alt

অর্থ-বাণিজ্য

২১ দিনে এলো ১৯৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

দেশে চলতি জুন মাসের প্রথম তিন সপ্তাহে ১৯৮ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে। এর মধ্যে শেষ তিন দিনে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১২ কোটি ৭০ লাখ ডলার। গত বছরের জুনের প্রথম তিন সপ্তাহে এসেছিল ১৯১ কোটি ডলারের প্রবাসী আয়। সে হিসাবে চলতি মাসের প্রথম ২১ দিনে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, চলতি মাসে এ পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৯ কোটি ৪৩ লাখ ডলার এসেছে। গত মাসের গড় ছিল দৈনিক ৯ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। বিদেশ থেকে প্রবাসীরা প্রায় বছরখানেক ধরে বৈধ পথে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি পরিমাণে প্রবাসী আয় পাঠাচ্ছেন। ব্যাংকাররা বলছেন, মূলত অর্থ পাচার কমে আসায় প্রবাসীরা তাঁদের আয় পাঠাতে বৈধ পথকে বেছে নিয়েছেন।

প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকগুলোয় ডলারের যে সংকট চলছিল, তা অনেকটা কেটে গেছে বলে ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান। তারা বলেন, ডলারের দাম নিয়ে অস্থিরতাও কমেছে। ব্যাংকগুলো এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ দর ১২৩ টাকার মধ্যেই প্রবাসী আয় কিনছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ২১ জুন পর্যন্ত ২ হাজার ৯৫০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ২ হাজার ৩২৯ কোটি ডলারের। তার মানে চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ।

প্রবাসীরা সাধারণত ঈদের আগে দেশে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় পাঠান। এবারের কোরবানির ঈদের আগেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত মে মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২৯৭ কোটি ডলার প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি। বিশেষ করে চলতি মাসের প্রথম ৩ দিনে দেশে এসেছে ৬০ কোটি ৪০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস ছাড়া বাকি ১০ মাসের প্রতিটিতেই ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে। গত মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় আসে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় আসে যথাক্রমে মে মাসে ২৯৭ ও এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই উৎস হচ্ছে প্রবাসী আয় ও পণ্য রপ্তানি। কয়েক মাস ধরে দুটি উৎসই ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৪ হাজার ৪৯৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি।

প্রবাসী আয় হলো দেশে মার্কিন ডলার জোগানের একমাত্র দায়বিহীন উৎস। কারণ, এ আয়ের বিপরীতে কোনো বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয় না বা কোনো দায় পরিশোধ করার দরকার পড়ে না। অন্যদিকে রপ্তানি আয়ের বিপরীতে দেশে ডলার এলেও তার জন্য কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে আবার বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয়। এ ছাড়া বিদেশি ঋণ পরিশোধেও ডলারের প্রয়োজন হয়। সার্বিকভাবে প্রবাসী আয় বাড়লে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলারের রিজার্ভ বা মজুত দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

বদলির আদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় আরও ৭ এনবিআর কর্মকর্তা বরখাস্ত

সাড়ে ১৫ হাজার আয়কর মামলা অডিট করবে এনবিআর

এনবিআরের আন্দোলনে ক্ষতি নিরূপণে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি

এনবিআর চেয়ারম্যানকে নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে মন্তব্য করায় নিরাপত্তা প্রহরী বরখাস্ত

বাজার স্থীতিশীল রাখতে দুই দিনে ৫০ কোটি ডলার কিনলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

এনবিআর আন্দোলনে ক্ষতির হিসাব করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার কিনে মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা আনার চেষ্টা

ছবি

টানা চার দিন কমার পর ডলারের দাম বাড়লো ১ টাকা ৪০ পয়সা

ছবি

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

রিটার্ন দিলেও কর দেন না ৩০ লাখ করদাতা

ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কাজের দরপত্র ডাকা হবে না

ই-কমার্স ও ক্রাউডফান্ডিংয়ে সতর্ক থাকতে বললো বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

এক লাখ ২০ হাজার ডলারের গণ্ডি ছাড়ালো বিটকয়েনের দাম

মূলধনি যন্ত্রের আমদানি কমেছে ১৯ শতাংশ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা ‘ইতিবাচক’ তবে তা প্রকাশে অপারগ বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

রেমিটেন্সের ঊর্ধ্বমুখী ধারায় নতুন অর্থবছর শুরু

ছবি

বৈদেশিক লেনদেনে স্বস্তি, কমেছে ‘বাণিজ্য ঘাটতি’

ছবি

ডলারের দর কমায় নিলামে ১৭ কোটি ডলার কিনলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় কমেছে লেনদেন

ছবি

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে নতুন মহাপরিচালকের যোগদান

ছবি

রিয়েলমি ১২ স্মার্টফোনে ৩০০০ টাকা ছাড়

দেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় আছে: বিশ্বব্যাংক

ছবি

সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীরসহ তিনজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

১১ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৪.২৪ শতাংশ, বেড়েছে রপ্তানি ও আমদানি

এক সপ্তাহে ডলারের দাম কমলো ২ টাকা ৯০ পয়সা

ছবি

জুনে ভারতে রপ্তানি কমেছে ৩২ শতাংশ

সূচকের পতন, কমেছে লেনদেনও

ছবি

বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত-ঋণ-হিসাব বেড়েছে, কমেছে এজেন্ট-আউটলেট

ছবি

“বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা নয়, সত্য বলুন”—মোবাইল কোম্পানিগুলোর উদ্দেশে তৈয়্যব

‘সিন্ডিকেটের কবজায়’ এয়ারলাইন্সের টিকেট, অভিযোগ অ্যাটাবের

ছবি

২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে সরকারের ঋণ হবে সাড়ে ২৩ লাখ কোটি টাকা

পাল্টা শুল্কের শঙ্কায় বাংলাদেশ থেকে পোশাকের ক্রয়াদেশ পিছিয়েছে ওয়ালমার্ট

ছবি

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে

১০ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধনে যোগ হলো শেয়ারবাজারে

ছবি

চার দিনের সফরে এসেছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট

tab

অর্থ-বাণিজ্য

২১ দিনে এলো ১৯৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

দেশে চলতি জুন মাসের প্রথম তিন সপ্তাহে ১৯৮ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে। এর মধ্যে শেষ তিন দিনে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১২ কোটি ৭০ লাখ ডলার। গত বছরের জুনের প্রথম তিন সপ্তাহে এসেছিল ১৯১ কোটি ডলারের প্রবাসী আয়। সে হিসাবে চলতি মাসের প্রথম ২১ দিনে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, চলতি মাসে এ পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৯ কোটি ৪৩ লাখ ডলার এসেছে। গত মাসের গড় ছিল দৈনিক ৯ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। বিদেশ থেকে প্রবাসীরা প্রায় বছরখানেক ধরে বৈধ পথে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি পরিমাণে প্রবাসী আয় পাঠাচ্ছেন। ব্যাংকাররা বলছেন, মূলত অর্থ পাচার কমে আসায় প্রবাসীরা তাঁদের আয় পাঠাতে বৈধ পথকে বেছে নিয়েছেন।

প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকগুলোয় ডলারের যে সংকট চলছিল, তা অনেকটা কেটে গেছে বলে ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান। তারা বলেন, ডলারের দাম নিয়ে অস্থিরতাও কমেছে। ব্যাংকগুলো এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ দর ১২৩ টাকার মধ্যেই প্রবাসী আয় কিনছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ২১ জুন পর্যন্ত ২ হাজার ৯৫০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ২ হাজার ৩২৯ কোটি ডলারের। তার মানে চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ।

প্রবাসীরা সাধারণত ঈদের আগে দেশে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় পাঠান। এবারের কোরবানির ঈদের আগেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত মে মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২৯৭ কোটি ডলার প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি। বিশেষ করে চলতি মাসের প্রথম ৩ দিনে দেশে এসেছে ৬০ কোটি ৪০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস ছাড়া বাকি ১০ মাসের প্রতিটিতেই ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে। গত মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় আসে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় আসে যথাক্রমে মে মাসে ২৯৭ ও এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই উৎস হচ্ছে প্রবাসী আয় ও পণ্য রপ্তানি। কয়েক মাস ধরে দুটি উৎসই ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৪ হাজার ৪৯৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি।

প্রবাসী আয় হলো দেশে মার্কিন ডলার জোগানের একমাত্র দায়বিহীন উৎস। কারণ, এ আয়ের বিপরীতে কোনো বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয় না বা কোনো দায় পরিশোধ করার দরকার পড়ে না। অন্যদিকে রপ্তানি আয়ের বিপরীতে দেশে ডলার এলেও তার জন্য কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে আবার বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয়। এ ছাড়া বিদেশি ঋণ পরিশোধেও ডলারের প্রয়োজন হয়। সার্বিকভাবে প্রবাসী আয় বাড়লে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলারের রিজার্ভ বা মজুত দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

back to top