নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের মির্জারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. জাফর ইকবাল মানিক (৫০) প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হয়েছেন। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় তিনি তার ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে একটি সালিশ দরবারে যাওয়ার পথে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নৌকাযোগে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মানিক মির্জারচর গ্রামের আ. মোতালিব ফকিরের ছেলে। মানিক টানা দুই বার মির্জারচর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং একই ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) মির্জারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাফর ইকবাল মানিক ও নৌকা প্রতীকের পরাজিত চেয়ারম্যান ফারুকুল ইসলাম এর মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে শান্তিপুর গ্রামে সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু উক্ত সালিশে কোন সমাধন হয়নি। এরই জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় মানিক নিহত হয়েছে বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। নিহত চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিকের ভাই বাসন মিয়া জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ মির্জারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরাজিত প্রার্থী ফারুকুল ইসলামের পিতা মো. ফিরোজ মিয়ার সমর্থকরা গুলি করে আমার ভাইকে হত্যা করেছে।
উল্লেখ্য, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফারুকুল ইসলাম ফারুক আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু তৎকালীন চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা জাফর ইকবাল মানিক আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। বিজয়ী হওয়ার পর থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দেয়।
নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম জানান, জাফর ইকবালকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জাফর ইকবাল মানিকের লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
রায়পুরা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিত ঘোষ জানান, চেয়ারম্যান গুলিবিদ্ধ হয়েছে নিহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২২
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের মির্জারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. জাফর ইকবাল মানিক (৫০) প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হয়েছেন। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় তিনি তার ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে একটি সালিশ দরবারে যাওয়ার পথে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নৌকাযোগে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মানিক মির্জারচর গ্রামের আ. মোতালিব ফকিরের ছেলে। মানিক টানা দুই বার মির্জারচর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং একই ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) মির্জারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাফর ইকবাল মানিক ও নৌকা প্রতীকের পরাজিত চেয়ারম্যান ফারুকুল ইসলাম এর মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে শান্তিপুর গ্রামে সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু উক্ত সালিশে কোন সমাধন হয়নি। এরই জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় মানিক নিহত হয়েছে বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। নিহত চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিকের ভাই বাসন মিয়া জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ মির্জারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরাজিত প্রার্থী ফারুকুল ইসলামের পিতা মো. ফিরোজ মিয়ার সমর্থকরা গুলি করে আমার ভাইকে হত্যা করেছে।
উল্লেখ্য, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফারুকুল ইসলাম ফারুক আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু তৎকালীন চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা জাফর ইকবাল মানিক আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। বিজয়ী হওয়ার পর থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দেয়।
নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম জানান, জাফর ইকবালকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জাফর ইকবাল মানিকের লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
রায়পুরা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিত ঘোষ জানান, চেয়ারম্যান গুলিবিদ্ধ হয়েছে নিহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।