alt

অর্থ-বাণিজ্য

বাজেট: বৈষম্যহীনতার প্রতিশ্রুতি, পুরনো কৌশলেই ভরসা

রেজাউল করিম : মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫

বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘সম্পদের সুষম বণ্টন ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া এবারের বাজেটর অন্যতম লক্ষ্য।’ তবে সমাজের বৈষম্য দূরীকরণে নতুন কোনো কৌশলের স্পষ্ট ইঙ্গিত বাজেট প্রস্তাবনায় উঠে আসেনি। পুরনো যেসব কৌশল আগের সরকার ব্যবহার করেছিল সেগুলোকেই কিছুটা বেগবান করার ইঙ্গিত প্রস্তাবিত বাজেটে করা হয়েছে।

https://sangbad.net.bd/images/2025/June/03Jun25/news/budget.jpg

সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় দেশবাসীর সামনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাজেট তুলে ধরেন অর্থ উপদেষ্টা। সম্পদের সুষম বণ্টন ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া এবারের বাজেটের অন্যতম লক্ষ্য বলে জানান তিনি। পাশাপাশি রাজস্ব আয় ও সরকারি ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে একটি যৌক্তিক ও বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট প্রণয়নও হবে এবারের বাজেটের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলছেন, ‘এবারের বাজেট সম্পদের সুষম বণ্টন ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক হবে।’ অর্থাৎ উচ্চ আয় ও নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে সম্পদের ব্যবধান কমবে। কিন্তু উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়েনি। আগের মতোই সাড়ে তিন লাখ টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে।

উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের প্রকৃত আয় কমছে। এক বছর ধরে গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে আছে। এর মানে হলো, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার খরচ গত এক বছরে ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। কিন্তু মজুরির হার সেভাবে বাড়েনি। তাদের প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা কমেছে।

তবে ২০২৬-২৭ অর্থবছর থেকে পরের এক অর্থবছর পর্যন্ত করমুক্ত আয়সীমা ২৫ হাজার টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন অর্থ উপদেষ্টা। ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা হবে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তবে তখন কোন সরকার ক্ষমতায় থাকবে আর সে সরকার করমুক্ত আয়সীমা কত করবে- সেটা এখন বলাটা কতটা যৌক্তিক সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বেশ কিছু ভাতার হার বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সরকার। এর মধ্যে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী এবং মা ও শিশুর মাসিক সহায়তা ভাতা ৫০ টাকা করে এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত নারীদের মাসিক ভাতা ১০০ টাকা করে বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

আগামী বাজেটে বয়স্ক ভাতার মাসিক হার ৬০০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত মহিলাদের মাসিক ভাতা ৫৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাসিক ভাতা ৮৫০ থেকে বাড়িয়ে ৯০০ টাকা এবং মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় দেয়া মাসিক ভাতার হার ৮০০ থেকে বাড়িয়ে ৮৫০ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা। এ ছাড়া অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য মাসিক ভাতার হার ৬৫০ টাকা করারও প্রস্তাব দেন তিনি। তবে প্রায় ১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতির সময়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বৃদ্ধি খুব বড় কিছু নয়। ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা হলে শতাংশ হারে বাড়ে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অর্থাৎ এখানে না বেড়ে বরং কমেছে। আবার ৫৫০ থেকে ৬৫০ বাড়লে শতাংশ হারে বাড়ে প্রায় ১৮ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির হার বাদ দিলে এখানে কিছুটা বৃদ্ধি হয়।

অর্থ উপদেষ্টা জানান, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পেনশন ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য বরাদ্দ দাঁড়াবে ৯১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা। সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যাপ্তি ও গুরুত্ব বিবেচনায় বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি। এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।

এবারের বাজেটে চাকরির চেয়ে উদ্যোক্তাদের প্রতি নজর দিয়েছে সরকার। দেশে তিন বছরের মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের বিকাশে ১৫ হাজার নতুন উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের কেন্দ্রীয় ডেটাবেইজ প্রতিষ্ঠা, নারী উদ্যোক্তাসহ প্রান্তিক পর্যায়ের সিএমএসএমই খাতের ১০ হাজার উদ্যোক্তাকে ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হবে।’ অর্থাৎ নতুন অর্থবছরে ১০ হাজার উদ্যোক্তা ১০ লাখ টাকা করে ঋণ পাবেন।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে আগামী অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ তহবিল করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা। এ ছাড়া সারাদেশে ৪৯১টি উপজেলায় তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার লক্ষ্যে ‘উপজেলা সেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ নির্মাণ করা হচ্ছে।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘সারাদেশে পাঁচ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইসিটিডি ডিজিটাল ল্যাব ও ৩০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইসিটিডি স্কুল অব ফিউচার স্থাপন করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়নে অনুপ্রেরণা দিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গত অর্থবছরে ৪৯২টি প্রকল্পে প্রায় ১৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকার বিশেষ গবেষণা অনুদান দেয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী অর্থবছরে মৌলিক বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্লু ইকোনমি বা নীল অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগানোর লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম বাবদ ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।’

মোট বাজেটের সারাংশে দেখা যায়, এবারের বাজেটের সম্ভাব্য আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এ হিসেবে গত অর্থবছরের চেয়ে বাজেটের আকার কমেছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এটিও গত বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে কম। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এডিপি ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।

বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জোগান দেবে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা, যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৮৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এছাড়া অন্যান্য খাত থেকে আসবে ৬৫ হাজার কোটি টাকা বা মোট লক্ষ্যমাত্রার ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণ থেকে আসবে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা বা মোট ঘাটতির ৫৫ দশমিক ৩ শতাংশ। আর বিদেশি ঋণ থেকে আসবে ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা বা ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পরিচালন ব্যয় ছিল ৫ লাখ ৬ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। এবার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর ৫৭ ভাগই যাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভর্তুকি, প্রণোদনা ও ঋণ পরিশোধে। নতুন বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ১০ থেকে ২০ ভাগ মহার্ঘ্য ভাতা ঘোষণা করা হয়েছে।

রাজস্ব আহরণ আরও জোরদার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যক্রম আরও বেগবান করার কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা।

তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে জনবল বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া, কর অব্যাহতি সুবিধা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনা, করজাল সম্প্রসারণ, বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবায় যথাসম্ভব একই হারে ভ্যাট নির্ধারণের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।’

এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমানোর ওপর জোর দেয়া হয়েছে। এ অর্থবছরের জন্য মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটেও সার্বিক মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। গত এপ্রিলের হিসেবে দেশের বর্তমান সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।

এবারের বাজেটে জিডিপির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছর জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। সাময়িক হিসাবে অর্জিত হয়েছে ৩ দশমিক ৯৭ ভাগ।

বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ‘সংলাপের প্রস্তুতি ও পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনার’ অংশ হিসেবে ৬২৬টি পণ্যে শুল্ক ছাড় দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, ‘আমদানি পণ্যের শুল্ক-কর হার পর্যায়ক্রমে হ্রাস করা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সংলাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, ৬৫টি পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস, ৯টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার এবং ৪৪২টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।’

আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা পণ্যের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সূতা, পারমাণবিক চুল্লি ও এর বিভিন্ন অংশ, বয়লার, হাইড্রোলিক টার্বাইন, গ্যাস টার্বাইন, দুধ দোহনের যন্ত্র, মিল্কিং মেশিন ও দুগ্ধ খামারের যন্ত্র ও কিছু যন্ত্রাংশ, ওয়াইন-সেডার ও ফলের রস উৎপাদনের যন্ত্র, চিনি কলের যন্ত্র, হাঁস-মুরগির ডিম ফোটানোর যন্ত্র (ইনকিউবেটর) ও ব্রুডার এবং এগুলোর যন্ত্রাংশ, স্পিনিং মিল ও বেকারি যন্ত্র, এমআরআই যন্ত্র।

এছাড়া যুদ্ধাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন ধরনের বন্দুক, হাওইটজার (এক ধরনের কামান), মর্টার ইত্যাদি। বিদায়ী অর্থবছরে এসব যুদ্ধাস্ত্রের আমদানি শুল্ক রয়েছে ৫ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে এই আমদানি শুল্ক শূন্য শতাংশ করা হয়েছে।

রকেটলঞ্চার, ফ্লেইম থ্রোয়ারস, গ্রেনেডলঞ্চার, টর্পেডো টিউব এবং এ ধরনের অস্ত্র আমদানির শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্য অস্ত্রের ক্ষেত্রেও আমদানি শুল্ক শূন্য শতাংশ করা হয়েছে।

পাল্টা শুল্কের শঙ্কায় বাংলাদেশ থেকে পোশাকের ক্রয়াদেশ পিছিয়েছে ওয়ালমার্ট

ছবি

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে

১০ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধনে যোগ হলো শেয়ারবাজারে

ছবি

চার দিনের সফরে এসেছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট

বিটকয়েনের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ডলার ছাড়ালো

ছবি

বাংলাদেশে উন্মোচিত হলো টেকনো স্পার্ক ৪০ এবং স্পার্ক ৪০ প্রো

ছবি

বাজারে লেনোভোর আইডিয়াপ্যাড স্লিম ৩ আই সিরিজের নতুন পাঁচটি ল্যাপটপ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীন ও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে

তিন কারণে পণ্য রপ্তানিতে আগের মতোই প্রণোদনা পাবেন ব্যবসায়ীরা

ছবি

টানা ৭ মাস বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের নিচে

পাল্টা শুল্ক নিয়ে চার উপদেষ্টাকে উদ্বেগ জানালেন ব্যবসায়ীরা

ছবি

ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স দেয়ার উদ্যোগ

আমদানিপণ্য দ্রুত খালাসের আহ্বান এনবিআর চেয়ারম্যানের

ছবি

আবুল বারকাতকে রিমান্ডে চেয়ে দুদকের আবেদন, আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হলো

ছবি

দেশে মোটরসাইকেল বিক্রি বেড়েছে

ছবি

বাজার সম্প্রসারণে আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে জোর ব্যবসায়ীদের

নথি গায়েব করে ১৪৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি

অধিকাংশ ব্যাংকের অডিট রিপোর্টে ‘ফিকশন’ পাওয়া গেছে: গভর্নর

ছবি

আমদানি-রপ্তানির আড়ালে অর্থপাচার, কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশ ব্যাংক

স্টার্টআপ তহবিল: বয়সের ঊর্ধ্বসীমা উঠে গেল

হাউজ লোন ও ক্রেডিট কার্ড ঋণের সীমা বাড়ছে

সরকারি দফতরে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফর বন্ধ করা হলো

বহুজাতিক কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্তির উদ্যোগ

ছবি

চীনে বিডা’র অফিস খোলার পরিকল্পনা চলছে: আশিক চৌধুরী

দুই বাণিজ্য সংগঠনে প্রশাসক নিয়োগ

ছবি

গত অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ

ছবি

আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংক নয়, সরকারের নিজস্ব উদ্যোগে সংস্কার: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

সততা-দক্ষতার সঙ্গে কাজ করলে কোনো ভয় নেই: এনবিআর চেয়ারম্যান

শেয়ারবাজারে বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন

জুলাইয়ের ৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৮১২৫ কোটি টাকা

ছবি

জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহতদের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

জুলাই হতাহতদের সহায়তায় ২৫ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

বাণিজ্য রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রকে অগ্রাধিকার দিয়ে পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ

ছবি

বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ

ছবি

আকু দায় মিটিয়ে রিজার্ভ ২৪ বিলিয়নের ঘরে

ছবি

ডিএসইতে লেনদেন ৬০০ কোটি টাকা ছাড়ালো

tab

অর্থ-বাণিজ্য

বাজেট: বৈষম্যহীনতার প্রতিশ্রুতি, পুরনো কৌশলেই ভরসা

রেজাউল করিম

মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫

বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘সম্পদের সুষম বণ্টন ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া এবারের বাজেটর অন্যতম লক্ষ্য।’ তবে সমাজের বৈষম্য দূরীকরণে নতুন কোনো কৌশলের স্পষ্ট ইঙ্গিত বাজেট প্রস্তাবনায় উঠে আসেনি। পুরনো যেসব কৌশল আগের সরকার ব্যবহার করেছিল সেগুলোকেই কিছুটা বেগবান করার ইঙ্গিত প্রস্তাবিত বাজেটে করা হয়েছে।

https://sangbad.net.bd/images/2025/June/03Jun25/news/budget.jpg

সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় দেশবাসীর সামনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাজেট তুলে ধরেন অর্থ উপদেষ্টা। সম্পদের সুষম বণ্টন ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া এবারের বাজেটের অন্যতম লক্ষ্য বলে জানান তিনি। পাশাপাশি রাজস্ব আয় ও সরকারি ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে একটি যৌক্তিক ও বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট প্রণয়নও হবে এবারের বাজেটের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলছেন, ‘এবারের বাজেট সম্পদের সুষম বণ্টন ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক হবে।’ অর্থাৎ উচ্চ আয় ও নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে সম্পদের ব্যবধান কমবে। কিন্তু উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়েনি। আগের মতোই সাড়ে তিন লাখ টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে।

উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের প্রকৃত আয় কমছে। এক বছর ধরে গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে আছে। এর মানে হলো, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার খরচ গত এক বছরে ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। কিন্তু মজুরির হার সেভাবে বাড়েনি। তাদের প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা কমেছে।

তবে ২০২৬-২৭ অর্থবছর থেকে পরের এক অর্থবছর পর্যন্ত করমুক্ত আয়সীমা ২৫ হাজার টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন অর্থ উপদেষ্টা। ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা হবে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তবে তখন কোন সরকার ক্ষমতায় থাকবে আর সে সরকার করমুক্ত আয়সীমা কত করবে- সেটা এখন বলাটা কতটা যৌক্তিক সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বেশ কিছু ভাতার হার বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সরকার। এর মধ্যে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী এবং মা ও শিশুর মাসিক সহায়তা ভাতা ৫০ টাকা করে এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত নারীদের মাসিক ভাতা ১০০ টাকা করে বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

আগামী বাজেটে বয়স্ক ভাতার মাসিক হার ৬০০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত মহিলাদের মাসিক ভাতা ৫৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাসিক ভাতা ৮৫০ থেকে বাড়িয়ে ৯০০ টাকা এবং মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় দেয়া মাসিক ভাতার হার ৮০০ থেকে বাড়িয়ে ৮৫০ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা। এ ছাড়া অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য মাসিক ভাতার হার ৬৫০ টাকা করারও প্রস্তাব দেন তিনি। তবে প্রায় ১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতির সময়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বৃদ্ধি খুব বড় কিছু নয়। ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা হলে শতাংশ হারে বাড়ে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অর্থাৎ এখানে না বেড়ে বরং কমেছে। আবার ৫৫০ থেকে ৬৫০ বাড়লে শতাংশ হারে বাড়ে প্রায় ১৮ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির হার বাদ দিলে এখানে কিছুটা বৃদ্ধি হয়।

অর্থ উপদেষ্টা জানান, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পেনশন ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য বরাদ্দ দাঁড়াবে ৯১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা। সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যাপ্তি ও গুরুত্ব বিবেচনায় বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি। এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।

এবারের বাজেটে চাকরির চেয়ে উদ্যোক্তাদের প্রতি নজর দিয়েছে সরকার। দেশে তিন বছরের মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের বিকাশে ১৫ হাজার নতুন উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের কেন্দ্রীয় ডেটাবেইজ প্রতিষ্ঠা, নারী উদ্যোক্তাসহ প্রান্তিক পর্যায়ের সিএমএসএমই খাতের ১০ হাজার উদ্যোক্তাকে ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হবে।’ অর্থাৎ নতুন অর্থবছরে ১০ হাজার উদ্যোক্তা ১০ লাখ টাকা করে ঋণ পাবেন।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে আগামী অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ তহবিল করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা। এ ছাড়া সারাদেশে ৪৯১টি উপজেলায় তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার লক্ষ্যে ‘উপজেলা সেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ নির্মাণ করা হচ্ছে।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘সারাদেশে পাঁচ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইসিটিডি ডিজিটাল ল্যাব ও ৩০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইসিটিডি স্কুল অব ফিউচার স্থাপন করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়নে অনুপ্রেরণা দিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গত অর্থবছরে ৪৯২টি প্রকল্পে প্রায় ১৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকার বিশেষ গবেষণা অনুদান দেয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী অর্থবছরে মৌলিক বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্লু ইকোনমি বা নীল অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগানোর লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম বাবদ ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।’

মোট বাজেটের সারাংশে দেখা যায়, এবারের বাজেটের সম্ভাব্য আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এ হিসেবে গত অর্থবছরের চেয়ে বাজেটের আকার কমেছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এটিও গত বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে কম। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এডিপি ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।

বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জোগান দেবে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা, যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৮৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এছাড়া অন্যান্য খাত থেকে আসবে ৬৫ হাজার কোটি টাকা বা মোট লক্ষ্যমাত্রার ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণ থেকে আসবে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা বা মোট ঘাটতির ৫৫ দশমিক ৩ শতাংশ। আর বিদেশি ঋণ থেকে আসবে ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা বা ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পরিচালন ব্যয় ছিল ৫ লাখ ৬ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। এবার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর ৫৭ ভাগই যাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভর্তুকি, প্রণোদনা ও ঋণ পরিশোধে। নতুন বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ১০ থেকে ২০ ভাগ মহার্ঘ্য ভাতা ঘোষণা করা হয়েছে।

রাজস্ব আহরণ আরও জোরদার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যক্রম আরও বেগবান করার কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা।

তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে জনবল বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া, কর অব্যাহতি সুবিধা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনা, করজাল সম্প্রসারণ, বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবায় যথাসম্ভব একই হারে ভ্যাট নির্ধারণের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।’

এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমানোর ওপর জোর দেয়া হয়েছে। এ অর্থবছরের জন্য মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটেও সার্বিক মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। গত এপ্রিলের হিসেবে দেশের বর্তমান সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।

এবারের বাজেটে জিডিপির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছর জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। সাময়িক হিসাবে অর্জিত হয়েছে ৩ দশমিক ৯৭ ভাগ।

বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ‘সংলাপের প্রস্তুতি ও পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনার’ অংশ হিসেবে ৬২৬টি পণ্যে শুল্ক ছাড় দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, ‘আমদানি পণ্যের শুল্ক-কর হার পর্যায়ক্রমে হ্রাস করা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সংলাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, ৬৫টি পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস, ৯টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার এবং ৪৪২টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।’

আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা পণ্যের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সূতা, পারমাণবিক চুল্লি ও এর বিভিন্ন অংশ, বয়লার, হাইড্রোলিক টার্বাইন, গ্যাস টার্বাইন, দুধ দোহনের যন্ত্র, মিল্কিং মেশিন ও দুগ্ধ খামারের যন্ত্র ও কিছু যন্ত্রাংশ, ওয়াইন-সেডার ও ফলের রস উৎপাদনের যন্ত্র, চিনি কলের যন্ত্র, হাঁস-মুরগির ডিম ফোটানোর যন্ত্র (ইনকিউবেটর) ও ব্রুডার এবং এগুলোর যন্ত্রাংশ, স্পিনিং মিল ও বেকারি যন্ত্র, এমআরআই যন্ত্র।

এছাড়া যুদ্ধাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন ধরনের বন্দুক, হাওইটজার (এক ধরনের কামান), মর্টার ইত্যাদি। বিদায়ী অর্থবছরে এসব যুদ্ধাস্ত্রের আমদানি শুল্ক রয়েছে ৫ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে এই আমদানি শুল্ক শূন্য শতাংশ করা হয়েছে।

রকেটলঞ্চার, ফ্লেইম থ্রোয়ারস, গ্রেনেডলঞ্চার, টর্পেডো টিউব এবং এ ধরনের অস্ত্র আমদানির শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্য অস্ত্রের ক্ষেত্রেও আমদানি শুল্ক শূন্য শতাংশ করা হয়েছে।

back to top