ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় সীমান্তে রাতের আধারে ভারত থেকে নেমে আসা বন্য হাতির আক্রমনে আতংকে দিন কাটছে কৃষকের। নষ্ট করে দিচ্ছে ফসলের মাঠে আধাপাকা ধান।এতে নির্ঘুম রাত কাঠছে স্থানীয় কৃষকের। রাত জেগে ধান ক্ষেত পাহাড়া দিচ্ছেন তারা।ভয়ে কেউ কেউ কেটে ফেলছেন কাচা বা আধাপাকা ধান। উপজেলার নয়াপাড়া, দিগলবাঘ, কড়ইগড়া, উত্তর রাণীপুর সীমান্ত দিয়ে গত তিনদিন ধরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দলবেধে প্রবেশ করছে বন্য হাতি। রাত আটটা থেকে এগার টার মধ্যে পনের থেকে বিশটি হাতি দলবেধে প্রবেশ করছে। তান্ডব চালাচ্ছে ফসলি জমিতে।এতে আতংকে রয়েছেন সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত মানুষজন। নয়াপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রাশিদ জানান, হাতির ভয়ে আমরা কাচা ধান কেটে ফেলছি এবং হাতির আতংকে রাতে ঘুমানো যায় না। কড়ইগড়া গ্রামের কৃষক আল আমিন বলেন,আমার এক একর জমির ধান পাকার আগেই কেটে ফেলছি। হাতির তান্ডবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পাকা ধান। নয়াপাড়া গ্রামের কৃষক হারুন এর দ্ইু একর জমির ফসল নষ্ট করেছে হাতির দল। দিঘলবাঘ গ্রামের আকিকুল ইসলামের পাঁচ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।ফসল ছাড়াও ঘরবাড়িতে প্রবেশের আতংকে রয়েছে সীমান্ত এলাকার মানুষ। স্থানীয়রা দলবদ্ধ হয়ে আগুন ধরিয়ে এবং অনেক মানুষ একসাথে চিৎকার করে হাতিকে তাড়ানোর চেষ্টা করছেন। এ ব্যাপারে দক্ষিন মাইজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ন তবির সরকার বলেন, এ বিষয়ে প্রশাসন এবং বিজিবির সাথে আলোচনা করেছি,বিএসএফ এর সাথে পতাকা বৈঠক করারও প্রস্তুতি চলছে, কিভাবে হাতির আক্রমন বন্ধ করা যায় সেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফৌজিয়া নাজনীন বলেন,হাতির আক্রমণের বিষয়ে অবগত আছেন, হাতিকে কোন প্রকার মারধর করা যাবে না তবে কিভাবে আক্রমন বন্ধ করা যায় সেই বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রোববার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২২
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় সীমান্তে রাতের আধারে ভারত থেকে নেমে আসা বন্য হাতির আক্রমনে আতংকে দিন কাটছে কৃষকের। নষ্ট করে দিচ্ছে ফসলের মাঠে আধাপাকা ধান।এতে নির্ঘুম রাত কাঠছে স্থানীয় কৃষকের। রাত জেগে ধান ক্ষেত পাহাড়া দিচ্ছেন তারা।ভয়ে কেউ কেউ কেটে ফেলছেন কাচা বা আধাপাকা ধান। উপজেলার নয়াপাড়া, দিগলবাঘ, কড়ইগড়া, উত্তর রাণীপুর সীমান্ত দিয়ে গত তিনদিন ধরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দলবেধে প্রবেশ করছে বন্য হাতি। রাত আটটা থেকে এগার টার মধ্যে পনের থেকে বিশটি হাতি দলবেধে প্রবেশ করছে। তান্ডব চালাচ্ছে ফসলি জমিতে।এতে আতংকে রয়েছেন সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত মানুষজন। নয়াপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রাশিদ জানান, হাতির ভয়ে আমরা কাচা ধান কেটে ফেলছি এবং হাতির আতংকে রাতে ঘুমানো যায় না। কড়ইগড়া গ্রামের কৃষক আল আমিন বলেন,আমার এক একর জমির ধান পাকার আগেই কেটে ফেলছি। হাতির তান্ডবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পাকা ধান। নয়াপাড়া গ্রামের কৃষক হারুন এর দ্ইু একর জমির ফসল নষ্ট করেছে হাতির দল। দিঘলবাঘ গ্রামের আকিকুল ইসলামের পাঁচ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।ফসল ছাড়াও ঘরবাড়িতে প্রবেশের আতংকে রয়েছে সীমান্ত এলাকার মানুষ। স্থানীয়রা দলবদ্ধ হয়ে আগুন ধরিয়ে এবং অনেক মানুষ একসাথে চিৎকার করে হাতিকে তাড়ানোর চেষ্টা করছেন। এ ব্যাপারে দক্ষিন মাইজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ন তবির সরকার বলেন, এ বিষয়ে প্রশাসন এবং বিজিবির সাথে আলোচনা করেছি,বিএসএফ এর সাথে পতাকা বৈঠক করারও প্রস্তুতি চলছে, কিভাবে হাতির আক্রমন বন্ধ করা যায় সেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফৌজিয়া নাজনীন বলেন,হাতির আক্রমণের বিষয়ে অবগত আছেন, হাতিকে কোন প্রকার মারধর করা যাবে না তবে কিভাবে আক্রমন বন্ধ করা যায় সেই বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।