৪২ বছর আগে মাদরাসার জন্য ওয়াকফ করা প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা মুল্যের ১৫ শতাংশ জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি পক্ষের বিরুদ্ধে৷
নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কালাদী সাহাজ উদ্দিন জামিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার জমিটি দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
মাদ্রাসার জমিদাতাদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, পুলিশের আইজি, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো ফল পাচ্ছেন না বলেও জানান৷
মাদরাসার লোকজন বলেন, কালাদী সাহাজ উদ্দিন জামিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার জমির পরিমান ১৮৫ দশমিক পাঁচ শতাংশ। এ জমির মধ্যে ১২৫ দশমিক পাঁচ শতাংশ দান করেন প্রয়াত সাহাজ উদ্দিন৷
সাহাজ উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল হাই পারভেজ জানান, আমাদের এলাকায় অনেক কিছু থাকলেও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। এ কারণে ১৯৮০ সালে এলাকার ধর্মানুরাগী ব্যক্তিরা মিলে নিজেদের অর্থে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। সময়ের পরিক্রমায় প্রতিষ্ঠাতাদের বেশিরভাগ মারা গেলে এলাকার লোকজন ও প্রতিষ্ঠাদের পরিবার মাদরাসা পরিচালনার স্বার্থে পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী ও বর্তমান দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খাঁনের শরণাপন্ন হন। এছাড়া মাদরাসা কমিটিতে রয়েছে জাকির হোসেন, ম্যানেজিং কমিটিতে সিলেকশনে আসা বিল্লাল হোসেন, আব্দুল হক সরকার।
পারভেজ বলেন, মাদরাসা কমিটির সদস্য জাকির হোসেন, বিল্লাল হোসেন, আব্দুল হকদের সহযোগিতায় এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হাজী মনির হোসেন মাদরাসার জন্য দান করা পনের শতাংশ জমি দখল করে নেয়। এর মধ্যে দশ শতাংশের উপরে সে তৃতীয় তলা ভবন নির্মাণ করেছে। মাদ্রাসার জায়গা দখল করে কাজ শুরু করলে আমি এই অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে আদালত ‘ষ্ট্যাটাস ক্যু’ ( সবাই যার যার অবস্থানে যে অবস্থানে আছে সে অবস্থায় থাকবে) এর আদেশ প্রদান করে। কিন্তু সে আদেশ উপেক্ষা করে মনির হোসেন এ ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এলাকার বাসিন্দা হাজী মোজাম্মেল জানান, এলাকাবাসি হিসেবে আমি মাদরাসার জায়গা দখলের প্রতিবাদ জানালে আমার বিরুদ্ধে মনির হোসেন চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে দিয়েছে।
এলাকার একটি কনফেকশনারী দোকানের মালিক গোলাম মোস্তফা জানান, এলাকার এ জমির বাজার মূল্য ত্রিশ লাখ টাকা শতাংশ। সে হিসেবে যে জমি দখল করা হয়েছে তার মুল্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা।
মাদরাসার জায়গা দখলে অভিযুক্ত মনির হোসেন বলেন, মাদরাসার জায়গা যারা দান করেছে তাদের মধ্যে আমার পূর্বপুরুষও রয়েছে। মাদরাসার ভেতরে আমাদের উনিশ শতাংশ জমি রয়েছে। যে জমি দখল করেছি বলে অভিযোগ করছে সেটি পয়তাল্লিশ বছর ধরে আমাদের দখলে। সেখানে মিল-ফ্যাক্টরি আছে। তারপরেও যদি নিরপেক্ষ লোকজনের উপস্থিতিতে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে মেপে আমার কাছে মাদরাসার কোনো জায়গা আছে বলে প্রমান হয় তাহলে ছেড়ে দেবো।
তিনি বলেন, মাদরাসার জায়গা দখল করেছি বলা হচ্ছে কিন্তু মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তো আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেনি। মামলা করছে এলাকায় যারা আমার প্রতিপক্ষ তারা। সাংবাদিকদের কাছেও তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
জমি দখলে নিজের সহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করে মাদরাসার প্রিন্সিপাল মনির হোসেন বলেন, মাদরাসার জায়গা কম আছে এটা সত্য। তবে মাদরাসার বাউন্ডারির বাইরের মনির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে জমি আদায়ের ব্যাপারে আমাদের মাদরাসা কমিটির কোনো সিদ্ধান্ত নেই। মাদরাসা কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক খান কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের জন্য বলেছিলেন। কিন্তু একটি পক্ষ সেটি মানছে না। কমিটির সভাপতি বলেছেন, তারা মামলা করে যদি মাদরাসার জন্য জমি আদায় করে আনতে পারে তাহলে মাদরাসা তা গ্রহণ করবে। কিন্তু মাদ্রাসা কমিটি কোনো মামলায় যাবে না।
এ ব্যাপারে কথা বলতে মাদরাসা কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক খাঁনের মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি ধরেননি। এস এম এস পাঠালেও উত্তর দেননি।
রোববার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩
৪২ বছর আগে মাদরাসার জন্য ওয়াকফ করা প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা মুল্যের ১৫ শতাংশ জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি পক্ষের বিরুদ্ধে৷
নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কালাদী সাহাজ উদ্দিন জামিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার জমিটি দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
মাদ্রাসার জমিদাতাদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, পুলিশের আইজি, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো ফল পাচ্ছেন না বলেও জানান৷
মাদরাসার লোকজন বলেন, কালাদী সাহাজ উদ্দিন জামিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার জমির পরিমান ১৮৫ দশমিক পাঁচ শতাংশ। এ জমির মধ্যে ১২৫ দশমিক পাঁচ শতাংশ দান করেন প্রয়াত সাহাজ উদ্দিন৷
সাহাজ উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল হাই পারভেজ জানান, আমাদের এলাকায় অনেক কিছু থাকলেও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। এ কারণে ১৯৮০ সালে এলাকার ধর্মানুরাগী ব্যক্তিরা মিলে নিজেদের অর্থে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। সময়ের পরিক্রমায় প্রতিষ্ঠাতাদের বেশিরভাগ মারা গেলে এলাকার লোকজন ও প্রতিষ্ঠাদের পরিবার মাদরাসা পরিচালনার স্বার্থে পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী ও বর্তমান দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খাঁনের শরণাপন্ন হন। এছাড়া মাদরাসা কমিটিতে রয়েছে জাকির হোসেন, ম্যানেজিং কমিটিতে সিলেকশনে আসা বিল্লাল হোসেন, আব্দুল হক সরকার।
পারভেজ বলেন, মাদরাসা কমিটির সদস্য জাকির হোসেন, বিল্লাল হোসেন, আব্দুল হকদের সহযোগিতায় এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হাজী মনির হোসেন মাদরাসার জন্য দান করা পনের শতাংশ জমি দখল করে নেয়। এর মধ্যে দশ শতাংশের উপরে সে তৃতীয় তলা ভবন নির্মাণ করেছে। মাদ্রাসার জায়গা দখল করে কাজ শুরু করলে আমি এই অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে আদালত ‘ষ্ট্যাটাস ক্যু’ ( সবাই যার যার অবস্থানে যে অবস্থানে আছে সে অবস্থায় থাকবে) এর আদেশ প্রদান করে। কিন্তু সে আদেশ উপেক্ষা করে মনির হোসেন এ ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এলাকার বাসিন্দা হাজী মোজাম্মেল জানান, এলাকাবাসি হিসেবে আমি মাদরাসার জায়গা দখলের প্রতিবাদ জানালে আমার বিরুদ্ধে মনির হোসেন চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে দিয়েছে।
এলাকার একটি কনফেকশনারী দোকানের মালিক গোলাম মোস্তফা জানান, এলাকার এ জমির বাজার মূল্য ত্রিশ লাখ টাকা শতাংশ। সে হিসেবে যে জমি দখল করা হয়েছে তার মুল্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা।
মাদরাসার জায়গা দখলে অভিযুক্ত মনির হোসেন বলেন, মাদরাসার জায়গা যারা দান করেছে তাদের মধ্যে আমার পূর্বপুরুষও রয়েছে। মাদরাসার ভেতরে আমাদের উনিশ শতাংশ জমি রয়েছে। যে জমি দখল করেছি বলে অভিযোগ করছে সেটি পয়তাল্লিশ বছর ধরে আমাদের দখলে। সেখানে মিল-ফ্যাক্টরি আছে। তারপরেও যদি নিরপেক্ষ লোকজনের উপস্থিতিতে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে মেপে আমার কাছে মাদরাসার কোনো জায়গা আছে বলে প্রমান হয় তাহলে ছেড়ে দেবো।
তিনি বলেন, মাদরাসার জায়গা দখল করেছি বলা হচ্ছে কিন্তু মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তো আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেনি। মামলা করছে এলাকায় যারা আমার প্রতিপক্ষ তারা। সাংবাদিকদের কাছেও তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
জমি দখলে নিজের সহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করে মাদরাসার প্রিন্সিপাল মনির হোসেন বলেন, মাদরাসার জায়গা কম আছে এটা সত্য। তবে মাদরাসার বাউন্ডারির বাইরের মনির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে জমি আদায়ের ব্যাপারে আমাদের মাদরাসা কমিটির কোনো সিদ্ধান্ত নেই। মাদরাসা কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক খান কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের জন্য বলেছিলেন। কিন্তু একটি পক্ষ সেটি মানছে না। কমিটির সভাপতি বলেছেন, তারা মামলা করে যদি মাদরাসার জন্য জমি আদায় করে আনতে পারে তাহলে মাদরাসা তা গ্রহণ করবে। কিন্তু মাদ্রাসা কমিটি কোনো মামলায় যাবে না।
এ ব্যাপারে কথা বলতে মাদরাসা কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক খাঁনের মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি ধরেননি। এস এম এস পাঠালেও উত্তর দেননি।