বাজারে এক মাসের বেশি সময় ধরে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল। বাজারে ৬০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না কোনও চাল। গত ১ মাসে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা। খুচরা বিক্রেতারা মনে করেন, পাইকারি বিক্রেতাদের সিন্ডিকেটের কারণে চালের দাম বেড়েছে।
গত ৫ জুলাই যশোর সার্কিট হাউজে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে। খুব শিগগিরই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে। তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে অতীতের যেকোনও সময়ের তুলনায় বেশি পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। দেশে খাদ্য মজুত বর্তমানে অত্যন্ত সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায় মোটা স্বর্ণা চালের দাম ৬০ টাকা কেজি। এক মাস আগেও এ চালের দাম ছিল ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা। বাজারে ৫৮ থেকে ৬০ টাকার পাইজাম এখন ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, ৬০ টাকার হাস্কি ২৯ ও লতা ২৮ চালের দাম ৬৪ টাকা। খুদ চালের দামও ৫৫ টাকা। এছাড়া বাসমতি ৯৫, কাটারি নাজির ৭৫ থেকে ৯০ টাকা, কাটারি ভোগ ১২০ টাকা, ১ নম্বর জিরা নাজির ৮০ টাকা, মিনিকেট ৭৬ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঢাকার খুচরা দোকানগুলোতে দাদা, রশিদ ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি ৮০ টাকা, দেশ ৮৫ টাকা, কাটারি নাজির ৮৫, জিরা নাজির ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের দাম বাড়ার কারণ নিয়ে জানতে চাইলে একাধিক চাল ব্যবসায়ী জানান, বাজারে কিন্তু চালের সংকট নেই। পর্যাপ্ত উৎপাদন ও মজুত আছে। এরপরও ৬০ টাকার নিচে চাল নেই। মূলত প্রাণ, তীর, আকিজ, ফ্রেশসহ বড় বড় কোম্পানিগুলো চালের বাজারে ঢুকে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে। এটা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। তাদের নিয়ন্ত্রণের কেউ নেই বলে মনে করেন এ বিক্রেতা।
অন্য এক দোকানী জানান, এক মাস ধরে বেশী দািমে বিক্রি হচ্ছে চাল। মূলত মোটা চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। এর আগে চিকন চালের দাম বেড়েছিল। বর্তমানে চিকন চাল আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর মোটা চালও চিকন চালের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে। আগে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা ছিল মিনিকেটের দাম। আর এখন মিনিকেটের দাম ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা। যেভাবে দাম বাড়তেছে, সামনের দিকে গুটি বা মোটা চাল খাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না সাধারন মধ্যবিত্তদের।
একজন ভোক্তা চাল কিনতে গিয়ে জানান, আমাদের বেতন আগের জায়গায় আছে। সংসারের খরচ আরও বেড়েছে। ম্যানেজ করা ছাড়া উপায় নেই। আগে এক বস্তা নিতাম ২ হাজার ৯০০ করে, এখন সেটা হয়েছে ৩ হাজার ২০০ টাকা। বাজারে খরচের সঙ্গে বেতনের কোনও সামঞ্জস্য পাই না। চাল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। এটার দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই। সরকারের উচিত চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করা।
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
বাজারে এক মাসের বেশি সময় ধরে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল। বাজারে ৬০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না কোনও চাল। গত ১ মাসে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা। খুচরা বিক্রেতারা মনে করেন, পাইকারি বিক্রেতাদের সিন্ডিকেটের কারণে চালের দাম বেড়েছে।
গত ৫ জুলাই যশোর সার্কিট হাউজে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে। খুব শিগগিরই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে। তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে অতীতের যেকোনও সময়ের তুলনায় বেশি পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। দেশে খাদ্য মজুত বর্তমানে অত্যন্ত সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায় মোটা স্বর্ণা চালের দাম ৬০ টাকা কেজি। এক মাস আগেও এ চালের দাম ছিল ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা। বাজারে ৫৮ থেকে ৬০ টাকার পাইজাম এখন ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, ৬০ টাকার হাস্কি ২৯ ও লতা ২৮ চালের দাম ৬৪ টাকা। খুদ চালের দামও ৫৫ টাকা। এছাড়া বাসমতি ৯৫, কাটারি নাজির ৭৫ থেকে ৯০ টাকা, কাটারি ভোগ ১২০ টাকা, ১ নম্বর জিরা নাজির ৮০ টাকা, মিনিকেট ৭৬ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঢাকার খুচরা দোকানগুলোতে দাদা, রশিদ ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি ৮০ টাকা, দেশ ৮৫ টাকা, কাটারি নাজির ৮৫, জিরা নাজির ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের দাম বাড়ার কারণ নিয়ে জানতে চাইলে একাধিক চাল ব্যবসায়ী জানান, বাজারে কিন্তু চালের সংকট নেই। পর্যাপ্ত উৎপাদন ও মজুত আছে। এরপরও ৬০ টাকার নিচে চাল নেই। মূলত প্রাণ, তীর, আকিজ, ফ্রেশসহ বড় বড় কোম্পানিগুলো চালের বাজারে ঢুকে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে। এটা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। তাদের নিয়ন্ত্রণের কেউ নেই বলে মনে করেন এ বিক্রেতা।
অন্য এক দোকানী জানান, এক মাস ধরে বেশী দািমে বিক্রি হচ্ছে চাল। মূলত মোটা চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। এর আগে চিকন চালের দাম বেড়েছিল। বর্তমানে চিকন চাল আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর মোটা চালও চিকন চালের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে। আগে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা ছিল মিনিকেটের দাম। আর এখন মিনিকেটের দাম ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা। যেভাবে দাম বাড়তেছে, সামনের দিকে গুটি বা মোটা চাল খাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না সাধারন মধ্যবিত্তদের।
একজন ভোক্তা চাল কিনতে গিয়ে জানান, আমাদের বেতন আগের জায়গায় আছে। সংসারের খরচ আরও বেড়েছে। ম্যানেজ করা ছাড়া উপায় নেই। আগে এক বস্তা নিতাম ২ হাজার ৯০০ করে, এখন সেটা হয়েছে ৩ হাজার ২০০ টাকা। বাজারে খরচের সঙ্গে বেতনের কোনও সামঞ্জস্য পাই না। চাল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। এটার দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই। সরকারের উচিত চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করা।