বগুড়ায় নওয়াববাড়ি সড়কে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে হয়েছে। এসময় স্বেচ্ছাসেবক দলের ছাত্রশিবির গ্রুপের ছুরিকাঘাতে মেফতাউল রশিদ মিল্টন(৩৫) নামে এক যুবদল কর্মী আহত হন। সংঘর্ষের সময় এক গ্রুপের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিলো বলে প্রতিপক্ষ গ্রুপ অভিযোগ করে।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিকালে জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে সমাবেশ ছিল। শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালী বের হয়। এতে জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। র্যালীটি বিএনপি কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়। সেখানে শুরু হয় সমাবেশ।
সমাবেশের শেষ পর্যায়ে মঞ্চে দাড়ানো নিয়ে ধাক্কা ধাক্কি শুরু হয়। এক গ্রুপের নেতাকে অন্য গ্রুপের নেতার ধাক্কা দেয়ার অভিযোগ ওঠায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় বিএনপি নেতারা পরিস্থিতি সামাল দেয়ার করেন। তবে দু’ গ্রুপই উত্তেজিত হয়ে একে অপরকে ধাক্কা দিতে শুরু করায় তা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় রুপ নেয়।
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের প্রবেশ মুখের সামনে য্বুদল নেতা মিল্টনকে ধাওয়া করে ছরিকাঘাত করে প্রতিপক্ষরা। তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সরকার মকুল গ্রুপের সমর্থক। তার শরীরের একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার সঙ্গীরা জানান, হামলাকারীদের হাতে ধারাল অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিলো।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সরকার মুকুল এঘটনার জন্য ছাত্র শিবির থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েলকে দায়ি করে বলেন, ইতোপুর্বে জুয়েল বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলো এবং জুয়েল ও তার লোকজন অস্ত্র নিয়ে সমাবেশে এসেছিল।
সুত্র জানায়, স্বেচ্ছাসেবক দলের দু’ গ্রুপের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ চলছিলো। এক গ্রুপের রয়েছে জামায়াত ও ছাত্রশিবির থেকে যোগদেয়া নেতা কর্মীরা। এই গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক বগুড়া জেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি মাজেদুল রহমান জুয়েল। তার সঙ্গে যুগ্ম আহবায়ক সরকার মুকুল গ্রুপের বিরোধ। বিএনপি’র ছাতার নীচে আসার আগে মাজেদুর রহমান জুয়েল বগুড়ায় ছাত্র শিবিরের ক্যাডার দলের অন্যতম নেতা ছিলেন। বিএনপি জামায়াত জোটের জ্বালাও পোড়াও নাশকতার সামনে থাকা অবস্থায় তিনি বুলেট প্রুপ জ্যাকেট পড়তেন। এদিকে সন্ধ্যায় ঘটনার পর দু’গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শুক্রবার, ১৯ আগস্ট ২০২২
বগুড়ায় নওয়াববাড়ি সড়কে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে হয়েছে। এসময় স্বেচ্ছাসেবক দলের ছাত্রশিবির গ্রুপের ছুরিকাঘাতে মেফতাউল রশিদ মিল্টন(৩৫) নামে এক যুবদল কর্মী আহত হন। সংঘর্ষের সময় এক গ্রুপের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিলো বলে প্রতিপক্ষ গ্রুপ অভিযোগ করে।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিকালে জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে সমাবেশ ছিল। শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালী বের হয়। এতে জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। র্যালীটি বিএনপি কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়। সেখানে শুরু হয় সমাবেশ।
সমাবেশের শেষ পর্যায়ে মঞ্চে দাড়ানো নিয়ে ধাক্কা ধাক্কি শুরু হয়। এক গ্রুপের নেতাকে অন্য গ্রুপের নেতার ধাক্কা দেয়ার অভিযোগ ওঠায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় বিএনপি নেতারা পরিস্থিতি সামাল দেয়ার করেন। তবে দু’ গ্রুপই উত্তেজিত হয়ে একে অপরকে ধাক্কা দিতে শুরু করায় তা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় রুপ নেয়।
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের প্রবেশ মুখের সামনে য্বুদল নেতা মিল্টনকে ধাওয়া করে ছরিকাঘাত করে প্রতিপক্ষরা। তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সরকার মকুল গ্রুপের সমর্থক। তার শরীরের একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার সঙ্গীরা জানান, হামলাকারীদের হাতে ধারাল অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিলো।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সরকার মুকুল এঘটনার জন্য ছাত্র শিবির থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েলকে দায়ি করে বলেন, ইতোপুর্বে জুয়েল বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলো এবং জুয়েল ও তার লোকজন অস্ত্র নিয়ে সমাবেশে এসেছিল।
সুত্র জানায়, স্বেচ্ছাসেবক দলের দু’ গ্রুপের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ চলছিলো। এক গ্রুপের রয়েছে জামায়াত ও ছাত্রশিবির থেকে যোগদেয়া নেতা কর্মীরা। এই গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক বগুড়া জেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি মাজেদুল রহমান জুয়েল। তার সঙ্গে যুগ্ম আহবায়ক সরকার মুকুল গ্রুপের বিরোধ। বিএনপি’র ছাতার নীচে আসার আগে মাজেদুর রহমান জুয়েল বগুড়ায় ছাত্র শিবিরের ক্যাডার দলের অন্যতম নেতা ছিলেন। বিএনপি জামায়াত জোটের জ্বালাও পোড়াও নাশকতার সামনে থাকা অবস্থায় তিনি বুলেট প্রুপ জ্যাকেট পড়তেন। এদিকে সন্ধ্যায় ঘটনার পর দু’গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।