বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ৪১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনসহ বিভিন্ন দপ্তরের অর্ধশতাধিক ভবন পরিত্যক্ত হলেও তা নিলাম দিয়ে অপসরন না করায় জাগায়ই ধ্বংস হচ্ছ। এতে চরম ঝুকিতে পরিত্যক্ত ভবনের পাশে বসবাসকারিরা।
জানা গেছে, পাথরঘাটা উপজেলায় ৪১টি পরিত্যক্ত বিদ্যালয় ভবন নিলামের জন্য আবেদন করলেও ২২টি পরিত্যাক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নিলাম দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। বাকি পরিত্যাক্ত ভবনগুলো পর্যায়ক্রমে নিলাম দেওয়া হবে। এছাড়া পাথরঘাটা উপজেলার হাতেমপুর বাজারে অবস্থিত ব্যবসায়ীদের জন্য নির্মীত টলসেট ঘর এখন ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, টলসেট ঘরটির সকল খুটির ঢালাই খসে পড়ে শুধু রডের ওপর দাঁড়িয়ে আছে টলসেট ঘরটি। রড গুলোও মরিচাধরে চিকন হয়ে গেছে। যার ফলে যেকোন সময় ধ্বসে পড়তে পারে টলসেট ঘরটি। এদিকে ঘরটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও উক্ত বাজারে আসা সাধারণ মানুষ ওই ঘরেবসে ক্রয়-বিক্রয়করাসহ বাজার সংলংগ্ন হাতেমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও হাতেমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোমলমতী শিশুরা ওই টলসেট ঘরে বিভিন্ন সময় খেলা করে। তাই যে কোন সময় অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা ঘটনা ঘটতে পারে। চরদুয়ানি বাজার সংলংগ্ন চরদুয়ানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে একই ভাবে অন্তঃত ২০ বছর পূর্বের একটি কমিউনিটি ক্লিনিক পরিত্যাক্ত ভবন পড়ে আছে। ভবনটির ছাদের ওপর বটগাছসহ বিভিন্ন আগাছার বাগান হয়েছে। একই ভাবে পাথরঘাটা হাসপাতাল ভাউন্ডারির মধ্যেও একাধিক সরকারি পরিত্যাক্ত ভবন রয়েছে।
এব্যাপারে হাতেমপুর বাজারের ব্যাবসায়ী মো. মহিবুল্লাহ মল্লিক ও একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, তাদের বাজারের টলসেট ঘরটি অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ, যেকোনসময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তারা বলেন, বিষয়টি একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন যায়গায় বলেও কোন সমাধান হয়নী। জানতে চাইলে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন পাঘরঘাটা উপজেলায় অনেক পরিত্যাক্ত ভবন থাকলেও ভবনগুলি আমার আওতাধিন না থাকায় অনেক পরিত্যাক্ত ভবনের আমি নিলাম দিতে পারছিনা।
তিনি বলেন, আমার আওতাধিন যেসকল পরিত্যাক্ত ভবন রয়েছে সেগুলোর তালিকা করে ইতোমধ্যে নিলাম দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। জানতে চাইলে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির বলেন হাতেমপুরের টলসেট ঘরটিসহ অনেক পরিত্যাক্ত ভবন আইনি জটিলতার কারনে নিলাম দিতে ব্যর্থ হচ্ছি। তিনি বলেন যেসকল পরিত্যাক্ত ভবন নিলাম দেওয়া সম্ভব ওই সকল ভবনের তালিকা করে অনেকগুলো ভবন নিলাম দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে, বাকি পরিত্যাক্ত ভবনও পর্যায়ে ক্রমে নিলাম দেওয়া হবে।
শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২২
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ৪১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনসহ বিভিন্ন দপ্তরের অর্ধশতাধিক ভবন পরিত্যক্ত হলেও তা নিলাম দিয়ে অপসরন না করায় জাগায়ই ধ্বংস হচ্ছ। এতে চরম ঝুকিতে পরিত্যক্ত ভবনের পাশে বসবাসকারিরা।
জানা গেছে, পাথরঘাটা উপজেলায় ৪১টি পরিত্যক্ত বিদ্যালয় ভবন নিলামের জন্য আবেদন করলেও ২২টি পরিত্যাক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নিলাম দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। বাকি পরিত্যাক্ত ভবনগুলো পর্যায়ক্রমে নিলাম দেওয়া হবে। এছাড়া পাথরঘাটা উপজেলার হাতেমপুর বাজারে অবস্থিত ব্যবসায়ীদের জন্য নির্মীত টলসেট ঘর এখন ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, টলসেট ঘরটির সকল খুটির ঢালাই খসে পড়ে শুধু রডের ওপর দাঁড়িয়ে আছে টলসেট ঘরটি। রড গুলোও মরিচাধরে চিকন হয়ে গেছে। যার ফলে যেকোন সময় ধ্বসে পড়তে পারে টলসেট ঘরটি। এদিকে ঘরটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও উক্ত বাজারে আসা সাধারণ মানুষ ওই ঘরেবসে ক্রয়-বিক্রয়করাসহ বাজার সংলংগ্ন হাতেমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও হাতেমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোমলমতী শিশুরা ওই টলসেট ঘরে বিভিন্ন সময় খেলা করে। তাই যে কোন সময় অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা ঘটনা ঘটতে পারে। চরদুয়ানি বাজার সংলংগ্ন চরদুয়ানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে একই ভাবে অন্তঃত ২০ বছর পূর্বের একটি কমিউনিটি ক্লিনিক পরিত্যাক্ত ভবন পড়ে আছে। ভবনটির ছাদের ওপর বটগাছসহ বিভিন্ন আগাছার বাগান হয়েছে। একই ভাবে পাথরঘাটা হাসপাতাল ভাউন্ডারির মধ্যেও একাধিক সরকারি পরিত্যাক্ত ভবন রয়েছে।
এব্যাপারে হাতেমপুর বাজারের ব্যাবসায়ী মো. মহিবুল্লাহ মল্লিক ও একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, তাদের বাজারের টলসেট ঘরটি অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ, যেকোনসময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তারা বলেন, বিষয়টি একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন যায়গায় বলেও কোন সমাধান হয়নী। জানতে চাইলে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন পাঘরঘাটা উপজেলায় অনেক পরিত্যাক্ত ভবন থাকলেও ভবনগুলি আমার আওতাধিন না থাকায় অনেক পরিত্যাক্ত ভবনের আমি নিলাম দিতে পারছিনা।
তিনি বলেন, আমার আওতাধিন যেসকল পরিত্যাক্ত ভবন রয়েছে সেগুলোর তালিকা করে ইতোমধ্যে নিলাম দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। জানতে চাইলে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির বলেন হাতেমপুরের টলসেট ঘরটিসহ অনেক পরিত্যাক্ত ভবন আইনি জটিলতার কারনে নিলাম দিতে ব্যর্থ হচ্ছি। তিনি বলেন যেসকল পরিত্যাক্ত ভবন নিলাম দেওয়া সম্ভব ওই সকল ভবনের তালিকা করে অনেকগুলো ভবন নিলাম দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে, বাকি পরিত্যাক্ত ভবনও পর্যায়ে ক্রমে নিলাম দেওয়া হবে।