নীলফামারী জেলা পরিষদ নির্বাচন
সৈয়দপুরে নীলফামারী জেলা পরিষদের সদস্য পদের নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে। উপজেলার শহর ও গ্রামের জনবহুল এলাকায় ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের ভোট প্রার্থনা পোস্টার। প্রার্থীরা ভোটারদের পক্ষে টানতে বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁয় ভূরিভোজের আয়োজন করছে। অনেক প্রার্থী ভোট আদায়ে কাকডাকা ভোরে উঠে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। বের করছেন ভোটারদের সঙ্গে আত্মীয়তার সূত্র। প্রার্থীদের অনেকে নিজ দলের আদর্শের সঙ্গে যুক্ত এবং ভোট প্রাপ্তির আশায় ব্যক্তিগত সম্পর্ক ঝালাই করে নিচ্ছেন। জেলা পরিষদের এ ভোট সাধারণের মাঝেও আলোচনার ঝড় তুলছে। প্রার্থীদের আদর্শ, চরিত্র ও আয়-রোজগারের বিষয়ে মানুষ খোঁজখবর নিচ্ছে। আলোচনায় স্থান পাচ্ছে প্রার্থীদের অতিত রাজনৈতিক কর্মকান্ড। এবারের জেলা পরিষদের নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ড তথা সৈয়দপুর উপজেলায় সাধারণ সদস্য পদে ভোট যুদ্ধে অবর্তীণ হয়েছে চারজন। এসব প্রার্থীরা হলেন সৈয়দপুর উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস নুরুল আমিন প্রামানিক। তার মার্কা অটোবাইক। তালা মার্কা নিয়ে সদস্য পদে লড়ছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নীলফামারী জেলা শাখার সহসভাপতি মিজানুর রহমান লিটন, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ। এ প্রার্থীর মার্কা হাতী। জাতীয়তাবাদী যুবদল সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক নলকূপ মার্কা নিয়ে সদস্য পদে ভোট যুদ্ধে লড়ছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিভিন্ন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে নুরুল আমিন প্রামানিকই নীতি আদর্শের দিক থেকে ক্লিন ইমেজের অধিকারি। ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়েই সমাজ সেবার হাতে খড়ি। বর্তমানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ জন্য তার অটোবাইক মার্কার কথা বেশ জোরেশোরেই আলোচনায় জায়গা করে নিয়েছে।
তালা মার্কা প্রার্থী মিজানুর রহমান লিটন ভোটের রাজনীতিতে বেশ শক্ত প্রার্থী। তার স্ত্রী সানজিদা বেগম লাকী ও ছোট ভাই আজমল হোসেন সরকার সৈয়দপুর উপজেলা পষিদের ভাইস চেয়ারম্যান। এমন কি তার আপন ছোট ভাই মাসুদ রানা পাইলট বাবু এই উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের রানিং চেয়ারম্যান। সবমিলে লিটনের পরিবার উপজেলার মধ্যে জনপ্রতিনিধি বেষ্টিত। একই পরিবার থেকে সব প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হবে এ বিষয়টি সাধারণ ভোটাররা মেনে নিতে পারছেন না। তাছাড়া মিজানুর রহমান লিটনের ছাত্র রাজনীতির কর্মকান্ড নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ফলে ভোটের রাজনীতিতে পাকা হলেও তার ইমেজ সংকটের কথা ভোটারদের মুখে মুখে আলোচনা চলছে।
সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক শিক্ষা জীবনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সৈয়দপুর উপজেলা শাখার প্রভাবশালী ছাত্র নেতা ছিলেন। ছাত্রত্ব শেষে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হলেও নিজের ভুল বুঝতে পেরে সেখান থেকে সরে আসেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে সরকারদলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে পড়েন। রাজনৈতিক অঙ্গনে অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত হলেও ভোটারদের হিসাব নিকাশের আলোচনায় বেশ পিছিয়ে আছে।
আওয়ামী ঘরানার তিন প্রার্থী এবং বিএনপির একজন প্রার্থী সৈয়দপুর উপজেলায় (৬নং ওয়ার্ড) সদস্য পদে লড়ায় ভোটের হিসাব নিকাশে চমক সৃষ্টি হতে পারে বলে ভোট বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন। আপতত: ভোটের লড়াই ও ব্যক্তি ইমেজেকে ঘিরে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে নূরুল আমিন প্রামাণিক ও আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক। জেলা পরিষদের এ আসনে সৈয়দপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে ভোটার সংখ্যা ৮৯।
উল্লেখ্য নীলফামারী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন মাত্র দুই জন। এরা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন (মোটরসাইকেল) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নীলফামারী বার সমিতির সভাপতি জনবান্ধব নেতা অ্যাড. মমতাজুল হক। তার মার্কা আনারস।
এদিকে সৈয়দপুর, কিশোরগঞ্জ ও নীলফামারী সদর উপজেলা মিলে ২নং সংরক্ষিত আসন। এই আসনের সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনজন। এসব প্রার্থীরা হলেন কনিকা রানী সরকার (টেলিফোন), ইসরাত জাহান পল্লবী (দোয়াত কলম) ও শিউলি আক্তার (ফুটবল)।
নীলফামারী জেলা পরিষদ নির্বাচন
বৃহস্পতিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২২
সৈয়দপুরে নীলফামারী জেলা পরিষদের সদস্য পদের নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে। উপজেলার শহর ও গ্রামের জনবহুল এলাকায় ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের ভোট প্রার্থনা পোস্টার। প্রার্থীরা ভোটারদের পক্ষে টানতে বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁয় ভূরিভোজের আয়োজন করছে। অনেক প্রার্থী ভোট আদায়ে কাকডাকা ভোরে উঠে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। বের করছেন ভোটারদের সঙ্গে আত্মীয়তার সূত্র। প্রার্থীদের অনেকে নিজ দলের আদর্শের সঙ্গে যুক্ত এবং ভোট প্রাপ্তির আশায় ব্যক্তিগত সম্পর্ক ঝালাই করে নিচ্ছেন। জেলা পরিষদের এ ভোট সাধারণের মাঝেও আলোচনার ঝড় তুলছে। প্রার্থীদের আদর্শ, চরিত্র ও আয়-রোজগারের বিষয়ে মানুষ খোঁজখবর নিচ্ছে। আলোচনায় স্থান পাচ্ছে প্রার্থীদের অতিত রাজনৈতিক কর্মকান্ড। এবারের জেলা পরিষদের নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ড তথা সৈয়দপুর উপজেলায় সাধারণ সদস্য পদে ভোট যুদ্ধে অবর্তীণ হয়েছে চারজন। এসব প্রার্থীরা হলেন সৈয়দপুর উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস নুরুল আমিন প্রামানিক। তার মার্কা অটোবাইক। তালা মার্কা নিয়ে সদস্য পদে লড়ছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নীলফামারী জেলা শাখার সহসভাপতি মিজানুর রহমান লিটন, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ। এ প্রার্থীর মার্কা হাতী। জাতীয়তাবাদী যুবদল সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক নলকূপ মার্কা নিয়ে সদস্য পদে ভোট যুদ্ধে লড়ছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিভিন্ন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে নুরুল আমিন প্রামানিকই নীতি আদর্শের দিক থেকে ক্লিন ইমেজের অধিকারি। ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়েই সমাজ সেবার হাতে খড়ি। বর্তমানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ জন্য তার অটোবাইক মার্কার কথা বেশ জোরেশোরেই আলোচনায় জায়গা করে নিয়েছে।
তালা মার্কা প্রার্থী মিজানুর রহমান লিটন ভোটের রাজনীতিতে বেশ শক্ত প্রার্থী। তার স্ত্রী সানজিদা বেগম লাকী ও ছোট ভাই আজমল হোসেন সরকার সৈয়দপুর উপজেলা পষিদের ভাইস চেয়ারম্যান। এমন কি তার আপন ছোট ভাই মাসুদ রানা পাইলট বাবু এই উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের রানিং চেয়ারম্যান। সবমিলে লিটনের পরিবার উপজেলার মধ্যে জনপ্রতিনিধি বেষ্টিত। একই পরিবার থেকে সব প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হবে এ বিষয়টি সাধারণ ভোটাররা মেনে নিতে পারছেন না। তাছাড়া মিজানুর রহমান লিটনের ছাত্র রাজনীতির কর্মকান্ড নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ফলে ভোটের রাজনীতিতে পাকা হলেও তার ইমেজ সংকটের কথা ভোটারদের মুখে মুখে আলোচনা চলছে।
সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক শিক্ষা জীবনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সৈয়দপুর উপজেলা শাখার প্রভাবশালী ছাত্র নেতা ছিলেন। ছাত্রত্ব শেষে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হলেও নিজের ভুল বুঝতে পেরে সেখান থেকে সরে আসেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে সরকারদলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে পড়েন। রাজনৈতিক অঙ্গনে অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত হলেও ভোটারদের হিসাব নিকাশের আলোচনায় বেশ পিছিয়ে আছে।
আওয়ামী ঘরানার তিন প্রার্থী এবং বিএনপির একজন প্রার্থী সৈয়দপুর উপজেলায় (৬নং ওয়ার্ড) সদস্য পদে লড়ায় ভোটের হিসাব নিকাশে চমক সৃষ্টি হতে পারে বলে ভোট বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন। আপতত: ভোটের লড়াই ও ব্যক্তি ইমেজেকে ঘিরে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে নূরুল আমিন প্রামাণিক ও আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক। জেলা পরিষদের এ আসনে সৈয়দপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে ভোটার সংখ্যা ৮৯।
উল্লেখ্য নীলফামারী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন মাত্র দুই জন। এরা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন (মোটরসাইকেল) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নীলফামারী বার সমিতির সভাপতি জনবান্ধব নেতা অ্যাড. মমতাজুল হক। তার মার্কা আনারস।
এদিকে সৈয়দপুর, কিশোরগঞ্জ ও নীলফামারী সদর উপজেলা মিলে ২নং সংরক্ষিত আসন। এই আসনের সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনজন। এসব প্রার্থীরা হলেন কনিকা রানী সরকার (টেলিফোন), ইসরাত জাহান পল্লবী (দোয়াত কলম) ও শিউলি আক্তার (ফুটবল)।