তরুণীর পোশাক নিয়ে উচ্চ আদালতের মন্তব্য দুঃখজনক বলে জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। বুধবার (১৭ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এমন প্রতিক্রিয়া জানায় আসক।
বিবৃতিতে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) প্রকাশিত সাংবাদের ভিত্তিতে এ বিষয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে মানুষের অধিকার নিশ্চিতের সর্বোচ্চ স্থান আদালতের প্রতি সম্মান ও আস্থা রেখে নারীর অধিকার সমুন্নত রাখতে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছে।
বিবৃতিতে আসক বলছে, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জানতে পেরেছে যে নরসিংদী রেলস্টেশনে পোশাকের জন্য তরুণীকে হেনস্তার প্রসঙ্গ নিয়ে উচ্চ আদালত প্রশ্ন রেখেছেন- সভ্য দেশে এমন পোশাক পরে রেলস্টেশনে যাওয়া যায় কি-না। বিভিন্ন গণমাধ্যমে উচ্চ আদালতের বক্তব্য যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে তা যদি সত্য হয় তবে তা নারীর সমানাধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার মানদন্ড এবং বর্তমান সরকারের নারীর ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া এ ধরনের মন্তব্য প্রতিক্রিয়াশীলদের উদ্বুদ্ধ করবে বলে আসক আশঙ্কা করছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ যে অগ্রগতি অর্জন করেছে, এমন মন্তব্যে তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। নারীর স্বাধীনতা, নারীর পছন্দ করার বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার, চলাফেরার অধিকার সবই সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকারসমূহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সনদ দ্বারাও স্বীকৃত। একইসঙ্গে যে স্থানে পোশাককে গুরুত্ব না দিয়ে নারীর মর্যাদা, অধিকার ও নিরাপত্তা সর্বোত্তম উপায়ে নিশ্চিত হওয়ার কথা ছিল, সেখানে এমন বক্তব্যের মাধ্যমে সেই নারীকেই পুনরায় হেনস্তা হতে হচ্ছে।’
বুধবার, ১৭ আগস্ট ২০২২
তরুণীর পোশাক নিয়ে উচ্চ আদালতের মন্তব্য দুঃখজনক বলে জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। বুধবার (১৭ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এমন প্রতিক্রিয়া জানায় আসক।
বিবৃতিতে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) প্রকাশিত সাংবাদের ভিত্তিতে এ বিষয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে মানুষের অধিকার নিশ্চিতের সর্বোচ্চ স্থান আদালতের প্রতি সম্মান ও আস্থা রেখে নারীর অধিকার সমুন্নত রাখতে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছে।
বিবৃতিতে আসক বলছে, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জানতে পেরেছে যে নরসিংদী রেলস্টেশনে পোশাকের জন্য তরুণীকে হেনস্তার প্রসঙ্গ নিয়ে উচ্চ আদালত প্রশ্ন রেখেছেন- সভ্য দেশে এমন পোশাক পরে রেলস্টেশনে যাওয়া যায় কি-না। বিভিন্ন গণমাধ্যমে উচ্চ আদালতের বক্তব্য যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে তা যদি সত্য হয় তবে তা নারীর সমানাধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার মানদন্ড এবং বর্তমান সরকারের নারীর ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া এ ধরনের মন্তব্য প্রতিক্রিয়াশীলদের উদ্বুদ্ধ করবে বলে আসক আশঙ্কা করছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ যে অগ্রগতি অর্জন করেছে, এমন মন্তব্যে তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। নারীর স্বাধীনতা, নারীর পছন্দ করার বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার, চলাফেরার অধিকার সবই সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকারসমূহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সনদ দ্বারাও স্বীকৃত। একইসঙ্গে যে স্থানে পোশাককে গুরুত্ব না দিয়ে নারীর মর্যাদা, অধিকার ও নিরাপত্তা সর্বোত্তম উপায়ে নিশ্চিত হওয়ার কথা ছিল, সেখানে এমন বক্তব্যের মাধ্যমে সেই নারীকেই পুনরায় হেনস্তা হতে হচ্ছে।’