নারায়ণগঞ্জ শহরের এক নম্বর রেলগেইট এলাকায় রেওলয়ের ভূমিতে কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের নামে মার্কেট নির্মাণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নাগরিক নেতারা। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ভূমি রক্ষা সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ নামে সংগঠনের ব্যানারে তারা মানববন্ধনে অংশ নেন।
এই সময় নেতারা ‘রেলওয়ে কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট’কে ভূঁইফোঁড় সংগঠন উল্লেখ করে এই ট্রাস্টের নামে রেলের ভূমি আত্মসাতের অভিযোগ তুলে ওই জমি জনকল্যাণে কাজে লাগানোর দাবি জানান। মার্কেট নির্মাণের কার্যক্রম বন্ধ না করলে এর বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
শহরের এক নম্বর রেলগেইটের পাশের সড়কে আয়োজিত এই মানববন্ধনে সংগঠনের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি সভাপতিত্ব করেন। সদস্যসচিব ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় এই সময় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট এবি সিদ্দিক, সামাজিক সংগঠন ‘আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর’ সভাপতি নুরুদ্দিন আহমেদ, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মাসুম, বাসদের জেলা কমিটির আহ্বায়ক নিখিল দাস, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, শ্রমিক নেতা তাজুল ইসলাম, রেলের ওই ভূমিতে অবস্থিত মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শান্তিরঞ্জন দাস ও নাগরিক কমিটির সদস্য জহিরুর ইসলাম মিন্টু।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জে জায়গার অভাবে যেখানে উচ্চ শিক্ষার জন্য ভালো বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ করা যাচ্ছে না, শিশুদের বিনোদনের জন্য পার্ক হচ্ছে না, সেখানে এমনি ভূমি লুটপাট কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না। বক্তারা অবিলম্বে মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
রফিউর রাব্বি বলেন, ‘রাজউক দেশের বিভিন্ন জায়গায় জরিপ করে টেকসই উন্নয়নের জন্য নদীবন্দর সংলগ্ন ২১টি জেলায় নৌ-বন্দর, রেলস্টেশন ও বাস টার্মিনাল একই জায়গায় তৈরির জন্য ডিটেল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) প্রনয়ণ করেছে। সে পরিকল্পনায় নারায়ণগঞ্জের নৌ-বন্দর, রেল স্টেশন ও বাস টার্মিনালটি রয়েছে। ড্যাপের এই পরিকল্পনা সরকারের স্ট্যাটিজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান (এসটিপি) দ্বারাও অনুমোদিত হয়েছে। অন্যদিকে রেলের ডাবল লাইন তৈরি হচ্ছে যা আগামী জুন মাসেই চালু হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। আবার শীতলক্ষ্যা নদীতে যে কদমরসুল সেতু তৈরি হচ্ছে, তার সংযোগ সড়কও এই জায়গায়। সরকারের এতসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রনয়ণের পরেও রেলওয়ের এই জায়গায় তথাকথিত ‘রেলওয়ে কল্যাণ ট্রাস্টে’র নামে মার্কেট নির্মাণের জন্য ৪৭ হাজার দুইশ বর্গফুট জায়গা লিজ দেয়া সরকারের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার অসততা ও সেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশ।’
স্থানীয় একজন সংসদ সদস্যের চিহ্নিত অপরাধী চক্র এই ভূমি আত্মসাতের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
রফিউর রাব্বি আরও বলেন, ‘তারা প্রশাসনের সহযোগিতায় সর্বক্ষেত্রে লুটপাট চালাচ্ছে। সরকারি অসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে যোগসাজশ করে শহরের চাষাঢ়ার বালুর মাঠ এলাকার রাজউকের জায়গাসহ বহু সরকারি জায়গা আত্মসাৎ করেছে এই চক্রটি।’
নুরুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শহরের এটি একটি জনবহুল এলাকা। এখানে স্কুল, কলেজ ছাড়াও শহরের প্রধান কাঁচাবাজারটি রয়েছে। এইখানে অনেক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে মানুষের। অথচ রাস্তা প্রশস্ত করে খালি জায়গা না রেখে এই জায়গাটিকে আজকে আত্মসাতের জন্য একটি চক্র মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমরা এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি।’
মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের গডফাদারের একটি চক্র শহরের সবকিছুকে গ্রাস করতে চাচ্ছে। ফুটপাতে হকার বসিয়ে চাঁদাবাজি, পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি, সরকারি জায়গা দখল, মার্কেট বানিয়ে টাকা আত্মসাৎ- সবই করছে। অথচ প্রশাসন কোন ভূমিকা রাখতে পারছে না। শীতলক্ষ্যা নদী ধ্বংস হয়েছে, এখানে মাছ বাঁচে না, আসে না, মেয়াদোত্তীর্ণ ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন বেপরোয়া চলাচল করে- প্রশাসন কোন ভূমিকা রাখেনা।
বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩
নারায়ণগঞ্জ শহরের এক নম্বর রেলগেইট এলাকায় রেওলয়ের ভূমিতে কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের নামে মার্কেট নির্মাণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নাগরিক নেতারা। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ভূমি রক্ষা সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ নামে সংগঠনের ব্যানারে তারা মানববন্ধনে অংশ নেন।
এই সময় নেতারা ‘রেলওয়ে কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট’কে ভূঁইফোঁড় সংগঠন উল্লেখ করে এই ট্রাস্টের নামে রেলের ভূমি আত্মসাতের অভিযোগ তুলে ওই জমি জনকল্যাণে কাজে লাগানোর দাবি জানান। মার্কেট নির্মাণের কার্যক্রম বন্ধ না করলে এর বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
শহরের এক নম্বর রেলগেইটের পাশের সড়কে আয়োজিত এই মানববন্ধনে সংগঠনের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি সভাপতিত্ব করেন। সদস্যসচিব ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় এই সময় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট এবি সিদ্দিক, সামাজিক সংগঠন ‘আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর’ সভাপতি নুরুদ্দিন আহমেদ, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মাসুম, বাসদের জেলা কমিটির আহ্বায়ক নিখিল দাস, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, শ্রমিক নেতা তাজুল ইসলাম, রেলের ওই ভূমিতে অবস্থিত মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শান্তিরঞ্জন দাস ও নাগরিক কমিটির সদস্য জহিরুর ইসলাম মিন্টু।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জে জায়গার অভাবে যেখানে উচ্চ শিক্ষার জন্য ভালো বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ করা যাচ্ছে না, শিশুদের বিনোদনের জন্য পার্ক হচ্ছে না, সেখানে এমনি ভূমি লুটপাট কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না। বক্তারা অবিলম্বে মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
রফিউর রাব্বি বলেন, ‘রাজউক দেশের বিভিন্ন জায়গায় জরিপ করে টেকসই উন্নয়নের জন্য নদীবন্দর সংলগ্ন ২১টি জেলায় নৌ-বন্দর, রেলস্টেশন ও বাস টার্মিনাল একই জায়গায় তৈরির জন্য ডিটেল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) প্রনয়ণ করেছে। সে পরিকল্পনায় নারায়ণগঞ্জের নৌ-বন্দর, রেল স্টেশন ও বাস টার্মিনালটি রয়েছে। ড্যাপের এই পরিকল্পনা সরকারের স্ট্যাটিজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান (এসটিপি) দ্বারাও অনুমোদিত হয়েছে। অন্যদিকে রেলের ডাবল লাইন তৈরি হচ্ছে যা আগামী জুন মাসেই চালু হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। আবার শীতলক্ষ্যা নদীতে যে কদমরসুল সেতু তৈরি হচ্ছে, তার সংযোগ সড়কও এই জায়গায়। সরকারের এতসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রনয়ণের পরেও রেলওয়ের এই জায়গায় তথাকথিত ‘রেলওয়ে কল্যাণ ট্রাস্টে’র নামে মার্কেট নির্মাণের জন্য ৪৭ হাজার দুইশ বর্গফুট জায়গা লিজ দেয়া সরকারের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার অসততা ও সেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশ।’
স্থানীয় একজন সংসদ সদস্যের চিহ্নিত অপরাধী চক্র এই ভূমি আত্মসাতের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
রফিউর রাব্বি আরও বলেন, ‘তারা প্রশাসনের সহযোগিতায় সর্বক্ষেত্রে লুটপাট চালাচ্ছে। সরকারি অসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে যোগসাজশ করে শহরের চাষাঢ়ার বালুর মাঠ এলাকার রাজউকের জায়গাসহ বহু সরকারি জায়গা আত্মসাৎ করেছে এই চক্রটি।’
নুরুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শহরের এটি একটি জনবহুল এলাকা। এখানে স্কুল, কলেজ ছাড়াও শহরের প্রধান কাঁচাবাজারটি রয়েছে। এইখানে অনেক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে মানুষের। অথচ রাস্তা প্রশস্ত করে খালি জায়গা না রেখে এই জায়গাটিকে আজকে আত্মসাতের জন্য একটি চক্র মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমরা এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি।’
মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের গডফাদারের একটি চক্র শহরের সবকিছুকে গ্রাস করতে চাচ্ছে। ফুটপাতে হকার বসিয়ে চাঁদাবাজি, পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি, সরকারি জায়গা দখল, মার্কেট বানিয়ে টাকা আত্মসাৎ- সবই করছে। অথচ প্রশাসন কোন ভূমিকা রাখতে পারছে না। শীতলক্ষ্যা নদী ধ্বংস হয়েছে, এখানে মাছ বাঁচে না, আসে না, মেয়াদোত্তীর্ণ ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন বেপরোয়া চলাচল করে- প্রশাসন কোন ভূমিকা রাখেনা।