বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ভুতেরদিয়া গ্রামে সাবেক ইউপি সদস্যর বাড়ি থেকে ২ নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে সাবেক ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন দেলোয়ারের মা লালমোন্নেসা (৯৫) এবং পুত্রবধূ নামজমুন নাহার রিপা বেগম (২৩)। এ ঘটনায় দেলোয়ারের স্ত্রী মিনারা বেগমকে (৫০) বাবুগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, বুধবার রাত ১১টার দিকে ওই ঘরে ৩ নারী ঘুমিয়ে পড়েন। পরে সকাল পর্যন্ত তাদের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশিরা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করে। ঘরের এক কোণে সিঁধ কাটার আলামত পাওয়া গেছে। তবে চুরির কোনো ঘটনা ঘটেনি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নিহত রিপার মা ইয়াসমিন বেগম বলেন, খবর পেয়ে রাতেই তারা মেয়ের বাড়িতে যান। মেয়ে আর এই দুনিয়ায় নেই। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন তিনি।
রিপার ভাই তরিকুল ইসলাম শাওন বলেন, রাতে রিপার স্বামী তাকে ফোন করে বাড়িতে চুরি ও ঘরের তিনজনকে কিছু একটা খাওয়ানো হয়েছে বলে জানান। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূরে আলম বেপারী জানান, ধারণা করা হচ্ছে খাবারের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে অজ্ঞান করে মোবাইল ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় একই পরিবারের দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. শাহজাহান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বাকেরগঞ্জ সার্কেল) মো. ফরহাদ সরদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ভুতেরদিয়া গ্রামে সাবেক ইউপি সদস্যর বাড়ি থেকে ২ নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে সাবেক ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন দেলোয়ারের মা লালমোন্নেসা (৯৫) এবং পুত্রবধূ নামজমুন নাহার রিপা বেগম (২৩)। এ ঘটনায় দেলোয়ারের স্ত্রী মিনারা বেগমকে (৫০) বাবুগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, বুধবার রাত ১১টার দিকে ওই ঘরে ৩ নারী ঘুমিয়ে পড়েন। পরে সকাল পর্যন্ত তাদের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশিরা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করে। ঘরের এক কোণে সিঁধ কাটার আলামত পাওয়া গেছে। তবে চুরির কোনো ঘটনা ঘটেনি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নিহত রিপার মা ইয়াসমিন বেগম বলেন, খবর পেয়ে রাতেই তারা মেয়ের বাড়িতে যান। মেয়ে আর এই দুনিয়ায় নেই। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন তিনি।
রিপার ভাই তরিকুল ইসলাম শাওন বলেন, রাতে রিপার স্বামী তাকে ফোন করে বাড়িতে চুরি ও ঘরের তিনজনকে কিছু একটা খাওয়ানো হয়েছে বলে জানান। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূরে আলম বেপারী জানান, ধারণা করা হচ্ছে খাবারের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে অজ্ঞান করে মোবাইল ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় একই পরিবারের দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. শাহজাহান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বাকেরগঞ্জ সার্কেল) মো. ফরহাদ সরদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।