ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনোয়ার হোসেন অসিম এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ও বিভিন্ন নারীর কাছে নিজের অশ্লীল ছবি দেওয়ার ঘটনায় দায়সারা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে তার চেয়ে নিম্নপদে কর্মরত সদস্য রয়েছে; যা নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়নি। ফলে এ তদন্ত কমিটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিভাবকদের ধারণা এটি দায়সারা এবং ওই শিক্ষককে রক্ষা করার কমিটি।
জানা গেছে, স্কুলশিক্ষক মনোয়ার হোসেন অসিম সম্প্রতি যশোরে এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে স্থানীয়দের কাছে ধরা পড়েন। এরপর তাকে মারধর করেন স্থানীয়রা। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। কিন্তু জেলা শিক্ষা অফিস থেকে এ ঘটনায় একটি দায়সারা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মধুসূদন সাহাকে। বাকি দুই সদস্য হলেন- বারবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রুহুল আমিন। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর ধারা ৫ এর উপবিধি-২ মোতাবেক অভিযুক্ত সরকারি কর্মচারী পদমর্যাদার নি¤েœ নহেন এমন তিনজন গেজেটেড কর্মকর্তার সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া মিলন জানান, একজন সরকারি কর্মচারীর অপরাধের তদন্ত কোনভাবেই বেসরকারি বা অভিযুক্ত ব্যক্তির নিচের পদের কেউ তদন্ত করতে পারেন না। শিক্ষক অসিমকান্ডে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সেটি একদমই দায়সারা ও ভুয়া।
ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসার শেখ মনিরুল ইসলাম জানান, সরকারি কর্মচারীদের অপরাধের তদন্ত কমিটি গঠনের আইনটি তার জানা নেই। যদি আইনে এমন থাকে তাহলে তদন্ত কমিটি পরিবর্তন করা হবে।
এদিকে ঘটনার কয়েক দিন পার হলেও ওই শিক্ষকের ব্যাপারে প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ক্ষোভে ফুসছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা অবিলম্বে শিক্ষক মনোয়ার হোসেন অসিমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। একজন শিক্ষকের এমন নৈতিক অবক্ষয় মানতে পারছেন না এলাকাবাসী। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শাস্তির ব্যবস্থা না করলে মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়টির প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর ২০২২
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনোয়ার হোসেন অসিম এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ও বিভিন্ন নারীর কাছে নিজের অশ্লীল ছবি দেওয়ার ঘটনায় দায়সারা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে তার চেয়ে নিম্নপদে কর্মরত সদস্য রয়েছে; যা নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়নি। ফলে এ তদন্ত কমিটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিভাবকদের ধারণা এটি দায়সারা এবং ওই শিক্ষককে রক্ষা করার কমিটি।
জানা গেছে, স্কুলশিক্ষক মনোয়ার হোসেন অসিম সম্প্রতি যশোরে এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে স্থানীয়দের কাছে ধরা পড়েন। এরপর তাকে মারধর করেন স্থানীয়রা। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। কিন্তু জেলা শিক্ষা অফিস থেকে এ ঘটনায় একটি দায়সারা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মধুসূদন সাহাকে। বাকি দুই সদস্য হলেন- বারবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রুহুল আমিন। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর ধারা ৫ এর উপবিধি-২ মোতাবেক অভিযুক্ত সরকারি কর্মচারী পদমর্যাদার নি¤েœ নহেন এমন তিনজন গেজেটেড কর্মকর্তার সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া মিলন জানান, একজন সরকারি কর্মচারীর অপরাধের তদন্ত কোনভাবেই বেসরকারি বা অভিযুক্ত ব্যক্তির নিচের পদের কেউ তদন্ত করতে পারেন না। শিক্ষক অসিমকান্ডে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সেটি একদমই দায়সারা ও ভুয়া।
ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসার শেখ মনিরুল ইসলাম জানান, সরকারি কর্মচারীদের অপরাধের তদন্ত কমিটি গঠনের আইনটি তার জানা নেই। যদি আইনে এমন থাকে তাহলে তদন্ত কমিটি পরিবর্তন করা হবে।
এদিকে ঘটনার কয়েক দিন পার হলেও ওই শিক্ষকের ব্যাপারে প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ক্ষোভে ফুসছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা অবিলম্বে শিক্ষক মনোয়ার হোসেন অসিমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। একজন শিক্ষকের এমন নৈতিক অবক্ষয় মানতে পারছেন না এলাকাবাসী। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শাস্তির ব্যবস্থা না করলে মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়টির প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।