alt

সার আমদানিতে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বেসরকারি খাতে সার আমদানির ক্ষেত্রে এক ব্যক্তির একাধিক কোম্পানিকে সুবিধা দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

গত মঙ্গলবার ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। কৃষি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।”

বেসরকারি পর্যায়ে সার আমদানি করতে গিয়ে নতুন করে ‘অনিয়মের সুযোগ’ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন একদল ব্যবসায়ী। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে শোরগোল চলছে।

অভিযোগ উঠেছে, একজন ব্যক্তিকে নিয়ম ভেঙে একই কার্যাদেশে দুটি দেশের জন্য ভিন্ন ভিন্ন দরে একটি লটের সার আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

দেশে প্রতিবছর প্রায় ৬৯ লাখ টন সার ভর্তুকি মূল্যে বিতরণ করে সরকার। ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সার বিদেশ থেকে আমদানি করে ভর্তুকি মূল্যে সারাদেশে বিতরণ করা হয়। সরকারি পর্যায়ে আমদানির পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও সার আমদানির সুযোগ রয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের পরিপত্রের ৮(গ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মোট মূল্যে দাখিল করা আবেদনগুলো থেকে সর্বনিম্ন মূল্যের ক্রমানুসারে বেসরকারি পর্যায়ের আমদানিকারকরা সার ভর্তুকির অন্তর্ভুক্তির জন্য মনোনীত হবে।

“মূল্যের যৌক্তিকতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সমসাময়িক সময়ে বিএডিসি কর্তৃক আমদানি করা সারের মূল্য এবং সারের আন্তর্জাতিক মূল্য প্রকাশকারী বুলেটিন আরগুস ও’ফার্টিকন এর মূল্য তালিকায় প্রদর্শিত দরের সাহায্য নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত মর্মে বিবেচিত হবে।’’

এ পদ্ধতি অনুসরণ করে নন-ইউরিয়া সারের আমদানি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রতি ধাপের টেন্ডারে একটি আমদানিকারক কোম্পানিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ (কম বেশি ৩০,০০০ মেট্রিক টন) সারের জন্য দরপ্রস্তাব দাখিল করতে হয়।

সরকারের সারভিত্তিক আমদানি চাহিদা ওই সিলিং এর চেয়ে অনেক বেশি হওয়ায় দর প্রস্তাবে অংশগ্রহণকারীরা একই দেশের একই সারের জন্য দাখিল করা দরের মধ্যে সর্বনিম্ন দরের পাশাপাশি দ্বিতীয়, তৃতীয় প্রভৃতি দরদাতা কোম্পানির জন্য ক্ষেত্র বিশেষে টন প্রতি ২০ ডলার থেকে ১৫০ ডলার বা তারও বেশি ব্যবধানে সার সরবরাহের সুযোগ তৈরি হত। এতে সরকার বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় ঘটত বলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য।

সবশেষ দরপত্রে প্রতিটন ডিএপি সার চীনের জন্য ৮৪৮ ডলার, রাশিয়ার জন্য ৮৬৫ ডলার, মরক্কো, জর্ডান ও মিশরের জন্য ৮৭৪ ডলার ঠিক করা হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, অবস্থান ও দূরত্বের কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে সার আনার জাহাজ ভাড়া কম বেশি হয়ে থাকে বলে একই সারের সিএফআর মূল্য একই সময়ে দেশভেদে ভিন্ন হয়। এ নিয়ে ‘বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই’।

ছবি

প্রতিদিনের মূল্য জানাতে ভোক্তা অধিদপ্তর নিয়ে এলো মোবাইল অ্যাপ-‘বাজারদর’

ছবি

সিদ্ধান্ত ছিল তিন মাসে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর, আমরা এক বছরেও বাড়াইনি : উপদেষ্টা

ছবি

মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিজিএমইএর বৈঠক

ছবি

প্রাইম ব্যাংক ও প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স-এর মধ্যে পেরোল ব্যাংকিং চুক্তি স্বাক্ষর

ছবি

বৈশ্বিক অনিশ্চয়তায় সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে ব্রাজিল

ছবি

ডেলটা ফার্মার ৩১ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ, বেজার সঙ্গে লিজ চুক্তি

ছবি

কুঁড়ার তেল রফতানিতে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ

ছবি

বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

ছবি

ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার

ছবি

১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবাহে ২৮.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

ছবি

দুবাইয়ে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটিতে ২৬ ঘণ্টা ভোগান্তি

ছবি

২ শতাংশ অর্থ জমা দিয়ে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ

ছবি

অধিকাংশ শেয়ারের দরপতন, সামান্য বেড়েছে লেনদেন

ছবি

অক্টোবরে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের প্রস্তুতি জাতিসংঘকে জানাতে হবে

ছবি

শ্রমিকের পাওনা পরিশোধে নাসা গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রির সিদ্ধান্ত

ছবি

একনেকে ৮৩৩৩ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি

ঢাকায় নিরাপত্তা প্রযুক্তির সর্বশেষ উদ্ভাবন নিয়ে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

ছবি

পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মুখপাত্র মেজবাউল

ছবি

প্রথম চালানে ভারতে গেল সাড়ে ৩৭ টন ইলিশ

ছবি

তাপমাত্রা বাড়ায় বাংলাদেশের ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা: বিশ্বব্যাংক

ছবি

পাঁচ বেসরকারি শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করার প্রথম ধাপে প্রশাসক বসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ পেছানোর বিরোধিতা করছে

ছবি

শেয়ারবাজারে লেনদেন নামলো ৬শ’ কোটি টাকার ঘরে

ছবি

ব্যবসা মাঝে মন্থর ছিল, এখন একটু ভালো: অর্থ উপদেষ্টা.

ছবি

অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরে আশাবাদী জাপানি রাষ্ট্রদূত

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সভা: একীভূত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক, বসছে প্রশাসক

ছবি

বিজিএমইএ–মার্কিন প্রতিনিধিদল বৈঠক: শুল্ক কমাতে আহ্বান

ছবি

জুলাই-আগস্টে এডিপি বাস্তবায়ন ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ

ছবি

বিবিএসের নাম পরিবর্তন ও তদারক পরিষদ রাখার সুপারিশ

ছবি

শ্রম আইন সংশোধন দ্রুত শেষ করার তাগিদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের

ছবি

নগদ অর্থের ব্যবহার কমাতে আসছে একীভূত পেমেন্ট সিস্টেম: গভর্নর

ছবি

আড়াই মাসে ১৩৯ কোটি ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে আবেদনের সময় বাড়লো ২ নভেম্বর পর্যন্ত

ছবি

পুঁজিবাজারে সূচকের নামমাত্র উত্থান, লেনদেন আরও তলানিতে

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে গড়ে খরচ বাড়লো ৪১ শতাংশ

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে লেনোভো ভি সিরিজের নতুন ল্যাপটপ

tab

সার আমদানিতে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বেসরকারি খাতে সার আমদানির ক্ষেত্রে এক ব্যক্তির একাধিক কোম্পানিকে সুবিধা দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

গত মঙ্গলবার ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। কৃষি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।”

বেসরকারি পর্যায়ে সার আমদানি করতে গিয়ে নতুন করে ‘অনিয়মের সুযোগ’ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন একদল ব্যবসায়ী। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে শোরগোল চলছে।

অভিযোগ উঠেছে, একজন ব্যক্তিকে নিয়ম ভেঙে একই কার্যাদেশে দুটি দেশের জন্য ভিন্ন ভিন্ন দরে একটি লটের সার আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

দেশে প্রতিবছর প্রায় ৬৯ লাখ টন সার ভর্তুকি মূল্যে বিতরণ করে সরকার। ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সার বিদেশ থেকে আমদানি করে ভর্তুকি মূল্যে সারাদেশে বিতরণ করা হয়। সরকারি পর্যায়ে আমদানির পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও সার আমদানির সুযোগ রয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের পরিপত্রের ৮(গ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মোট মূল্যে দাখিল করা আবেদনগুলো থেকে সর্বনিম্ন মূল্যের ক্রমানুসারে বেসরকারি পর্যায়ের আমদানিকারকরা সার ভর্তুকির অন্তর্ভুক্তির জন্য মনোনীত হবে।

“মূল্যের যৌক্তিকতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সমসাময়িক সময়ে বিএডিসি কর্তৃক আমদানি করা সারের মূল্য এবং সারের আন্তর্জাতিক মূল্য প্রকাশকারী বুলেটিন আরগুস ও’ফার্টিকন এর মূল্য তালিকায় প্রদর্শিত দরের সাহায্য নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত মর্মে বিবেচিত হবে।’’

এ পদ্ধতি অনুসরণ করে নন-ইউরিয়া সারের আমদানি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রতি ধাপের টেন্ডারে একটি আমদানিকারক কোম্পানিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ (কম বেশি ৩০,০০০ মেট্রিক টন) সারের জন্য দরপ্রস্তাব দাখিল করতে হয়।

সরকারের সারভিত্তিক আমদানি চাহিদা ওই সিলিং এর চেয়ে অনেক বেশি হওয়ায় দর প্রস্তাবে অংশগ্রহণকারীরা একই দেশের একই সারের জন্য দাখিল করা দরের মধ্যে সর্বনিম্ন দরের পাশাপাশি দ্বিতীয়, তৃতীয় প্রভৃতি দরদাতা কোম্পানির জন্য ক্ষেত্র বিশেষে টন প্রতি ২০ ডলার থেকে ১৫০ ডলার বা তারও বেশি ব্যবধানে সার সরবরাহের সুযোগ তৈরি হত। এতে সরকার বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় ঘটত বলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য।

সবশেষ দরপত্রে প্রতিটন ডিএপি সার চীনের জন্য ৮৪৮ ডলার, রাশিয়ার জন্য ৮৬৫ ডলার, মরক্কো, জর্ডান ও মিশরের জন্য ৮৭৪ ডলার ঠিক করা হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, অবস্থান ও দূরত্বের কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে সার আনার জাহাজ ভাড়া কম বেশি হয়ে থাকে বলে একই সারের সিএফআর মূল্য একই সময়ে দেশভেদে ভিন্ন হয়। এ নিয়ে ‘বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই’।

back to top