ফরিদপুরের সালথায় এক ঠিকাদারের কাছে থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন, সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমামুল খান (২৫), উপজেলা ছাত্রলীগের আরেক সহ-সভাপতি আবু মুসা ওরফে প্রিন্স মুসা (২২) ও জসীম মোল্যা (২০) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী। গ্রেপ্তারকৃত সবার বাড়িই উপজেলার মাঠ সালথা এলাকায়।

শুক্রবার দুপুরে আটকদের ফরিদপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের তাসা কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি উপজেলা সদরের মাঠ সালথার কলেজ রোড এলাকায় দুই কিলোমিটার রাস্তার কার্পেটিং কাজ করছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উক্ত কাজের মালামালের ট্রলি ঠেকিয়ে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন ৮/১০ জন যুবক। এসময় ট্রলির ড্রাইভারকে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারপিট করে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে ঠিকাদার থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় অন্যরা পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে তাসা কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই এলাকার কয়েকজন যুবক কক্সবাজারে যাবার খরচ চেয়ে রাস্তার মালামালের ট্রলি গাড়ি আটকে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। এর আগে তাদের ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে দাবী এ ঠিকাদারের। পরে চাঁদাদাবীর বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে গ্রেপ্তারকৃত উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু মুসার ভাই ইলিয়াস মোল্যা বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি রাস্তায় নিম্নমানের কাজ করছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমার ভাইসহ স্থানীয় কয়েকজন এর প্রতিবাদ করেন। তাদের কাছে চাঁদাদাবীর বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

এ ব্যাপারে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন রায় বলেন, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরে সাংগঠনিকভাবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, গ্রেফকৃতদের দুপুরে ফরিদপুরের কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।