্য ভূমিকা পালন করছে গম ও ভুট্টা। তাই যে কোন মূল্যে দেশে গম ও ভুট্টার উৎপাদন বাড়াতে হবে। এজন্য গবেষণার প্রতিটি ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে দিনাজপুরের নশিপুরস্থ বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটে চার দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা ২০২২ শুরু হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালা উদ্বোধনী আলোচনায় কৃষি সচিব এসব কথা বলেন এবং কর্মশালা উদ্বোধন করেন।
কর্মশালাটি চলবে আগামী ১৭ আগস্ট পর্যন্ত। চার দিনব্যাপী এ কর্মশালায় গত এক বছরে (২০২১-২২ অর্থ বছরে) সম্পাদিত গবেষণা কার্যক্রমের ফলাফল উপস্থাপন করা হবে।
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কৃষিবিজ্ঞানী-প্রজননবিদ ড. গোলাম ফারুক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ বেনজীর আলম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম ও সিমিট বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. টিমোথি জে. ক্রুপনিক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং গম ও ভুট্টা আবাদের উপর ডকুমেন্টরি উপস্থাপন করেন বিডাব্লিউএমআরআই এর পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আবু জামান সরকার।
কৃষি সচিব আরও বলেন, পৃথিবীর সব ধরনের দানাদার শস্য, শাক সবজি ও ফলমুল উৎপাদনের জন্য দিনাজপুরের মাটি, আবহাওয়া ও জলবায়ু অত্যন্ত উপযোগী। রংপুর বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগসহ সমগ্র বাংলাদেশে অর্থকরী ও দানাদার শস্য গম ও ভুট্টার বাম্পার উৎপাদনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ধানের বিকল্প হিসেবে গম ও ভুট্টার আবাদ যতই দিন যাচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে ৫৬-৬০ লক্ষ মেট্রিক টন ভুট্টার আবাদ হচ্ছে। আমাদের আভ্যন্তরিন মোট চাহিদা ৭৫ লক্ষ মেট্রিক টন। আগামী কয়েক বছরেই আমরা ১শ লক্ষ মেট্রিক টন উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করেছি। অপরদিকে আমাদের গমের মোট আভ্যন্তরিনভাবে চাহিদা ৭০ লক্ষ মেট্রিক টন। কিন্তু আভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত হচ্ছে ১৩ হতে সাড়ে ১৩ লক্ষ মেট্রিক টন। বর্তমান কৃষি ও কৃষক বান্ধব সরকার গম ও ভুট্টার আবাদ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সার্বজনীন একগুচ্ছ প্রকল্প গ্রহণ করেছেন।
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা বিনির্মাণ করে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. গোলাম ফারুক বলেন, দেশে গম ও ভুট্টার প্রয়োজনীয় প্রজনন বীজ উৎপাদনের জন্য যে পরিমাণ জায়গা প্রয়োজন তা এই প্রতিষ্ঠানের নেই। বিশেষ করে ভুট্টার বীজ উৎপাদনের জন্য আইসোলেশন দূরত্ব বজায় রাখার জন্য অনেক জমির প্রয়োজন। বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট সংলগ্ন উত্তর পাশে সুগার মিলের জমি হতে অন্তত ২শ একর জমি পাওয়া গেলে বীজ উৎপাদনে জমির অভাব কিছুটা হলেও দূর করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, দেশে গম ও ভুট্টার উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অসামান্য অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২ অর্জন করেছে।
আয়োজকবৃন্দ জানান, চার দিনব্যাপী কর্মশালায় গম ও ভুট্টার উপর দেশের বিশেষজ্ঞ গবেষকদের উপস্থিতিতে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করবেন বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানীবৃন্দ। কর্মশালায় গম ও ভুট্টার উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন এবং এ সকল জাত কৃষকের মাঠে হস্তান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা ফলাফলের ভিত্তিতে আগামী বছরের গবেষণা কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে। এর আগে বাংলাদেশে ভুট্টার ফল আর্মিওয়ার্ম পোকার দমন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০২২
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেছেন, ক্ষুধা-দারিদ্র্য বিমোচনে অনন্য ভূমিকা পালন করছে গম ও ভুট্টা। তাই যে কোন মূল্যে দেশে গম ও ভুট্টার উৎপাদন বাড়াতে হবে। এজন্য গবেষণার প্রতিটি ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে দিনাজপুরের নশিপুরস্থ বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটে চার দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা ২০২২ শুরু হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালা উদ্বোধনী আলোচনায় কৃষি সচিব এসব কথা বলেন এবং কর্মশালা উদ্বোধন করেন।
কর্মশালাটি চলবে আগামী ১৭ আগস্ট পর্যন্ত। চার দিনব্যাপী এ কর্মশালায় গত এক বছরে (২০২১-২২ অর্থ বছরে) সম্পাদিত গবেষণা কার্যক্রমের ফলাফল উপস্থাপন করা হবে।
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কৃষিবিজ্ঞানী-প্রজননবিদ ড. গোলাম ফারুক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ বেনজীর আলম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম ও সিমিট বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. টিমোথি জে. ক্রুপনিক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং গম ও ভুট্টা আবাদের উপর ডকুমেন্টরি উপস্থাপন করেন বিডাব্লিউএমআরআই এর পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আবু জামান সরকার।
কৃষি সচিব আরও বলেন, পৃথিবীর সব ধরনের দানাদার শস্য, শাক সবজি ও ফলমুল উৎপাদনের জন্য দিনাজপুরের মাটি, আবহাওয়া ও জলবায়ু অত্যন্ত উপযোগী। রংপুর বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগসহ সমগ্র বাংলাদেশে অর্থকরী ও দানাদার শস্য গম ও ভুট্টার বাম্পার উৎপাদনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ধানের বিকল্প হিসেবে গম ও ভুট্টার আবাদ যতই দিন যাচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে ৫৬-৬০ লক্ষ মেট্রিক টন ভুট্টার আবাদ হচ্ছে। আমাদের আভ্যন্তরিন মোট চাহিদা ৭৫ লক্ষ মেট্রিক টন। আগামী কয়েক বছরেই আমরা ১শ লক্ষ মেট্রিক টন উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করেছি। অপরদিকে আমাদের গমের মোট আভ্যন্তরিনভাবে চাহিদা ৭০ লক্ষ মেট্রিক টন। কিন্তু আভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত হচ্ছে ১৩ হতে সাড়ে ১৩ লক্ষ মেট্রিক টন। বর্তমান কৃষি ও কৃষক বান্ধব সরকার গম ও ভুট্টার আবাদ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সার্বজনীন একগুচ্ছ প্রকল্প গ্রহণ করেছেন।
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা বিনির্মাণ করে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. গোলাম ফারুক বলেন, দেশে গম ও ভুট্টার প্রয়োজনীয় প্রজনন বীজ উৎপাদনের জন্য যে পরিমাণ জায়গা প্রয়োজন তা এই প্রতিষ্ঠানের নেই। বিশেষ করে ভুট্টার বীজ উৎপাদনের জন্য আইসোলেশন দূরত্ব বজায় রাখার জন্য অনেক জমির প্রয়োজন। বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট সংলগ্ন উত্তর পাশে সুগার মিলের জমি হতে অন্তত ২শ একর জমি পাওয়া গেলে বীজ উৎপাদনে জমির অভাব কিছুটা হলেও দূর করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, দেশে গম ও ভুট্টার উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অসামান্য অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২ অর্জন করেছে।
আয়োজকবৃন্দ জানান, চার দিনব্যাপী কর্মশালায় গম ও ভুট্টার উপর দেশের বিশেষজ্ঞ গবেষকদের উপস্থিতিতে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করবেন বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানীবৃন্দ। কর্মশালায় গম ও ভুট্টার উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন এবং এ সকল জাত কৃষকের মাঠে হস্তান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা ফলাফলের ভিত্তিতে আগামী বছরের গবেষণা কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে। এর আগে বাংলাদেশে ভুট্টার ফল আর্মিওয়ার্ম পোকার দমন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।