বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজার সামনের সড়কের দুই পাশে তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে পুলিশ। শনিবার রাতে এই তল্লাশি চৌকি বসানো হয়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। কেন এই তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে তার কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে গতরাতে রাজধানীর বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ‘ব্লক রেইড’ করেছে। এর মধ্যে বনানীর কাকলি এলাকার কয়েকটি আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, বনানীর কাকলী এলাকায় জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা অবস্থান করছেন এমন সন্দেহে পুলিশের ‘ব্লকরেইড’ চলছে। রাত সাড়ে ১০টায় দেখা গেছে, বিমানবন্দর সড়কের কাকলী এলাকার কয়েকটি আবাসিক হোটেলে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। উপ কমিশনার আব্দুল আহাদ পরে বলেন, প্রায় তিন ঘণ্টার এই অভিযানে আমরা কাউকে পাইনি। তবে আমরা যখনই কোনো তথ্য পাব তখনই অভিযান চালাব।
এ বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আজম বলেন, ‘বনানীর নর্থ সিটি হোটেলে জঙ্গিরা অবস্থান করছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাই ছয়তলা ভবনটিতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। এ ছাড়া রাজধানীর আরও কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।’
এর আগে শনিবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
পুলিশ দপ্তরের পক্ষ থেকে ১ ডিসেম্বর জানানো হয়েছে, অপরাধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৃহস্পতিবার সারা দেশে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। ডিসেম্বরে বিজয় দিবসসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিবসকে কেন্দ্র করেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. হাসানুজ্জামানের স্বাক্ষর করা চিঠিতে পুলিশের বিশেষ অভিযানের কথা জানানো হয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল, পুরান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এলাকায় পুলিশের হেফাজত থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার প্রেক্ষাপট বিবেচনা, মহান বিজয় দিবস, খ্রিষ্টানদের বড়দিন ও ইংরেজি বর্ষবরণ (থার্টি ফার্স্ট নাইট) উদ্যাপন নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে চলমান অভিযানের পাশাপাশি ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিশেষ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অন্যান্য স্থানের পাশাপাশি আবাসিক হোটেল, মেস, হোস্টেল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টারসহ অপরাধীদের লুকিয়ে থাকার সম্ভাব্য স্থানগুলোতে কার্যকর অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
রোববার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২২
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজার সামনের সড়কের দুই পাশে তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে পুলিশ। শনিবার রাতে এই তল্লাশি চৌকি বসানো হয়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। কেন এই তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে তার কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে গতরাতে রাজধানীর বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ‘ব্লক রেইড’ করেছে। এর মধ্যে বনানীর কাকলি এলাকার কয়েকটি আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, বনানীর কাকলী এলাকায় জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা অবস্থান করছেন এমন সন্দেহে পুলিশের ‘ব্লকরেইড’ চলছে। রাত সাড়ে ১০টায় দেখা গেছে, বিমানবন্দর সড়কের কাকলী এলাকার কয়েকটি আবাসিক হোটেলে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। উপ কমিশনার আব্দুল আহাদ পরে বলেন, প্রায় তিন ঘণ্টার এই অভিযানে আমরা কাউকে পাইনি। তবে আমরা যখনই কোনো তথ্য পাব তখনই অভিযান চালাব।
এ বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আজম বলেন, ‘বনানীর নর্থ সিটি হোটেলে জঙ্গিরা অবস্থান করছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাই ছয়তলা ভবনটিতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। এ ছাড়া রাজধানীর আরও কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।’
এর আগে শনিবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
পুলিশ দপ্তরের পক্ষ থেকে ১ ডিসেম্বর জানানো হয়েছে, অপরাধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৃহস্পতিবার সারা দেশে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। ডিসেম্বরে বিজয় দিবসসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিবসকে কেন্দ্র করেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. হাসানুজ্জামানের স্বাক্ষর করা চিঠিতে পুলিশের বিশেষ অভিযানের কথা জানানো হয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল, পুরান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এলাকায় পুলিশের হেফাজত থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার প্রেক্ষাপট বিবেচনা, মহান বিজয় দিবস, খ্রিষ্টানদের বড়দিন ও ইংরেজি বর্ষবরণ (থার্টি ফার্স্ট নাইট) উদ্যাপন নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে চলমান অভিযানের পাশাপাশি ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিশেষ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অন্যান্য স্থানের পাশাপাশি আবাসিক হোটেল, মেস, হোস্টেল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টারসহ অপরাধীদের লুকিয়ে থাকার সম্ভাব্য স্থানগুলোতে কার্যকর অভিযান পরিচালনা করতে হবে।