টাঙ্গাইলে পুষ্টিকর সবজি করলার চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। জেলার পাহাড়ি এলাকায় প্রায় সারাবছরই করলার আবাদ হয়। চাহিদা বেশি থাকায় এবার ভালো দামও পাচ্ছেন কৃষকরা। তবে পোকার আক্রমণে ফলনে সমস্যা হচ্ছে। এসব করলা চলে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা গেলে করলার চাষে কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হবে বলে মনে করছেন তারা।
টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় সাড়ে তিনশ’ হেক্টর জমিতে করলার আবাদ হয়েছে। এ থেকে প্রায় ৪ হাজার মেট্রিকটন করলা উৎপাদন হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় করলার আবাদ হলেও পাহাড়ি এলাকা ঘাটাইল, সখীপুর ও মধুপুর অঞ্চলে করলার আবাদ বেশি এবং বাণিজ্যিক ভিত্তিতে হয়। প্রতি কেজি করলা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে। প্রচন্ড গরমের কারণে করলার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অন্য বছরের তুলনায় এবার লাভও বেশি পাচ্ছেন কৃষকরা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব এলাকার করলা বিক্রির উদ্দেশে চলে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। পাইকাররা খেত থেকেই করলা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
চাষি সাদেক আলী বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার করলা আবাদ ভালো হয়েছে। এ বছর করলার দামও অনেক বেশি। আমি ১০ শতাংশ জমিতে করলা আবাদ করেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর ১০ হাজার টাকা বেশি লাভ পেয়েছি। আরেক চাষি কাদের মিয়া বলেন, এবার আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে খেতে প্রচুর পরিমাণ করলা ধরছে। করলায় বিভিন্ন পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। যদি পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচা যায়, তাহলে আমরা আরও বেশি লাভবান হতে পারব। আবদুল হাকিম বলেন, আমি কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার করলা চাষ করেছি। প্রথম অবস্থাতেই আমার করলা খেতে অনেক করলা এসেছে। দামও ভালো পাচ্ছি। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আহসানুল বাসার বলেন, এ বছর করলার দাম বেশি থাকায় কৃষকরা করলা চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন। তিতা জাতীয় ফসল আমাদের দেহের রক্তের জন্য খুবই উপকারী। এজন্য আমরা কৃষি অফিসাররা কৃষকদের পাশে থেকে উদ্বুদ্ধ করছি, যাতে করলা আবাদ বৃদ্ধি পায়। করলা আবাদে পোকার আক্রমণ বেশি হয়। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে কৃষকদের পাশে থেকে সব সময় কাজ করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
টাঙ্গাইলে পুষ্টিকর সবজি করলার চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। জেলার পাহাড়ি এলাকায় প্রায় সারাবছরই করলার আবাদ হয়। চাহিদা বেশি থাকায় এবার ভালো দামও পাচ্ছেন কৃষকরা। তবে পোকার আক্রমণে ফলনে সমস্যা হচ্ছে। এসব করলা চলে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা গেলে করলার চাষে কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হবে বলে মনে করছেন তারা।
টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় সাড়ে তিনশ’ হেক্টর জমিতে করলার আবাদ হয়েছে। এ থেকে প্রায় ৪ হাজার মেট্রিকটন করলা উৎপাদন হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় করলার আবাদ হলেও পাহাড়ি এলাকা ঘাটাইল, সখীপুর ও মধুপুর অঞ্চলে করলার আবাদ বেশি এবং বাণিজ্যিক ভিত্তিতে হয়। প্রতি কেজি করলা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে। প্রচন্ড গরমের কারণে করলার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অন্য বছরের তুলনায় এবার লাভও বেশি পাচ্ছেন কৃষকরা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব এলাকার করলা বিক্রির উদ্দেশে চলে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। পাইকাররা খেত থেকেই করলা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
চাষি সাদেক আলী বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার করলা আবাদ ভালো হয়েছে। এ বছর করলার দামও অনেক বেশি। আমি ১০ শতাংশ জমিতে করলা আবাদ করেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর ১০ হাজার টাকা বেশি লাভ পেয়েছি। আরেক চাষি কাদের মিয়া বলেন, এবার আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে খেতে প্রচুর পরিমাণ করলা ধরছে। করলায় বিভিন্ন পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। যদি পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচা যায়, তাহলে আমরা আরও বেশি লাভবান হতে পারব। আবদুল হাকিম বলেন, আমি কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার করলা চাষ করেছি। প্রথম অবস্থাতেই আমার করলা খেতে অনেক করলা এসেছে। দামও ভালো পাচ্ছি। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আহসানুল বাসার বলেন, এ বছর করলার দাম বেশি থাকায় কৃষকরা করলা চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন। তিতা জাতীয় ফসল আমাদের দেহের রক্তের জন্য খুবই উপকারী। এজন্য আমরা কৃষি অফিসাররা কৃষকদের পাশে থেকে উদ্বুদ্ধ করছি, যাতে করলা আবাদ বৃদ্ধি পায়। করলা আবাদে পোকার আক্রমণ বেশি হয়। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে কৃষকদের পাশে থেকে সব সময় কাজ করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।