রংপুরের পীরগজ্ঞ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে সাইকেল চুরির মিথ্যা অভিযোগ এনে রিফাত নামে ১০ বছরের শিশুকে ধরে এনে দুদিন আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন করে হাত পা ভেঙে দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা ও স্কুল শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক। শিশুটিকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে পুরো উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। অবশেষে পুলিশ নির্যাতনকারী স্কুল শিক্ষক সাজুকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে এসেছে।
এলাকাবাসির অভিযোগ নির্যাতনকারী স্কুল শিক্ষক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ভাই স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কোটিপতি ব্যবসায়ী হওয়ায় প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।
পীরগজ্ঞ থানার ওসি জাকির হোসেন শিশুকে নির্যাতনের ঘটনায় নির্যাতনকারী স্কুল শিক্ষক সাজুকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, পীরগজ্ঞ উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নের বাজে শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক সাজু মিয়ার শশুড়ের গত ২৩ নভেম্বর বুধবার একটি বাই সাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় স্কুল শিক্ষক সাজু মিয়া পাশ্ববর্তী মরারপাড়া গ্রামের মোকলেসুর রহমানের ১০ বছর বয়সী ছেলে রিফাতকে তার বাসা থেকে ধরে আনে। এরপর শিশুটিকে লাঠি দিয়ে আমানবিক নির্যাতন করে। শিশুটির পা রশি দিয়ে বেঁধে লাঠি দিয়ে তাকে নির্যাতন করা হলে শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর শিশু রিফাতকে রাত ভর তার বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করে। পরের দিন ২৪ নভেম্বর বৃহসপতিবার সকালে আবারও শিশু রিফাতকে হাত পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। পুলিশ জানায় শিশু রিফাতকে বাই সাইকেল চুরি করার অপরাধ এনে তাকে বাই সাইকেল ফেরত দেবার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। শিশু রিফাত বাই সাইকেল চুরি করেনি জানালে তাকে আবারো নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনকারী স্কুল শিক্ষক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এবং এবিএস ইট ভাটার মালিক ও কোটিপতি ব্যাবসায়ী ও এলাকার প্রভাবশালী ব্যাক্তি হওয়ায় গ্রামবাসি তার বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি বলে নির্যাতিত শিশু রিফাতের বাবা মোখলেসুর রহমানসহ স্বজনরা অভিযোগ করে।
এদিকে শিশু রিফাতকে অমানবিক নির্যাতন করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি পীরগজ্ঞ থানা পুলিশ নির্যাতনের ভিডিও দেখে নির্যাতনকারী স্কুল শিক্ষক সাজু মিয়াকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
বৃহস্পতিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২২
রংপুরের পীরগজ্ঞ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে সাইকেল চুরির মিথ্যা অভিযোগ এনে রিফাত নামে ১০ বছরের শিশুকে ধরে এনে দুদিন আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন করে হাত পা ভেঙে দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা ও স্কুল শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক। শিশুটিকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে পুরো উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। অবশেষে পুলিশ নির্যাতনকারী স্কুল শিক্ষক সাজুকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে এসেছে।
এলাকাবাসির অভিযোগ নির্যাতনকারী স্কুল শিক্ষক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ভাই স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কোটিপতি ব্যবসায়ী হওয়ায় প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।
পীরগজ্ঞ থানার ওসি জাকির হোসেন শিশুকে নির্যাতনের ঘটনায় নির্যাতনকারী স্কুল শিক্ষক সাজুকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, পীরগজ্ঞ উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নের বাজে শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক সাজু মিয়ার শশুড়ের গত ২৩ নভেম্বর বুধবার একটি বাই সাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় স্কুল শিক্ষক সাজু মিয়া পাশ্ববর্তী মরারপাড়া গ্রামের মোকলেসুর রহমানের ১০ বছর বয়সী ছেলে রিফাতকে তার বাসা থেকে ধরে আনে। এরপর শিশুটিকে লাঠি দিয়ে আমানবিক নির্যাতন করে। শিশুটির পা রশি দিয়ে বেঁধে লাঠি দিয়ে তাকে নির্যাতন করা হলে শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর শিশু রিফাতকে রাত ভর তার বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করে। পরের দিন ২৪ নভেম্বর বৃহসপতিবার সকালে আবারও শিশু রিফাতকে হাত পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। পুলিশ জানায় শিশু রিফাতকে বাই সাইকেল চুরি করার অপরাধ এনে তাকে বাই সাইকেল ফেরত দেবার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। শিশু রিফাত বাই সাইকেল চুরি করেনি জানালে তাকে আবারো নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনকারী স্কুল শিক্ষক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এবং এবিএস ইট ভাটার মালিক ও কোটিপতি ব্যাবসায়ী ও এলাকার প্রভাবশালী ব্যাক্তি হওয়ায় গ্রামবাসি তার বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি বলে নির্যাতিত শিশু রিফাতের বাবা মোখলেসুর রহমানসহ স্বজনরা অভিযোগ করে।
এদিকে শিশু রিফাতকে অমানবিক নির্যাতন করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি পীরগজ্ঞ থানা পুলিশ নির্যাতনের ভিডিও দেখে নির্যাতনকারী স্কুল শিক্ষক সাজু মিয়াকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।