কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে মুক্তিপণের দাবিতে পাঁচ কৃষককে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এর মধ্যে তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাদের অপহরণ করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী ও মরিচ্যাঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত আরও দুজন এখনও নিখোঁজ।
নিখোঁজ দুজন হলেন হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালীর মৃত উলা মিয়ার ছেলে নজির আহমদ (৫০) ও তার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (২৭)। তাদের শসাখেত থেকে অপহরণ করে মরিচ্যাঘোনা পাহাড়ের দিকে নিয়ে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তাদের কোনো ধরনের খোঁজখবর পাওয়া যায়নি। একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে কল করে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সূত্রে জানা যায়, গতকাল ভোরে ওই পাঁচজন খেতে কাজ করতে যান। সেখান থেকে তাদের ১০-১২ জন অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। এর মধ্যে স্থানীয় আবুল মঞ্জুরের ছেলে মো. শাহজাহান (৩৫), ঠান্ডা মিয়ার ছেলে আবু বক্কর (৪০) ও আবু বক্করের শিশুপুত্র মেহেদী হাসানকে (১২) ধানখেত থেকে এবং নজির আহমদ ও তার ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে শসাখেত থেকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা।
অপহরণকারীরা পাঁচজনের প্রত্যেকের পরিবারে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না পেয়ে তারা কৃষক শাহজাহানকে গুলি করে। এ ছাড়া আবু বক্কর ও মেহেদী হাসানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে অপহরণকারীরা। পরে ওই কৃষকদের স্বজনেরা দল বেঁধে ঘটনাস্থলের দিকে গেলে আহত তিনজনকে ফেলে সন্ত্রাসীরা নজির আহমদ ও তার ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে অস্ত্রের মুখে পাহাড়ের ভেতরের দিকে ধরে নিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে মো. শাহজাহান, আবু বক্কর ও মেহেদী হাসানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। শাহজাহান গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আহত আবু বক্কর ও তার ছেলে মেহেদীকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ আছেন নজির আহমদ ও তার ছেলে।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, হ্নীলার পানখালী ও মরিচ্যাঘোনা পাহাড়ি এলাকার কৃষকদের খেতখামার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পাহাড়ের পাদদেশে যেতে হয়। ধান ও শসাখেত থেকে পাঁচ কৃষককে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে অপহরণ করেছে। এর আগে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা হ্নীলা ও হোয়াইক্যং পাহাড়ি এলাকা থেকে একাধিকবার কৃষকদের অপহরণ করেছিল।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাটি নিয়ে কাজ করছে। বাকি দুজনকেও দ্রুত উদ্ধার করা হবে।
শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে মুক্তিপণের দাবিতে পাঁচ কৃষককে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এর মধ্যে তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাদের অপহরণ করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী ও মরিচ্যাঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত আরও দুজন এখনও নিখোঁজ।
নিখোঁজ দুজন হলেন হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালীর মৃত উলা মিয়ার ছেলে নজির আহমদ (৫০) ও তার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (২৭)। তাদের শসাখেত থেকে অপহরণ করে মরিচ্যাঘোনা পাহাড়ের দিকে নিয়ে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তাদের কোনো ধরনের খোঁজখবর পাওয়া যায়নি। একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে কল করে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সূত্রে জানা যায়, গতকাল ভোরে ওই পাঁচজন খেতে কাজ করতে যান। সেখান থেকে তাদের ১০-১২ জন অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। এর মধ্যে স্থানীয় আবুল মঞ্জুরের ছেলে মো. শাহজাহান (৩৫), ঠান্ডা মিয়ার ছেলে আবু বক্কর (৪০) ও আবু বক্করের শিশুপুত্র মেহেদী হাসানকে (১২) ধানখেত থেকে এবং নজির আহমদ ও তার ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে শসাখেত থেকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা।
অপহরণকারীরা পাঁচজনের প্রত্যেকের পরিবারে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না পেয়ে তারা কৃষক শাহজাহানকে গুলি করে। এ ছাড়া আবু বক্কর ও মেহেদী হাসানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে অপহরণকারীরা। পরে ওই কৃষকদের স্বজনেরা দল বেঁধে ঘটনাস্থলের দিকে গেলে আহত তিনজনকে ফেলে সন্ত্রাসীরা নজির আহমদ ও তার ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে অস্ত্রের মুখে পাহাড়ের ভেতরের দিকে ধরে নিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে মো. শাহজাহান, আবু বক্কর ও মেহেদী হাসানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। শাহজাহান গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আহত আবু বক্কর ও তার ছেলে মেহেদীকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ আছেন নজির আহমদ ও তার ছেলে।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, হ্নীলার পানখালী ও মরিচ্যাঘোনা পাহাড়ি এলাকার কৃষকদের খেতখামার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পাহাড়ের পাদদেশে যেতে হয়। ধান ও শসাখেত থেকে পাঁচ কৃষককে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে অপহরণ করেছে। এর আগে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা হ্নীলা ও হোয়াইক্যং পাহাড়ি এলাকা থেকে একাধিকবার কৃষকদের অপহরণ করেছিল।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাটি নিয়ে কাজ করছে। বাকি দুজনকেও দ্রুত উদ্ধার করা হবে।