alt

সারাদেশ

বেনারসি পল্লী ১৮ বছর পরও ধুঁকে ধুঁকে চলছে!

প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী (পাবনা) : শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২২

দেশভাগের পর উত্তর ভারতের কয়েকটি অঞ্চল থেকে কয়েকজন বেনারসি কারিগর পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ফতেমোহাম্মদপুর এলাকায় এসে বসতি স্থাপনের পর সেখানে তারা বেনারসি কাতানসহ বেশ কয়েক ধরনের অভিজাত শাড়ি বোনার কাজ শুরু করেন। সেই সব পুরনো কারিগরদের সবাই মারা গেছেন। তাদের উত্তরসূরিরা এ অঞ্চলে এখনও ঐতিহ্যবাহী বেনারসি শাড়ি বোনার কাজ করছেন। এ অঞ্চলে এখনও প্রায় ২ শতাধিক বেনারসি কারিগর পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ধরে বেনারসি কাতান বুনে চলছেন। বর্তমানে বাজারে নানান বিদেশি পণ্যের উপস্থিতিতে বেনারসি কাতানের বিক্রি কমলেও অভিজাত সমাজে এখনও এর কদর আছে।

কিন্তু বর্তমানে শাড়ি বিক্রি কমে যাওয়ায় সংকটে পড়েছেন দেশের অন্যতম বৃহৎ বেনারসি পল্লীর কারিগররা। এই শিল্পকে প্রসারিত করতে ২০০৪ সালে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড মোহাম্মদপুরে সাড়ে ৫ একর জায়গায় গড়ে তোলে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বেনারসি পল্লী। কারিগরদের কম দামে প্লট বরাদ্দ দিয়ে বেনারসি কারখানা স্থাপন ও সেখান থেকে উৎপাদিত পণ্য দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বিপণনের সুব্যবস্থার জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় বেনারসি পল্লী গড়ে তোলা হয়। কারিগরদের জন্য সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিতের কথা ছিল এ পল্লীতে। কিন্তু ২০ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের ১৮ বছর কেটে গেলেও কোনো উদ্যোগই এখন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হতে দেখা যায়নি। প্লট নিয়ে কারখানা গড়ে তুলতে পারেনি বেশিরভাগ তাঁতি।

সরেজমিন দেখা গেছে, ২০০৪ সাল থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে প্রকল্পের জমি বরাদ্দ দেয়া হলেও বেশিরভাগ প্লট ব্যবহৃত না হওয়ায় পুরো পল্লী এখন আগাছায় পূর্ণ। প্রকল্প এলাকায় মসজিদ ছাড়া অন্যান্য স্থাপনাগুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অকেজো হয়ে পড়েছে। বেনারসি পল্লীর একটি সূত্র থেকে জানা যায়, কারিগররা কম দামে প্লট নিলেও তাদের অনেকেই কারখানা করেননি। অনেকে আবার নিয়মনীতি না মেনে বরাদ্দ পাওয়া প্লট অন্যদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। বরাদ্দ নেয়া ৯০ প্লটের মধ্যে মাত্র ১৫ প্লটের কিস্তি নিয়মিত দেয়া আছে, বাকিদের অনেকে কিস্তির টাকা এখনও পরিশোধ করেননি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ৯০ প্লটের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭টিতে কারখানা হয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগ বছরের পর বছর ধরে বন্ধ। কয়েকটি কারখানা চালু থাকলেও সেগুলো চলছে বাইরের প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে। আরও জানা যায়, ২০ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে ১৮ বছরেও কারখানা স্থাপন না করা ও দীর্ঘদিন প্লটের টাকা পরিশোধ না করায় গত মার্চে তাঁত বোর্ড ৯০ প্লট গ্রহীতার মধ্যে ৮৫ জনকে নোটিশ দেয়। এতে বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাওনা পরিশোধ না করলে বরাদ্দ বাতিল করা হবে। ইতোমধ্যে একজনের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। বেনারসি প্রকল্পের কার্যালয়ের অবস্থাও করুণ। লোকবলের অভাবে এটি নিয়মিত খোলা হয় না।

ঈশ্বরদী বেনারসি পল্লীর ঐতিহ্য বহন করে চলা কারিগর জাবেদ বেনারসির স্বত্বাধিকারী বলেন, ১৯৪৭ সালের পর ভারত থেকে বাবা আব্দুল মজিদসহ বেশ কয়েকজন বেনারসি কারিগর ফতেমোহাম্মদপুর এলাকায় বসতি গড়েন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্যবাহী ব্যবসা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। রঙ ও সুতাসহ কাঁচামালের দাম বাড়ার পাশাপাশি ভারতীয় শাড়ির প্রভাবে বাজারে বেনারসি-কাতান বিক্রি আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে বলে জানান তিনি। হাতে চালানো তাঁত দিয়ে বেনারসি-কাতান বুননে শ্রমিকের খরচ অনেক বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি শাড়ি তৈরিতে ৩ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত মজুরি দিতে হয়। ১২ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা দামের শাড়ি এখানে তৈরি করা হয়। স্থানীয় বাজারে এর ক্রেতা পাওয়া কঠিন। ব্যবসায়ী জাবেদ বলেন, পুঁজির অভাবে অনেকেই ইতোমধ্যে পেশা পরিবর্তন করেছেন। এ অবস্থায় বেনারসি পল্লীতে নতুন করে বিনিয়োগের অবস্থা কোনো তাঁতিরই নেই। স্থানীয় তাঁতিরা কারখানা করে ব্যবসা করতে না পারলেও অন্য অঞ্চলের বড় বড় ব্যবসায়ীরা কয়েকটি কারখানা করেছেন।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার বৃহত্তম কাপড়ের কারখানা জামান টেক্সটাইল ঈশ্বরদী বেনারসি পল্লীতে ২টি কারখানা চালু রেখেছে। কারখানার ম্যানেজার শরিফুল আলম বলেন, অবাঙালি তাঁতিদের নামে বরাদ্দ দেয়া প্লটে কারখানা করে ব্যবসা করতে হচ্ছে। কারখানা ২টিতে প্রায় ৩০ তাঁত চালু আছে। প্রতি সপ্তাহে ২৫-২৬ শাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। সেগুলো আড়ংয়ে সরবরাহ করা হয়। তবে এখানে কারখানা করলেও কোনো সুবিধা মিলছে না বলে জানান তিনি। শরিফুল আলম বলেন, এখানে প্রসেসিং কারখানা করার কথা থাকলেও তা হয়নি। ঢাকা থেকে সুতা প্রসেস করে আনতে হয়। প্রতি শাড়িতে প্রায় ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়। এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। কারখানা চলানো ঝুঁকিপূর্ণ।

হিটস্ট্রোকে ৪ জনের মৃত্যু

ছবি

ঈদযাত্রা : মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনা ৫১ শতাংশ, সাড়ে ৪২ শতাংশ নিহত

ছবি

১৫ শ্রমিক নিয়ে সাজেকের খাদে ট্রাক, নিহত ৯

ছবি

রাজধানীতে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত

ছবি

থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত

ছবি

বাসের ধাক্কায় চুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু নরসিংদীর বাড়িতে কান্নার রোল

ছবি

অপহরণ ও মারধরের শিকার দেলোয়ার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিংড়া উপজেলার চেয়ারম্যান

ছবি

রাজশাহীতে বৃষ্টি নামাতে বিয়ের পিঁড়িতে দুই ব্যঙ

ছবি

রংপুরে সাজাপ্রাপ্ত দুই যুবদল নেতাকে কারাগাওে পাঠানোর নির্দেশে বিক্ষোভ

ছবি

আনসার সদস্যের ‘আত্মহত্যা’র কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ

ছবি

পরিবার পাবে ১০ লাখ টাকা চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, আল্টিমেটাম

তিস্তাসহ ৫৪ অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা দাবিতে বাসদের লং মার্চ

ছবি

লালমনিরহাটে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন হাজার হাজার মুসল্লি

ছবি

অসহায় পরিবারের নিরুপায় নির্মমতা! চুরি ঠেকাতে ৩ বছর শেকল বন্দি কিশোর

ছবি

ছাত্র হত্যায় যুবকের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড

হোটেলে আটকে রেখে কিশোর ধর্ষণ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ছবি

ক্যাসিনোকাণ্ডের সেই সেলিম প্রধানের মনোনয়নপত্র বাতিল

ভৌতিক বিলের খপ্পর চট্টগ্রামে মিটার-সংযোগবিহীন গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল প্রায় ৭ লাখ টাকা

ছবি

এবারের ঈদযাত্রায় সড়কে ঝরেছে ৩৬৭ জনের প্রাণ

ছবি

চুয়েটের ২ শিক্ষার্থীকে চাপা দেওয়া বাসের চালক গ্রেপ্তার

ছবি

মাদারীপুরে এক্সপ্রেসওয়েতে বাস উল্টে নিহত ১, আহত ১০

ছবি

মায়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজে দেশে ফিরছেন ১৫৩ বাংলাদেশি

ছবি

কক্সবাজারে স্পেশাল ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত

ছবি

ট্রেন লাইনচ্যুত, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

ছবি

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

নড়াইলে মাদক মামলায় ২ জনের যাবতজ্জীবন

আনসার সদস্যের ‘আত্মহত্যা’র কারণ খুঁজছে পুলিশ

ছবি

বাগেরহাটে যাত্রীবাহি বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খাদে, নিহত ১

ছবি

৫ জুন চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট

ছবি

ফরিদপুরে দুই ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

ছবি

নন্দীগ্রামে মসজিদের মিটিংয়ে হুমকি, নামাজ শেষে হামলা

ছবি

কক্সবাজারের তিন উপজেলায় কে কোন প্রতীক পেলেন

ছবি

গাজীপুরে মহাসড়কের পাশ থেকে হাতী মরদেহ উদ্ধার

ছবি

মোরেলগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইসতেস্কার নামাজ আদায়

ছবি

তীব্র গরম ও তাপদাহে অতিষ্ঠ মধুপুরবাসী বাড়ছে নানা রোগ

ছবি

মধুপুরে জৈব কৃষি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

tab

সারাদেশ

বেনারসি পল্লী ১৮ বছর পরও ধুঁকে ধুঁকে চলছে!

প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী (পাবনা)

শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২২

দেশভাগের পর উত্তর ভারতের কয়েকটি অঞ্চল থেকে কয়েকজন বেনারসি কারিগর পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ফতেমোহাম্মদপুর এলাকায় এসে বসতি স্থাপনের পর সেখানে তারা বেনারসি কাতানসহ বেশ কয়েক ধরনের অভিজাত শাড়ি বোনার কাজ শুরু করেন। সেই সব পুরনো কারিগরদের সবাই মারা গেছেন। তাদের উত্তরসূরিরা এ অঞ্চলে এখনও ঐতিহ্যবাহী বেনারসি শাড়ি বোনার কাজ করছেন। এ অঞ্চলে এখনও প্রায় ২ শতাধিক বেনারসি কারিগর পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ধরে বেনারসি কাতান বুনে চলছেন। বর্তমানে বাজারে নানান বিদেশি পণ্যের উপস্থিতিতে বেনারসি কাতানের বিক্রি কমলেও অভিজাত সমাজে এখনও এর কদর আছে।

কিন্তু বর্তমানে শাড়ি বিক্রি কমে যাওয়ায় সংকটে পড়েছেন দেশের অন্যতম বৃহৎ বেনারসি পল্লীর কারিগররা। এই শিল্পকে প্রসারিত করতে ২০০৪ সালে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড মোহাম্মদপুরে সাড়ে ৫ একর জায়গায় গড়ে তোলে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বেনারসি পল্লী। কারিগরদের কম দামে প্লট বরাদ্দ দিয়ে বেনারসি কারখানা স্থাপন ও সেখান থেকে উৎপাদিত পণ্য দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বিপণনের সুব্যবস্থার জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় বেনারসি পল্লী গড়ে তোলা হয়। কারিগরদের জন্য সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিতের কথা ছিল এ পল্লীতে। কিন্তু ২০ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের ১৮ বছর কেটে গেলেও কোনো উদ্যোগই এখন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হতে দেখা যায়নি। প্লট নিয়ে কারখানা গড়ে তুলতে পারেনি বেশিরভাগ তাঁতি।

সরেজমিন দেখা গেছে, ২০০৪ সাল থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে প্রকল্পের জমি বরাদ্দ দেয়া হলেও বেশিরভাগ প্লট ব্যবহৃত না হওয়ায় পুরো পল্লী এখন আগাছায় পূর্ণ। প্রকল্প এলাকায় মসজিদ ছাড়া অন্যান্য স্থাপনাগুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অকেজো হয়ে পড়েছে। বেনারসি পল্লীর একটি সূত্র থেকে জানা যায়, কারিগররা কম দামে প্লট নিলেও তাদের অনেকেই কারখানা করেননি। অনেকে আবার নিয়মনীতি না মেনে বরাদ্দ পাওয়া প্লট অন্যদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। বরাদ্দ নেয়া ৯০ প্লটের মধ্যে মাত্র ১৫ প্লটের কিস্তি নিয়মিত দেয়া আছে, বাকিদের অনেকে কিস্তির টাকা এখনও পরিশোধ করেননি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ৯০ প্লটের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭টিতে কারখানা হয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগ বছরের পর বছর ধরে বন্ধ। কয়েকটি কারখানা চালু থাকলেও সেগুলো চলছে বাইরের প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে। আরও জানা যায়, ২০ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে ১৮ বছরেও কারখানা স্থাপন না করা ও দীর্ঘদিন প্লটের টাকা পরিশোধ না করায় গত মার্চে তাঁত বোর্ড ৯০ প্লট গ্রহীতার মধ্যে ৮৫ জনকে নোটিশ দেয়। এতে বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাওনা পরিশোধ না করলে বরাদ্দ বাতিল করা হবে। ইতোমধ্যে একজনের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। বেনারসি প্রকল্পের কার্যালয়ের অবস্থাও করুণ। লোকবলের অভাবে এটি নিয়মিত খোলা হয় না।

ঈশ্বরদী বেনারসি পল্লীর ঐতিহ্য বহন করে চলা কারিগর জাবেদ বেনারসির স্বত্বাধিকারী বলেন, ১৯৪৭ সালের পর ভারত থেকে বাবা আব্দুল মজিদসহ বেশ কয়েকজন বেনারসি কারিগর ফতেমোহাম্মদপুর এলাকায় বসতি গড়েন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্যবাহী ব্যবসা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। রঙ ও সুতাসহ কাঁচামালের দাম বাড়ার পাশাপাশি ভারতীয় শাড়ির প্রভাবে বাজারে বেনারসি-কাতান বিক্রি আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে বলে জানান তিনি। হাতে চালানো তাঁত দিয়ে বেনারসি-কাতান বুননে শ্রমিকের খরচ অনেক বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি শাড়ি তৈরিতে ৩ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত মজুরি দিতে হয়। ১২ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা দামের শাড়ি এখানে তৈরি করা হয়। স্থানীয় বাজারে এর ক্রেতা পাওয়া কঠিন। ব্যবসায়ী জাবেদ বলেন, পুঁজির অভাবে অনেকেই ইতোমধ্যে পেশা পরিবর্তন করেছেন। এ অবস্থায় বেনারসি পল্লীতে নতুন করে বিনিয়োগের অবস্থা কোনো তাঁতিরই নেই। স্থানীয় তাঁতিরা কারখানা করে ব্যবসা করতে না পারলেও অন্য অঞ্চলের বড় বড় ব্যবসায়ীরা কয়েকটি কারখানা করেছেন।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার বৃহত্তম কাপড়ের কারখানা জামান টেক্সটাইল ঈশ্বরদী বেনারসি পল্লীতে ২টি কারখানা চালু রেখেছে। কারখানার ম্যানেজার শরিফুল আলম বলেন, অবাঙালি তাঁতিদের নামে বরাদ্দ দেয়া প্লটে কারখানা করে ব্যবসা করতে হচ্ছে। কারখানা ২টিতে প্রায় ৩০ তাঁত চালু আছে। প্রতি সপ্তাহে ২৫-২৬ শাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। সেগুলো আড়ংয়ে সরবরাহ করা হয়। তবে এখানে কারখানা করলেও কোনো সুবিধা মিলছে না বলে জানান তিনি। শরিফুল আলম বলেন, এখানে প্রসেসিং কারখানা করার কথা থাকলেও তা হয়নি। ঢাকা থেকে সুতা প্রসেস করে আনতে হয়। প্রতি শাড়িতে প্রায় ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়। এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। কারখানা চলানো ঝুঁকিপূর্ণ।

back to top