বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম
আহসান আলি, প্রায় ১০ বছর ধরে রাজধানী ঢাকায় রিকশা চালান। থাকেন কড়াইল বস্তিতে। স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে নিয়ে তার সংসার। বর্তমানে মাসে প্রায় ১২ হাজার টাকা আয় করেন। বাড়িভাড়া, গ্যাস ও পানির বিল, বিদ্যুৎ খরচ পরিশোধের পর খাবার টাকা জোগাড় করতে সবসময়েই হিমশিম খান। তবে এখন অবস্থা আরও খারাপ। ‘বাধ্য হয়ে’ এখন ‘কম খাওয়ার’ নীতি গ্রহণ করেছেন। আগে তার বাসায় এক বেলা রুটি ও দুই বেলা ভাত রান্না হতো। সম্প্রতি তিনি শুধু এক বেলা ভাত খাওয়া শুরু করেছেন।
‘কথাগুলা কইতে খারাপ লাগতাছে, গত এক মাস ধইরা আমার বাসায় শুধু রাইতে ভাত রান্না হয়। বাকি দুই বেলা হালকা কিছু (খাবার) খায়া কাটায়া দেই। এর আগে এত সমস্যায় পড়ি নাই। এখনকার অবস্থা বলার না,’ বলছিলেন রিকশাচালক আহসান আলি।
একটি কোম্পানিতে নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি করেন মনিরুল ইসলাম। বেতন পান ৮ হাজার টাকা। আগে পরিবার নিয়ে সস্তা একটি টিন সেডের বাসায় থাকতেন। খরচ বেড়ে যাওয়ায় পরিবারকে গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি এখন একটি মেসে থাকেন। নিজের খরচ চালিয়ে বাড়িতে পাঠানোর মতো টাকা থাকে না তার।
করোনাভাইরাস প্রদুর্ভাবের পর থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছিল। এরপর করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলে মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। কিন্তু এরপরই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তাই ফের বাড়তে শুরু করে নিত্যপণ্যের দাম আবার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে বাজার। প্রায় সবধরনের পণ্যের দাম বেড়ে যায় হু-হু করে।
এর মধ্যে গত ৫ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম প্রায় দ্বিগুণ করে দেয় সরকার। এর ফলে আরও বাড়তে থাকে নিত্যপণ্যের দাম। পরিবহন খরচ বাড়ার অজুহাতে ব্যবসায়ীরা প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারে দেখা যায়, মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা প্রতি কেজি আর মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭২ টাকা। অথচ এই চালই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার আগে বিক্রি হয়েছিল যথাক্রমে ৫৫ থেকে ৭০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ২ থেকে তিন টাকা।
বৃহস্পতিবার কথা হয় সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের চাল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। এখন তার আশঙ্কা চালের দাম ‘আরও বাড়বে’।
তিনি সংবাদকে বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতি কেজি মোটা ও মিনিকেট চালের দাম ৩ টাকার মতো বাড়ছে। আজ আড়তে কথা বললাম। আড়তদার জানাইলো আগামীকাল থিকা মিনিকেট চাল কিনতে হইবে ৭২ টাকা কেজি। অর্থাৎ আড়তেই যদি আমাগো ৭২ টাকা কিনতে হয় তাইলে দুই-তিন টাকা লাভে বিক্রি করতে হইবো। দাম আরও বাড়বো।’
কেন দাম বাড়ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আড়তদাররা কয়, পরিবহন খরচ বেড়েছে। তারা বাড়তি দামে চাল কিনছে। আমাদের কাছেও বাড়তি দামে বিক্রি করতেছে।’
স্বল্পআয়ের মানুষের আমিষের উৎস হলো ব্রয়লার মুরগি ও ডিম। কিন্তু গত দুই সপ্তাহে এই পণ্য দুটির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২১০ টাকায়। আর দুই সপ্তাহ আগে অর্থাৎ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির আগে বিক্রি হয়েছিল ১৬০ টাকায়। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম বেড়েছে ৫০ টাকা, অর্থাৎ ৩১ শতাংশের বেশি।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মুরগি ব্যবসায়ী আমির হামজা সংবাদকে জানান, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম বেড়েছে। আর কবে নাগাদ কমতে পারে তাও তিনি জানেন না।
ডিমের অবস্থাও মুরগির মতো। বৃহস্পতিবার প্রতি ডজন ডিম (ফার্মের, লাল) বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়। অথচ দুই সপ্তাহ আগে এই ডিম পাওয়া যেত ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ টাকা।
একইভাবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সবগুলো নিত্যপণ্যের দাম হু-হু করে বাড়ছে। বৃহস্পতিবার মশুর ডাল (চিকন) বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৪০ টাকায়, এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ১৩৫ টাকা। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৪৫ টাকা। সয়াবিন তেল (বোতলজাত) প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ১৯০ টাকা যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৮৫ টাকা। পেঁয়াজ ৫০ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৪০ টাকা। আলু বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৩০ টাকায়, আগে ছিল ২৫ টাকা। চিনি বৃহস্পতিবার ছিল ১০০ টাকা যা মাত্র দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ৮০ টাকায়। এভাবে প্রায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছে দাম আরও বাড়বে।
সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবির বাজার দরের তথ্য অনুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম ৩ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যেও দাম বৃদ্ধির চিত্র উঠে এসেছে। বিবিএস’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত মে মাস থেকে মূল্যম্ফীতি ৭ শতাংশের ওপরে রয়েছে। মে মাসে মূল্যম্ফীতি উঠেছিল ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশে, যা গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এই অবস্থায় যেকোন মূল্যেই হোক, সরকারকে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, বলে বলছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘যেভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তাতে স্বল্পআয়ের মানুষের খেয়ে-পরে টিকে থাকাটাই কঠিন হয়ে যাবে। সরকার যদি দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে তাহলে অন্য অর্জনগুলো ম্লান হয়ে যাবে।’
এদিকে সরকার বলছে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ বুঝে দাম বেশি বাড়িয়ে দেয়। সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘পরিবহন খরচ যেখানে বেড়েছে মাত্রা ৫০ পয়সা সেখানে ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি পণ্যে দাম বাড়িয়ে দেয় ৪ টাকা। মন্ত্রীর ভাষ্য- ‘এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে সরকার কাজ করছে। প্রতিটি জেলায় প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করছে সরকার।’
বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম
বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট ২০২২
আহসান আলি, প্রায় ১০ বছর ধরে রাজধানী ঢাকায় রিকশা চালান। থাকেন কড়াইল বস্তিতে। স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে নিয়ে তার সংসার। বর্তমানে মাসে প্রায় ১২ হাজার টাকা আয় করেন। বাড়িভাড়া, গ্যাস ও পানির বিল, বিদ্যুৎ খরচ পরিশোধের পর খাবার টাকা জোগাড় করতে সবসময়েই হিমশিম খান। তবে এখন অবস্থা আরও খারাপ। ‘বাধ্য হয়ে’ এখন ‘কম খাওয়ার’ নীতি গ্রহণ করেছেন। আগে তার বাসায় এক বেলা রুটি ও দুই বেলা ভাত রান্না হতো। সম্প্রতি তিনি শুধু এক বেলা ভাত খাওয়া শুরু করেছেন।
‘কথাগুলা কইতে খারাপ লাগতাছে, গত এক মাস ধইরা আমার বাসায় শুধু রাইতে ভাত রান্না হয়। বাকি দুই বেলা হালকা কিছু (খাবার) খায়া কাটায়া দেই। এর আগে এত সমস্যায় পড়ি নাই। এখনকার অবস্থা বলার না,’ বলছিলেন রিকশাচালক আহসান আলি।
একটি কোম্পানিতে নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি করেন মনিরুল ইসলাম। বেতন পান ৮ হাজার টাকা। আগে পরিবার নিয়ে সস্তা একটি টিন সেডের বাসায় থাকতেন। খরচ বেড়ে যাওয়ায় পরিবারকে গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি এখন একটি মেসে থাকেন। নিজের খরচ চালিয়ে বাড়িতে পাঠানোর মতো টাকা থাকে না তার।
করোনাভাইরাস প্রদুর্ভাবের পর থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছিল। এরপর করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলে মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। কিন্তু এরপরই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তাই ফের বাড়তে শুরু করে নিত্যপণ্যের দাম আবার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে বাজার। প্রায় সবধরনের পণ্যের দাম বেড়ে যায় হু-হু করে।
এর মধ্যে গত ৫ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম প্রায় দ্বিগুণ করে দেয় সরকার। এর ফলে আরও বাড়তে থাকে নিত্যপণ্যের দাম। পরিবহন খরচ বাড়ার অজুহাতে ব্যবসায়ীরা প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারে দেখা যায়, মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা প্রতি কেজি আর মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭২ টাকা। অথচ এই চালই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার আগে বিক্রি হয়েছিল যথাক্রমে ৫৫ থেকে ৭০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ২ থেকে তিন টাকা।
বৃহস্পতিবার কথা হয় সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের চাল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। এখন তার আশঙ্কা চালের দাম ‘আরও বাড়বে’।
তিনি সংবাদকে বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতি কেজি মোটা ও মিনিকেট চালের দাম ৩ টাকার মতো বাড়ছে। আজ আড়তে কথা বললাম। আড়তদার জানাইলো আগামীকাল থিকা মিনিকেট চাল কিনতে হইবে ৭২ টাকা কেজি। অর্থাৎ আড়তেই যদি আমাগো ৭২ টাকা কিনতে হয় তাইলে দুই-তিন টাকা লাভে বিক্রি করতে হইবো। দাম আরও বাড়বো।’
কেন দাম বাড়ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আড়তদাররা কয়, পরিবহন খরচ বেড়েছে। তারা বাড়তি দামে চাল কিনছে। আমাদের কাছেও বাড়তি দামে বিক্রি করতেছে।’
স্বল্পআয়ের মানুষের আমিষের উৎস হলো ব্রয়লার মুরগি ও ডিম। কিন্তু গত দুই সপ্তাহে এই পণ্য দুটির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২১০ টাকায়। আর দুই সপ্তাহ আগে অর্থাৎ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির আগে বিক্রি হয়েছিল ১৬০ টাকায়। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম বেড়েছে ৫০ টাকা, অর্থাৎ ৩১ শতাংশের বেশি।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মুরগি ব্যবসায়ী আমির হামজা সংবাদকে জানান, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম বেড়েছে। আর কবে নাগাদ কমতে পারে তাও তিনি জানেন না।
ডিমের অবস্থাও মুরগির মতো। বৃহস্পতিবার প্রতি ডজন ডিম (ফার্মের, লাল) বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়। অথচ দুই সপ্তাহ আগে এই ডিম পাওয়া যেত ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ টাকা।
একইভাবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সবগুলো নিত্যপণ্যের দাম হু-হু করে বাড়ছে। বৃহস্পতিবার মশুর ডাল (চিকন) বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৪০ টাকায়, এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ১৩৫ টাকা। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৪৫ টাকা। সয়াবিন তেল (বোতলজাত) প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ১৯০ টাকা যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৮৫ টাকা। পেঁয়াজ ৫০ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৪০ টাকা। আলু বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৩০ টাকায়, আগে ছিল ২৫ টাকা। চিনি বৃহস্পতিবার ছিল ১০০ টাকা যা মাত্র দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ৮০ টাকায়। এভাবে প্রায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছে দাম আরও বাড়বে।
সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবির বাজার দরের তথ্য অনুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম ৩ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যেও দাম বৃদ্ধির চিত্র উঠে এসেছে। বিবিএস’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত মে মাস থেকে মূল্যম্ফীতি ৭ শতাংশের ওপরে রয়েছে। মে মাসে মূল্যম্ফীতি উঠেছিল ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশে, যা গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এই অবস্থায় যেকোন মূল্যেই হোক, সরকারকে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, বলে বলছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘যেভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তাতে স্বল্পআয়ের মানুষের খেয়ে-পরে টিকে থাকাটাই কঠিন হয়ে যাবে। সরকার যদি দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে তাহলে অন্য অর্জনগুলো ম্লান হয়ে যাবে।’
এদিকে সরকার বলছে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ বুঝে দাম বেশি বাড়িয়ে দেয়। সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘পরিবহন খরচ যেখানে বেড়েছে মাত্রা ৫০ পয়সা সেখানে ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি পণ্যে দাম বাড়িয়ে দেয় ৪ টাকা। মন্ত্রীর ভাষ্য- ‘এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে সরকার কাজ করছে। প্রতিটি জেলায় প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করছে সরকার।’