সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের যমুনা চরে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকামের চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন রুবেল তরফদার। এ বছর ক্যাপসিকামের বাম্পার ফলন হয়েছে। রুবেলের আবাদি জমিতে গাছে গাছে ঝুলছে গ্রিন গোল্ড জাতের ক্যাপসিকাম। কৃষক রুবেল তরফদার উপজেলার নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের চরদোরতা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। তিনি জানান, একই উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের কৃষক জহুরুল ইসলামের ক্যাপসিকাম চাষ দেখে আমার আগ্রহ বাড়ে, তার থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে গত বছর প্রথমে ৩২ শতাংশ জমিতে ক্যাপসিকাম চাষাবাদ শুরু করি। ১৬ হাজার টাকায় ৪০ গ্রাম বীজ কিনে এনে শখের বশে চাষাবাদ শুরু করে এখন আমি সফলতা পেয়েছি।
তিনি আরও জানান, চলতি বছরের আগস্টের মাঝামাঝিতে আমি প্রায় ১ লাখ টাকা খরচে ক্যাপসিকামের চাষাবাদ শুরু করি। জহুরুল ইসলামের পরামর্শতে জমিতে চাষ দিয়ে সার প্রয়োগ করে চাষাবাদের জন্য প্রস্তুত করি, এরপর বীজ বপন করি। স্বপ্নবিলাসী আত্মপ্রত্যয়ী রুবেল জানান, ‘শুরুতে এলাকার লোকজন নানা রকম মন্তব্য করত, চাকরি বাদ দিয়ে গ্রামের মানুষের কাছে অপরিচিত এই সবজির চাষ শুরু করায় তুচ্ছতাচ্ছিল্য হতে হয়েছে, অনেকে পাগলও বলতো। তবে আমি দমে যাইনি।
ইতোমধ্যেই কৃষক রুবেল তার চাষকৃত জমি থেকে তিন ধাপে প্রায় ৭০ হাজার টাকার মতো ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আশা করি এই মৌসুমে প্রায় আড়াই-তিন লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করতে পারবো। এক সময় যারা রুবেলের ক্যাপসিকাম চাষ নিয়ে নানা বিদ্রুপ করতো তাদের মধ্যে অনেকেই এখন স্থানীয় পর্যায়ে ক্যাপসিকাম চাষের চিন্তা করছেন। স্থানীয় কৃষক মোতালেব মিয়া জানান,‘প্রথমে গ্রামের অনেকেই অনেক কথা বলতো, এখন তারাও ক্যাপসিকাম চাষের প্রতি ঝুঁকছে।’
বাহারি রঙের বিদেশি এ সবজি মিষ্টি মরিচ নামেই অধিক পরিচিত। ভিটামিন এ ও সি সমৃদ্ধ এ সবজির বড় ক্রেতা শহরাঞ্চলের বড় বড় হোটেল ও রেস্টুরেন্টে। খাবারের সাথে সালাদ হিসেবেও এটি ব্যবহার করা হয়। এক সময় শহরাঞ্চলের সৌখিন মানুষ বাসা বাড়ির ছাদে টবে এ সবজির লাগাতো, বর্তমানে শত শত বেকার যুবক এ সবজি চাষে ঝুঁকছে। কম পরিশ্রমে অধিক লাভবান হওয়ায় যুবসমাজের কাছে কদর বাড়ছে ক্যাপসিকাম চাষের। গাছ লাগানোর ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে ফুল আসতে শুরু করে, এরপর পরবর্তী ১ মাসের মধ্যেই বিক্রির উপযুক্ত হয় সুস্বাদু এই সবজি।
কৃষক রুবেল তরফদারের জানান, স্থানীয় কৃষি অফিসে ক্যাপসিকাম চাষের ব্যাপারে সহযোগিতা ও পরামর্শ চেয়েছি। সরকারি সহায়তা পেলে ব্যাপক হারে চাষাবাদ করে এলাকায় বেকারদের কর্মসংস্থানে ভূমিকা রাখতে পারবো বলে বিশ্বাস। এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রেজাউল করিম বলেন, কৃষক রুবেল তরফদারকে ক্যাপসিকাম চাষের পরামর্শ ও সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে।
শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২২
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের যমুনা চরে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকামের চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন রুবেল তরফদার। এ বছর ক্যাপসিকামের বাম্পার ফলন হয়েছে। রুবেলের আবাদি জমিতে গাছে গাছে ঝুলছে গ্রিন গোল্ড জাতের ক্যাপসিকাম। কৃষক রুবেল তরফদার উপজেলার নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের চরদোরতা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। তিনি জানান, একই উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের কৃষক জহুরুল ইসলামের ক্যাপসিকাম চাষ দেখে আমার আগ্রহ বাড়ে, তার থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে গত বছর প্রথমে ৩২ শতাংশ জমিতে ক্যাপসিকাম চাষাবাদ শুরু করি। ১৬ হাজার টাকায় ৪০ গ্রাম বীজ কিনে এনে শখের বশে চাষাবাদ শুরু করে এখন আমি সফলতা পেয়েছি।
তিনি আরও জানান, চলতি বছরের আগস্টের মাঝামাঝিতে আমি প্রায় ১ লাখ টাকা খরচে ক্যাপসিকামের চাষাবাদ শুরু করি। জহুরুল ইসলামের পরামর্শতে জমিতে চাষ দিয়ে সার প্রয়োগ করে চাষাবাদের জন্য প্রস্তুত করি, এরপর বীজ বপন করি। স্বপ্নবিলাসী আত্মপ্রত্যয়ী রুবেল জানান, ‘শুরুতে এলাকার লোকজন নানা রকম মন্তব্য করত, চাকরি বাদ দিয়ে গ্রামের মানুষের কাছে অপরিচিত এই সবজির চাষ শুরু করায় তুচ্ছতাচ্ছিল্য হতে হয়েছে, অনেকে পাগলও বলতো। তবে আমি দমে যাইনি।
ইতোমধ্যেই কৃষক রুবেল তার চাষকৃত জমি থেকে তিন ধাপে প্রায় ৭০ হাজার টাকার মতো ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আশা করি এই মৌসুমে প্রায় আড়াই-তিন লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করতে পারবো। এক সময় যারা রুবেলের ক্যাপসিকাম চাষ নিয়ে নানা বিদ্রুপ করতো তাদের মধ্যে অনেকেই এখন স্থানীয় পর্যায়ে ক্যাপসিকাম চাষের চিন্তা করছেন। স্থানীয় কৃষক মোতালেব মিয়া জানান,‘প্রথমে গ্রামের অনেকেই অনেক কথা বলতো, এখন তারাও ক্যাপসিকাম চাষের প্রতি ঝুঁকছে।’
বাহারি রঙের বিদেশি এ সবজি মিষ্টি মরিচ নামেই অধিক পরিচিত। ভিটামিন এ ও সি সমৃদ্ধ এ সবজির বড় ক্রেতা শহরাঞ্চলের বড় বড় হোটেল ও রেস্টুরেন্টে। খাবারের সাথে সালাদ হিসেবেও এটি ব্যবহার করা হয়। এক সময় শহরাঞ্চলের সৌখিন মানুষ বাসা বাড়ির ছাদে টবে এ সবজির লাগাতো, বর্তমানে শত শত বেকার যুবক এ সবজি চাষে ঝুঁকছে। কম পরিশ্রমে অধিক লাভবান হওয়ায় যুবসমাজের কাছে কদর বাড়ছে ক্যাপসিকাম চাষের। গাছ লাগানোর ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে ফুল আসতে শুরু করে, এরপর পরবর্তী ১ মাসের মধ্যেই বিক্রির উপযুক্ত হয় সুস্বাদু এই সবজি।
কৃষক রুবেল তরফদারের জানান, স্থানীয় কৃষি অফিসে ক্যাপসিকাম চাষের ব্যাপারে সহযোগিতা ও পরামর্শ চেয়েছি। সরকারি সহায়তা পেলে ব্যাপক হারে চাষাবাদ করে এলাকায় বেকারদের কর্মসংস্থানে ভূমিকা রাখতে পারবো বলে বিশ্বাস। এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রেজাউল করিম বলেন, কৃষক রুবেল তরফদারকে ক্যাপসিকাম চাষের পরামর্শ ও সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে।