মানিকগঞ্জে অবৈধভাবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে বাণিজ্যিকভাবে দোকান বরাদ্দ দিয়ে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, এমন অভিযোগ উঠেছে কাজী বিপু রহমান নামে এক নারীর বিরুদ্ধে। নিজের জায়গার উপর দোকান নির্মাণ ও বরাদ্দ দিয়েছেন তিনি, এমন দাবী কাজী বিপু রহমানের। জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে এ সকল বাণিজ্যিক দোকানগুলো অপসারণ করার জন্য নোটিশ দেওয়া হলেও কোন লাভ হয়নি।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, মানিকগঞ্জ জেলা শহরের প্রবেশদ্বারের উল্টো পাশে অবস্থিত নবীন সিনেমা হল ও নবীন কমপ্লেক্স। আর এই দুটি প্রতিষ্ঠানের সামনেই গড়ে উঠেছে এসকল বাণিজ্যিক কাপড়ের দোকান। প্রতি পাঁচ ফিট পজিশন জায়গার জন্য ৩ লক্ষ আবার কারো কারো কাছ থেকে আরো বেশী টাকা জামানত নিয়ে এই সকল দোকান বরাদ্দ দিয়েছেন কাজী বিপু রহমান। এছাড়া প্রতিটি দোকান থেকে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা করে ভাড়াও নেন এই নারীর ম্যানেজার মো.কাজীমুদ্দিন।
হানিফ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, এখন যেখানে দোকান করছি এই জায়গাতে টিনশেড ওয়াল করার জন্য তিন বছর আগে ১৫ লক্ষ টাকা জামানত দিয়েছি। প্রতি মাসে মোটা অংকের ভাড়াও দিচিছ। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি এটা সরকারী জায়গা। বিপু রহমানের কাছে জামানতের টাকা চাইতে গেলে সে বিভিন্ন অজুহাতে আমাকে ঘুরাচেছ।
আরেক ব্যবসায়ী সোহান মিয়া বলেন, সড়ক বিভাগ থেকে উচেছদের জন্য একটি নোটিশ দিয়েছে। এটা শোনার পর থেকে টেনশনে আছি। জামানতের টাকা তো আর তুলতে পারবো না। আমরা গরীব মানুষ, যাবো কোথায়?
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, বিপু রহমান খুব ক্ষমতাবান মহিলা। তার সঙ্গে অনেক বড় বড় মানুষের সম্পর্ক আছে। এজন্য তার বিরুদ্ধে আমরা কেউ কোন কথা বলতে পারি না। দোকান বরাদ্দ দিয়ে আমাদের মতো ১৫/২০ জন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা জামানত নিয়েছে সে। এখন সেই জামানতের টাকা ফেরত চাইতে গেলে বিভিন্ন টালবাহানাসহ হুমকিও প্রদর্শন করছে।
অভিযুক্ত নারী কাজী বিপু রহমানের ম্যানেজার কাজীমুদ্দিন বলেন, যে জায়গাতে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এই সম্পত্তির মালিক কাজী বিপু রহমান। এটা আমাদের সম্পত্তি এবং প্রতিটি ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমাদের চুক্তিপত্র রয়েছে। ব্যবসায়ীরা প্রতি মাসে আমাদের ভাড়াও দিচেছ আর সেই ভাড়ার টাকা আমি মালিক পক্ষের হাতে বুঝিয়ে দিচিছ ।
অভিযুক্ত কাজী বিপু রহমান বলেন, কোন ব্যবসায়ীর কাছ থেকেই কোন জামানত নেওয়া হয়নি। তারা গরীব মানুষ, সেজন্য আমার ব্যাক্তি মালিকানাধীন জায়গাতে তারা কাপড়ের দোকান করছে। আমার ম্যানেজার মাঝে মাঝে তাদের কাছ থেকে ভাড়ার টাকা এনে আমাকে দিয়ে যায়। সড়ক বিভাগ পরিমাপ করার পর যদি জায়গা তারা পায়, তাহলে সে জায়গা তারা নিয়ে যাবে।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গাউস-উল-হাসান-মারুফ বলেন, নবীন সিনেমা হলের সামনের কাপড়ের দোকানগুলো সড়ক বিভাগের জায়গা। বিধায় তাদের নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। তাদেরকে দোকানগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। দোকানগুলো না সরিয়ে নিলে দ্রুত উচেছদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
শুক্রবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২২
মানিকগঞ্জে অবৈধভাবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে বাণিজ্যিকভাবে দোকান বরাদ্দ দিয়ে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, এমন অভিযোগ উঠেছে কাজী বিপু রহমান নামে এক নারীর বিরুদ্ধে। নিজের জায়গার উপর দোকান নির্মাণ ও বরাদ্দ দিয়েছেন তিনি, এমন দাবী কাজী বিপু রহমানের। জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে এ সকল বাণিজ্যিক দোকানগুলো অপসারণ করার জন্য নোটিশ দেওয়া হলেও কোন লাভ হয়নি।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, মানিকগঞ্জ জেলা শহরের প্রবেশদ্বারের উল্টো পাশে অবস্থিত নবীন সিনেমা হল ও নবীন কমপ্লেক্স। আর এই দুটি প্রতিষ্ঠানের সামনেই গড়ে উঠেছে এসকল বাণিজ্যিক কাপড়ের দোকান। প্রতি পাঁচ ফিট পজিশন জায়গার জন্য ৩ লক্ষ আবার কারো কারো কাছ থেকে আরো বেশী টাকা জামানত নিয়ে এই সকল দোকান বরাদ্দ দিয়েছেন কাজী বিপু রহমান। এছাড়া প্রতিটি দোকান থেকে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা করে ভাড়াও নেন এই নারীর ম্যানেজার মো.কাজীমুদ্দিন।
হানিফ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, এখন যেখানে দোকান করছি এই জায়গাতে টিনশেড ওয়াল করার জন্য তিন বছর আগে ১৫ লক্ষ টাকা জামানত দিয়েছি। প্রতি মাসে মোটা অংকের ভাড়াও দিচিছ। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি এটা সরকারী জায়গা। বিপু রহমানের কাছে জামানতের টাকা চাইতে গেলে সে বিভিন্ন অজুহাতে আমাকে ঘুরাচেছ।
আরেক ব্যবসায়ী সোহান মিয়া বলেন, সড়ক বিভাগ থেকে উচেছদের জন্য একটি নোটিশ দিয়েছে। এটা শোনার পর থেকে টেনশনে আছি। জামানতের টাকা তো আর তুলতে পারবো না। আমরা গরীব মানুষ, যাবো কোথায়?
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, বিপু রহমান খুব ক্ষমতাবান মহিলা। তার সঙ্গে অনেক বড় বড় মানুষের সম্পর্ক আছে। এজন্য তার বিরুদ্ধে আমরা কেউ কোন কথা বলতে পারি না। দোকান বরাদ্দ দিয়ে আমাদের মতো ১৫/২০ জন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা জামানত নিয়েছে সে। এখন সেই জামানতের টাকা ফেরত চাইতে গেলে বিভিন্ন টালবাহানাসহ হুমকিও প্রদর্শন করছে।
অভিযুক্ত নারী কাজী বিপু রহমানের ম্যানেজার কাজীমুদ্দিন বলেন, যে জায়গাতে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এই সম্পত্তির মালিক কাজী বিপু রহমান। এটা আমাদের সম্পত্তি এবং প্রতিটি ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমাদের চুক্তিপত্র রয়েছে। ব্যবসায়ীরা প্রতি মাসে আমাদের ভাড়াও দিচেছ আর সেই ভাড়ার টাকা আমি মালিক পক্ষের হাতে বুঝিয়ে দিচিছ ।
অভিযুক্ত কাজী বিপু রহমান বলেন, কোন ব্যবসায়ীর কাছ থেকেই কোন জামানত নেওয়া হয়নি। তারা গরীব মানুষ, সেজন্য আমার ব্যাক্তি মালিকানাধীন জায়গাতে তারা কাপড়ের দোকান করছে। আমার ম্যানেজার মাঝে মাঝে তাদের কাছ থেকে ভাড়ার টাকা এনে আমাকে দিয়ে যায়। সড়ক বিভাগ পরিমাপ করার পর যদি জায়গা তারা পায়, তাহলে সে জায়গা তারা নিয়ে যাবে।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গাউস-উল-হাসান-মারুফ বলেন, নবীন সিনেমা হলের সামনের কাপড়ের দোকানগুলো সড়ক বিভাগের জায়গা। বিধায় তাদের নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। তাদেরকে দোকানগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। দোকানগুলো না সরিয়ে নিলে দ্রুত উচেছদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।