নড়াইলে জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের সময় চেয়ারম্যান ও সদস্য পদের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের জন্য এক প্রার্থী অপর প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন জানান।
তিনি বলেন, বেলা ১১টার সময়ে জেলা প্রশাসকের হলরুমে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। প্রথমে সংরক্ষিত মহিলা ও পরে পুরুষ ওয়ার্ডের কার্যক্রম শুরু হলে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ওবায়দুর রহমান বলেন, আমি ও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী খোকন কুমার সাহা দুজনই তালা মার্কা চাই। নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী একই মার্কা দুজন চাইলে লটারির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লটারির ঠিক আগ মুহূর্তে খোকন কুমার সাহা ও তার সমর্থকরা জেলা প্রশাসকের হলরুমে সবার সামনে আমাকে মারপিট করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে খোকন কুমার সাহা বলেন, ওবায়দুর রহমানই প্রথমে আমার ওপর হামলা চালায়।
এদিকে, চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর সমর্থকদের ওপরও হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফয়জুল আমীর লিটুর বলেন, আমার অনুপস্থিতিতে প্রতীক আনতে যান প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীরা। আমার সমর্থকরা আনারস প্রতীকের আবেদন করেন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সুবাস বোসের সমর্থকরাও একই প্রতীকের আবেদন করেন। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ সুবাস বোসের সমর্থকরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষেই আমার লোকজনকে মারধর করে। এতে আমার আট সমর্থক আহত হন।
এ সময় তার প্রস্তাবকারী ইউপি সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম ও সমর্থনকারী ইউপি সদস্য সৈয়দ নওয়াব আলী, নোয়াগ্রাম সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল কালুসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। এ ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানান ফয়জুল আমীন লিটু।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সুবাস বোস বলেন, আমি আনারস প্রতীক চেয়েছি; ওদিকে লিটুও আনারস চেয়েছেন। তখন লিটুর লোকজন বলে ওঠেন, ‘আমরা যদি আনারস না পাই, তাহলে কেন এসেছি?’ এ কথা শোনার পর আমার লোকজনের সঙ্গে সামান্য হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি হয়।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিনের বলেন, মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনায় জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান স্যারের নির্দেশে কিছু সময় প্রতীক বরাদ্দের কাজ বন্ধ রাখি। পরে ‘আপোষের মাধ্যমে’ চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সুবাস চন্দ্র বোসকে আনারস, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুকে মোটরসাইকেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মো. সুলতান মোহাম্মদ বিপ্লবকে চশমা এবং সদস্য পদে খোকন কুমার সাহাকে তালা ও ওবায়দুর রহমানকে হাতি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে সদস্য পদপ্রার্থী ওবায়দুর রহমান ও খোকন কুমার সাহাকে শোকজ করা হবে এবং বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে জানানো হবে। প্রার্থী যদি লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে আমরা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। সার্বিক বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
গত ২৩ আগস্ট নির্বাচন কমিশন তিন পার্বত্য জেলা বাদ দিয়ে ৬১ জেলা পরিষদে ভোটের তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগ্রহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ছিল ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ১৮ সেপ্টেম্বর বাছাইয়ের পর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ ছিল ২৫ সেপ্টেম্বর। ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে।
সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
নড়াইলে জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের সময় চেয়ারম্যান ও সদস্য পদের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের জন্য এক প্রার্থী অপর প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন জানান।
তিনি বলেন, বেলা ১১টার সময়ে জেলা প্রশাসকের হলরুমে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। প্রথমে সংরক্ষিত মহিলা ও পরে পুরুষ ওয়ার্ডের কার্যক্রম শুরু হলে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ওবায়দুর রহমান বলেন, আমি ও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী খোকন কুমার সাহা দুজনই তালা মার্কা চাই। নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী একই মার্কা দুজন চাইলে লটারির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লটারির ঠিক আগ মুহূর্তে খোকন কুমার সাহা ও তার সমর্থকরা জেলা প্রশাসকের হলরুমে সবার সামনে আমাকে মারপিট করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে খোকন কুমার সাহা বলেন, ওবায়দুর রহমানই প্রথমে আমার ওপর হামলা চালায়।
এদিকে, চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর সমর্থকদের ওপরও হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফয়জুল আমীর লিটুর বলেন, আমার অনুপস্থিতিতে প্রতীক আনতে যান প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীরা। আমার সমর্থকরা আনারস প্রতীকের আবেদন করেন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সুবাস বোসের সমর্থকরাও একই প্রতীকের আবেদন করেন। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ সুবাস বোসের সমর্থকরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষেই আমার লোকজনকে মারধর করে। এতে আমার আট সমর্থক আহত হন।
এ সময় তার প্রস্তাবকারী ইউপি সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম ও সমর্থনকারী ইউপি সদস্য সৈয়দ নওয়াব আলী, নোয়াগ্রাম সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল কালুসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। এ ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানান ফয়জুল আমীন লিটু।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সুবাস বোস বলেন, আমি আনারস প্রতীক চেয়েছি; ওদিকে লিটুও আনারস চেয়েছেন। তখন লিটুর লোকজন বলে ওঠেন, ‘আমরা যদি আনারস না পাই, তাহলে কেন এসেছি?’ এ কথা শোনার পর আমার লোকজনের সঙ্গে সামান্য হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি হয়।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিনের বলেন, মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনায় জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান স্যারের নির্দেশে কিছু সময় প্রতীক বরাদ্দের কাজ বন্ধ রাখি। পরে ‘আপোষের মাধ্যমে’ চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সুবাস চন্দ্র বোসকে আনারস, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুকে মোটরসাইকেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মো. সুলতান মোহাম্মদ বিপ্লবকে চশমা এবং সদস্য পদে খোকন কুমার সাহাকে তালা ও ওবায়দুর রহমানকে হাতি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে সদস্য পদপ্রার্থী ওবায়দুর রহমান ও খোকন কুমার সাহাকে শোকজ করা হবে এবং বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে জানানো হবে। প্রার্থী যদি লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে আমরা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। সার্বিক বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
গত ২৩ আগস্ট নির্বাচন কমিশন তিন পার্বত্য জেলা বাদ দিয়ে ৬১ জেলা পরিষদে ভোটের তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগ্রহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ছিল ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ১৮ সেপ্টেম্বর বাছাইয়ের পর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ ছিল ২৫ সেপ্টেম্বর। ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে।