সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে ঢাকার পুঁজিবাজার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেনে একের পর এক রেকর্ড গড়েছে। গড় লেনদেন বেড়ে হয়েছে ৬৮১ কোটি টাকা, যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ। সারা সপ্তাহের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা, যা এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ১.৫৯ শতাংশ বেশি।
মূলধন বাড়ার পাশাপাশি ঢাকার বাজারে এক সপ্তাহে গড় লেনদেন বেড়েছে ৭.১৪ শতাংশ। সবশেষ বুধ এবং বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৭০০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়, যা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের ২৫ তারিখের পর সর্বোচ্চ।
চলতি মাসে ধীরে ধীরে ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে ৫০০ কোটির ঘর ছাড়াতে শুরু করে, যা মাসের দশ দিন পরে ৬০০ কোটিতে নিয়মিত হয়। সবশেষ ৭৮৯ কোটি টাকার লেনদেনে বাজারে চাঙ্গাভাব ফিরে এসেছে।
লেনদেনে একের পর এক রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইক্স বেড়েছে ৬৪ পয়েন্ট। ৫০৬৮ পয়েন্ট দিয়ে লেনদেন শুরু হওয়া সূচক সপ্তাহ শেষে বেড়ে হয়েছে ৫১৩২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত ভালো কোম্পানির বুল-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২৮ পয়েন্ট।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে ঢাকার বাজারে দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ২৯০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৮০ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ার এবং ইউনিটের দাম।
অসুবিধায় ব্যাংক খাত
সামগ্রিকভাবে পুঁজিবাজার ভালো করলেও সুবিধা করতে পারছে না ব্যাংক খাতের তালিকাভুক্ত শেয়ার। সবশেষ দেশের ব্যাংক খাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংসের নেতিবাচক প্রতিবেদনের প্রভাব পড়েছে বাজারে।
ক্রেডিট রেটিং প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২৬ সাল পর্যন্ত চাপে থাকবে দেশের ব্যাংকখাত। কাঠামোগত ত্রুটি, সম্পদের মানের অবনতি এবং অলাভজনক অবস্থার কারণে দেশের ব্যাংকখাতে চাপ অব্যাহত থাকবে।
সারা সপ্তাহে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১, কমেছে ২৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ ব্যাংকের শেয়ারের দাম।
পাঁচ কার্যদিবসে এ খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ২৩.৭১ শতাংশ এবং শেয়ার লেনদেন কমেছে ২৯.৪৯ শতাংশ।
ব্যাংক খাত সুবিধা করতে না পারলেও ভালো অবস্থানে আছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা খাত। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৫ শতাংশ, সাধারণ বীমা খাতে ৩৪ এবং জীবন বীমা খাতে দাম বেড়েছে ১৮ শতাংশ।
চট্টগ্রামে উত্থান
ঢাকার মতো উত্থানের ধারা বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারা সপ্তাহের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৫১ পয়েন্ট।
এছাড়া চট্টগ্রামের বেঞ্চমার্ক সূচক সিএসই-৫০ বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট, সিলেক্টিভ সূচক সিএসই-৩০ বেড়েছে ২৫৪ পয়েন্ট এবং শরিয়াভিত্তিক সূচক সিএসআই বেড়েছে ১৪ পয়েন্ট।
সারা সপ্তাহে লেনদেন হওয়া ৩৪১ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩৭, কমেছে ৭৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে শীর্ষে আছে জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড এবং তলানিতে মিঠুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং।
সপ্তাহজুড়ে চট্টগ্রামের বাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লাভেলো এবং ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার।
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে ঢাকার পুঁজিবাজার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেনে একের পর এক রেকর্ড গড়েছে। গড় লেনদেন বেড়ে হয়েছে ৬৮১ কোটি টাকা, যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ। সারা সপ্তাহের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা, যা এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ১.৫৯ শতাংশ বেশি।
মূলধন বাড়ার পাশাপাশি ঢাকার বাজারে এক সপ্তাহে গড় লেনদেন বেড়েছে ৭.১৪ শতাংশ। সবশেষ বুধ এবং বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৭০০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়, যা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের ২৫ তারিখের পর সর্বোচ্চ।
চলতি মাসে ধীরে ধীরে ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে ৫০০ কোটির ঘর ছাড়াতে শুরু করে, যা মাসের দশ দিন পরে ৬০০ কোটিতে নিয়মিত হয়। সবশেষ ৭৮৯ কোটি টাকার লেনদেনে বাজারে চাঙ্গাভাব ফিরে এসেছে।
লেনদেনে একের পর এক রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইক্স বেড়েছে ৬৪ পয়েন্ট। ৫০৬৮ পয়েন্ট দিয়ে লেনদেন শুরু হওয়া সূচক সপ্তাহ শেষে বেড়ে হয়েছে ৫১৩২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত ভালো কোম্পানির বুল-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২৮ পয়েন্ট।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে ঢাকার বাজারে দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ২৯০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৮০ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ার এবং ইউনিটের দাম।
অসুবিধায় ব্যাংক খাত
সামগ্রিকভাবে পুঁজিবাজার ভালো করলেও সুবিধা করতে পারছে না ব্যাংক খাতের তালিকাভুক্ত শেয়ার। সবশেষ দেশের ব্যাংক খাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংসের নেতিবাচক প্রতিবেদনের প্রভাব পড়েছে বাজারে।
ক্রেডিট রেটিং প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২৬ সাল পর্যন্ত চাপে থাকবে দেশের ব্যাংকখাত। কাঠামোগত ত্রুটি, সম্পদের মানের অবনতি এবং অলাভজনক অবস্থার কারণে দেশের ব্যাংকখাতে চাপ অব্যাহত থাকবে।
সারা সপ্তাহে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১, কমেছে ২৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ ব্যাংকের শেয়ারের দাম।
পাঁচ কার্যদিবসে এ খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ২৩.৭১ শতাংশ এবং শেয়ার লেনদেন কমেছে ২৯.৪৯ শতাংশ।
ব্যাংক খাত সুবিধা করতে না পারলেও ভালো অবস্থানে আছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা খাত। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৫ শতাংশ, সাধারণ বীমা খাতে ৩৪ এবং জীবন বীমা খাতে দাম বেড়েছে ১৮ শতাংশ।
চট্টগ্রামে উত্থান
ঢাকার মতো উত্থানের ধারা বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারা সপ্তাহের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৫১ পয়েন্ট।
এছাড়া চট্টগ্রামের বেঞ্চমার্ক সূচক সিএসই-৫০ বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট, সিলেক্টিভ সূচক সিএসই-৩০ বেড়েছে ২৫৪ পয়েন্ট এবং শরিয়াভিত্তিক সূচক সিএসআই বেড়েছে ১৪ পয়েন্ট।
সারা সপ্তাহে লেনদেন হওয়া ৩৪১ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩৭, কমেছে ৭৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে শীর্ষে আছে জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড এবং তলানিতে মিঠুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং।
সপ্তাহজুড়ে চট্টগ্রামের বাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লাভেলো এবং ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার।