শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পৌর শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে কীর্তিনাশা নদীতে।
শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কারখানা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য, ময়লা ও আবর্জনা ফেলা হচ্ছে সেখানে।
পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য ফেলার কারণে নদীদূষণ ও ভরাট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পদ্মা নদী থেকে প্রবাহিত হয়ে কীর্তিনাশা নদী মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদে গিয়ে মিশেছে। নড়িয়া পৌর শহরটি কীর্তিনাশা নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত।
উপজেলা সদর ও পৌর শহর হওয়ায় নড়িয়া বাজারে প্রায় দেড় হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এরমধ্যে রয়েছে ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বিভিন্ন পণ্য তৈরির কারখানা, মাছ-মাংস, সার, কীটনাশক ও ওষুধের দোকান।
এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলা ও ধ্বংস করার জন্য নড়িয়া উপজেলায় কোনো ডাম্পিং ইয়ার্ড নেই।
তাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ও পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা এসব ময়লা-আবর্জনা কীর্তিনাশা নদীতে ফেলছেন।
নড়িয়ার পুরাতন লঞ্চঘাটের কাছে অন্তত ২০০ মিটার জায়গা জুড়ে নদীর তীরে ময়লার ভাগাড় তৈরী হয়েছে। সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার পর তা নদীর স্রোতে ভেসে যাচ্ছে।
নড়িয়া বাজারের ব্যবসায়ী বাদশা হাওলাদার বলেন, ‘ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও এলাকা পরিচ্ছন্ন না রাখলে ক্রেতাদের সমস্যা হয়। আর ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য নড়িয়াতে কোন নির্দিষ্ট স্থান নেই। তাই বাধ্য হয়ে নদীর তীরে ময়লা ফেলতে হচ্ছে।’
আরেক হোটেল ব্যবসায়ী আলমগীর চৌকিদার বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ফেলার কোন নির্দিষ্ট স্থান নেই তাই নদীর পাড়েই বর্জ্যগুলো ফেলতে হচ্ছে। কারন এছাড়া শহরের কোথাও খোলা জায়গাও নেই। ময়লা ফেলার একটি নির্দিষ্ট স্থানের ব্যবস্থা হলে আমরা ময়লাগুলো নদীর পাড়ে ফেলবো না।’
পরিবেশ ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কাজ করা সংগঠন বিডি ক্লিন শরীয়তপুর এর সমন্বয়ক মাসুদুর রহমান বলেন, ‘শহর পরিচ্ছন্ন রাখা প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য। আর তা ব্যবস্থাপণা করা পৌর বা শহর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। শহর পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ময়লা আবর্জনা নদীতে ফেলা পরিবেশের জন্য চরম হুমকির ব্যাপার।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা নড়িয়া উপজেলায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও প্রচারণা চালাব এবং এবিষয় সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব।’
নদী দখল ও দূষণ প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করা নদী পরিব্রাজক দল সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান শিপন বলেন, ‘কোনোভাবেই নদীদূষণ ঠেকানো যাচ্ছে না। মানুষ বিভিন্ন কারণে অসচেতনভাবে নদীদূষণ করছে। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে নাগরিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানও। নড়িয়া পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলায় কীর্তিনাশা নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এর ফলে এক দিকে নদীর পানি দূষণ হচ্ছে। অন্যদিকে ভরাট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ সংবাদকে বলেন, ‘নড়িয়া পৌরসভায় কোনো ডাম্পিং ইয়ার্ড নেই। এ কারণে শহরের বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। কীর্তিনাশা নদীতে যাতে কোনো ময়লা-আবর্জনা ফেলা না হয়, সে জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে। ডাম্পিং ইয়ার্ড নির্মাণ করার জমি কেনা হয়েছে। দ্রুত ডাম্পিং ইয়ার্ড নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।’
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ রাশেদউজ্জামান সংবাদকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে মেয়র মহোদয়ের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। নদীতে যেন ময়লা আবর্জনা না ফেলা হয় সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পৌর শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে কীর্তিনাশা নদীতে।
শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কারখানা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য, ময়লা ও আবর্জনা ফেলা হচ্ছে সেখানে।
পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য ফেলার কারণে নদীদূষণ ও ভরাট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পদ্মা নদী থেকে প্রবাহিত হয়ে কীর্তিনাশা নদী মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদে গিয়ে মিশেছে। নড়িয়া পৌর শহরটি কীর্তিনাশা নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত।
উপজেলা সদর ও পৌর শহর হওয়ায় নড়িয়া বাজারে প্রায় দেড় হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এরমধ্যে রয়েছে ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বিভিন্ন পণ্য তৈরির কারখানা, মাছ-মাংস, সার, কীটনাশক ও ওষুধের দোকান।
এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলা ও ধ্বংস করার জন্য নড়িয়া উপজেলায় কোনো ডাম্পিং ইয়ার্ড নেই।
তাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ও পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা এসব ময়লা-আবর্জনা কীর্তিনাশা নদীতে ফেলছেন।
নড়িয়ার পুরাতন লঞ্চঘাটের কাছে অন্তত ২০০ মিটার জায়গা জুড়ে নদীর তীরে ময়লার ভাগাড় তৈরী হয়েছে। সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার পর তা নদীর স্রোতে ভেসে যাচ্ছে।
নড়িয়া বাজারের ব্যবসায়ী বাদশা হাওলাদার বলেন, ‘ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও এলাকা পরিচ্ছন্ন না রাখলে ক্রেতাদের সমস্যা হয়। আর ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য নড়িয়াতে কোন নির্দিষ্ট স্থান নেই। তাই বাধ্য হয়ে নদীর তীরে ময়লা ফেলতে হচ্ছে।’
আরেক হোটেল ব্যবসায়ী আলমগীর চৌকিদার বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ফেলার কোন নির্দিষ্ট স্থান নেই তাই নদীর পাড়েই বর্জ্যগুলো ফেলতে হচ্ছে। কারন এছাড়া শহরের কোথাও খোলা জায়গাও নেই। ময়লা ফেলার একটি নির্দিষ্ট স্থানের ব্যবস্থা হলে আমরা ময়লাগুলো নদীর পাড়ে ফেলবো না।’
পরিবেশ ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কাজ করা সংগঠন বিডি ক্লিন শরীয়তপুর এর সমন্বয়ক মাসুদুর রহমান বলেন, ‘শহর পরিচ্ছন্ন রাখা প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য। আর তা ব্যবস্থাপণা করা পৌর বা শহর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। শহর পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ময়লা আবর্জনা নদীতে ফেলা পরিবেশের জন্য চরম হুমকির ব্যাপার।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা নড়িয়া উপজেলায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও প্রচারণা চালাব এবং এবিষয় সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব।’
নদী দখল ও দূষণ প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করা নদী পরিব্রাজক দল সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান শিপন বলেন, ‘কোনোভাবেই নদীদূষণ ঠেকানো যাচ্ছে না। মানুষ বিভিন্ন কারণে অসচেতনভাবে নদীদূষণ করছে। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে নাগরিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানও। নড়িয়া পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলায় কীর্তিনাশা নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এর ফলে এক দিকে নদীর পানি দূষণ হচ্ছে। অন্যদিকে ভরাট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ সংবাদকে বলেন, ‘নড়িয়া পৌরসভায় কোনো ডাম্পিং ইয়ার্ড নেই। এ কারণে শহরের বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। কীর্তিনাশা নদীতে যাতে কোনো ময়লা-আবর্জনা ফেলা না হয়, সে জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে। ডাম্পিং ইয়ার্ড নির্মাণ করার জমি কেনা হয়েছে। দ্রুত ডাম্পিং ইয়ার্ড নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।’
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ রাশেদউজ্জামান সংবাদকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে মেয়র মহোদয়ের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। নদীতে যেন ময়লা আবর্জনা না ফেলা হয় সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’