হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম কমছেই না। শুক্রবার,(১৪ নভেম্বর ২০২৫) পুরনো পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার বলছে, দাম না কমলে আমদানির অনুমতি দেয়া হবে। এছাড়া শীতের সবজির সরবরাহ বাড়তে থাকায় আগের তুলনায় সবজির দাম ধীরে ধীরে কমছে। বাজারে ডিমের দাম প্রতি ডজনে কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা। তবে মাছ এখনও স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
শুক্রবার পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১১০-১২০ টাকায়
ডিমের দাম প্রতি ডজনে কমেছে ১০-২০ টাকা
বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ
শুক্রবার বাজারে পুরনো পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগেও যা বিক্রি হতো ৭০-৮০ টাকায়। অন্যদিকে, বাজারে আসা চলতি মৌসুমের নতুন পেঁয়াজ কলির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল না হলে আমদানির অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে সরকারের। এরই মধ্যে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ২৮০০ প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, পেঁয়াজের দাম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আমদানির অনুমতি দিলেও সেটা সীমিত পরিসরে দেয়া হবে, যেন মৌসুমি পেঁয়াজ ওঠার পর আমদানির প্রভাব কৃষককে ক্ষতিগ্রস্ত না করে।
সাধারণত ডিসেম্বর মাসে বাজারে নতুন মৌসুমের আগাম পেঁয়াজ তথা মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসতে শুরু করে। এর আগে সরবরাহ কম থাকলে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বাজারে পেঁয়াজের দাম চড়া থাকে। গত বছরও এ সময় পেঁয়াজের দাম চড়া ছিল। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুসারে, গত বছর নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বাজারে এক কেজি পেঁয়াজ ১৩০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
চলতি বছরের আগস্ট মাসেও আরেক দফা পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল। তখন পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ২০-২৫ টাকা বেড়েছিল। তার আগে বাজারে এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৫৫-৬৫ টাকায়।
খুচরা বিক্রেতাদের অনুমান, ডিসেম্বর মাসে বাজারে আগাম পেঁয়াজ আসা শুরু হতে পারে। তখন দাম কমবে। এর আগ পর্যন্ত, বিশেষ করে নভেম্বর মাসে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকতে পারে।
রাজধানী ঢাকায় গত কয়েকদিন ধরেই শীতের আগাম বার্তা টের পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহও বাড়ছে। ফলে কমে গেছে অধিকাংশ সবজির দাম। একই সঙ্গে কমেছে ডিমের দামও।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে এখন শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মুলা, শালগম এবং নতুন বেগুন আসছে। আকার অনুযায়ী প্রতিটি ফুলকপি-বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকার মধ্যে। শুক্রবার নতুন আসা শিমের প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া সরবরাহ বাড়ায় নতুন বেগুনের দাম কমে ৬০-৭০ টাকায় নেমেছে। শালগম বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। মুলা প্রতি কেজির দাম এখন ৪০-৬০ টাকা। নতুন কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ -১০০ টাকা দরে।
বিক্রেতারা বলছেন, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়তে থাকায় পুরনো সবজিগুলোর দাম দ্রুত কমে আসছে। পেঁপের দাম কমে ২০-৩০ টাকায় নেমেছে। গ্রীষ্মের পটলের দাম নেমেছে ৪০-৬০ টাকায়, কোনো কোনো বাজারে এর চেয়েও কমে মিলছে। চালকুমড়া, লাউ একেকটি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ টাকার মধ্যে। পাশাপাশি করলা ৬০-৭০ টাকা আর ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।
বাজারে ডজনপ্রতি ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ব্রয়লার মুরগির ডিমের দাম। প্রতি ডজন ডিম মাসখানেক আগেও যেখানে ১৫০ টাকায় উঠেছিল, তা এখন ১৩০ থেকে পাড়া-মহল্লায় ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীর বাজারগুলোতে দেশি মুরগির দাম প্রতি কেজি ৬০০ টাকা আর সোনালি মুরগি ৩২০ টাকার ঘরে, অন্যদিকে ব্রয়লার মাত্র ১৭০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে। এমন অবস্থায় মধ্যবিত্ত থেকে নিম্ন আয়ের মানুষের প্রাণিজ প্রোটিনের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে এটি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশি মোরগ-মুরগির দাম প্রতি কেজি প্রায় ৫৫০-৬০০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজি দরে। আর সোনালি ক্রসের দাম ২৯০ টাকা। আর ব্রয়লার মুরগির বর্তমান বাজারদর কেজিপ্রতি ১৭০ টাকা যা অন্য যেকোনো মুরগির চেয়ে প্রায় অর্ধেক বা তারও কম।
অন্যদিকে প্রোটিনের আরেক উৎস মাছের দামও এখন আকাশছোঁয়া। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব ধরনের মাছের দামই প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। এর মধ্যে বড় রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকা, মাঝারি রুই ৩০০-৩২০ টাকা ও ছোট রুই ২৫০-২৮০ টাকা কেজি। কাতল মাছের দাম ৩৮০-৪৫০ টাকা, শিং মাছ ৫৫০ টাকা, মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২০০-২৫০ টাকা, পাঙাশ ১৮০-২৩০ টাকা এবং তেলাপিয়া ১৫০-২২০ টাকা, সিলভার কার্প মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৫০০-৭০০ টাকা, কালিবাউশ মাছ ৪৫০ টাকা, আইড় মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া, অন্য মাছের মধ্যে ছোট চিংড়ি ৩০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৪৫০ টাকা, মলা মাছ ৩০০ টাকা, পাবদা মাছ আকারভেদে ৩০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি আকারভেদে ৬৫০-৭৫০ টাকা কেজি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম কমছেই না। শুক্রবার,(১৪ নভেম্বর ২০২৫) পুরনো পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার বলছে, দাম না কমলে আমদানির অনুমতি দেয়া হবে। এছাড়া শীতের সবজির সরবরাহ বাড়তে থাকায় আগের তুলনায় সবজির দাম ধীরে ধীরে কমছে। বাজারে ডিমের দাম প্রতি ডজনে কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা। তবে মাছ এখনও স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
শুক্রবার পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১১০-১২০ টাকায়
ডিমের দাম প্রতি ডজনে কমেছে ১০-২০ টাকা
বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ
শুক্রবার বাজারে পুরনো পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগেও যা বিক্রি হতো ৭০-৮০ টাকায়। অন্যদিকে, বাজারে আসা চলতি মৌসুমের নতুন পেঁয়াজ কলির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল না হলে আমদানির অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে সরকারের। এরই মধ্যে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ২৮০০ প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, পেঁয়াজের দাম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আমদানির অনুমতি দিলেও সেটা সীমিত পরিসরে দেয়া হবে, যেন মৌসুমি পেঁয়াজ ওঠার পর আমদানির প্রভাব কৃষককে ক্ষতিগ্রস্ত না করে।
সাধারণত ডিসেম্বর মাসে বাজারে নতুন মৌসুমের আগাম পেঁয়াজ তথা মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসতে শুরু করে। এর আগে সরবরাহ কম থাকলে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বাজারে পেঁয়াজের দাম চড়া থাকে। গত বছরও এ সময় পেঁয়াজের দাম চড়া ছিল। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুসারে, গত বছর নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বাজারে এক কেজি পেঁয়াজ ১৩০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
চলতি বছরের আগস্ট মাসেও আরেক দফা পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল। তখন পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ২০-২৫ টাকা বেড়েছিল। তার আগে বাজারে এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৫৫-৬৫ টাকায়।
খুচরা বিক্রেতাদের অনুমান, ডিসেম্বর মাসে বাজারে আগাম পেঁয়াজ আসা শুরু হতে পারে। তখন দাম কমবে। এর আগ পর্যন্ত, বিশেষ করে নভেম্বর মাসে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকতে পারে।
রাজধানী ঢাকায় গত কয়েকদিন ধরেই শীতের আগাম বার্তা টের পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহও বাড়ছে। ফলে কমে গেছে অধিকাংশ সবজির দাম। একই সঙ্গে কমেছে ডিমের দামও।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে এখন শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মুলা, শালগম এবং নতুন বেগুন আসছে। আকার অনুযায়ী প্রতিটি ফুলকপি-বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকার মধ্যে। শুক্রবার নতুন আসা শিমের প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া সরবরাহ বাড়ায় নতুন বেগুনের দাম কমে ৬০-৭০ টাকায় নেমেছে। শালগম বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। মুলা প্রতি কেজির দাম এখন ৪০-৬০ টাকা। নতুন কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ -১০০ টাকা দরে।
বিক্রেতারা বলছেন, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়তে থাকায় পুরনো সবজিগুলোর দাম দ্রুত কমে আসছে। পেঁপের দাম কমে ২০-৩০ টাকায় নেমেছে। গ্রীষ্মের পটলের দাম নেমেছে ৪০-৬০ টাকায়, কোনো কোনো বাজারে এর চেয়েও কমে মিলছে। চালকুমড়া, লাউ একেকটি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ টাকার মধ্যে। পাশাপাশি করলা ৬০-৭০ টাকা আর ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।
বাজারে ডজনপ্রতি ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ব্রয়লার মুরগির ডিমের দাম। প্রতি ডজন ডিম মাসখানেক আগেও যেখানে ১৫০ টাকায় উঠেছিল, তা এখন ১৩০ থেকে পাড়া-মহল্লায় ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীর বাজারগুলোতে দেশি মুরগির দাম প্রতি কেজি ৬০০ টাকা আর সোনালি মুরগি ৩২০ টাকার ঘরে, অন্যদিকে ব্রয়লার মাত্র ১৭০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে। এমন অবস্থায় মধ্যবিত্ত থেকে নিম্ন আয়ের মানুষের প্রাণিজ প্রোটিনের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে এটি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশি মোরগ-মুরগির দাম প্রতি কেজি প্রায় ৫৫০-৬০০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজি দরে। আর সোনালি ক্রসের দাম ২৯০ টাকা। আর ব্রয়লার মুরগির বর্তমান বাজারদর কেজিপ্রতি ১৭০ টাকা যা অন্য যেকোনো মুরগির চেয়ে প্রায় অর্ধেক বা তারও কম।
অন্যদিকে প্রোটিনের আরেক উৎস মাছের দামও এখন আকাশছোঁয়া। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব ধরনের মাছের দামই প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। এর মধ্যে বড় রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকা, মাঝারি রুই ৩০০-৩২০ টাকা ও ছোট রুই ২৫০-২৮০ টাকা কেজি। কাতল মাছের দাম ৩৮০-৪৫০ টাকা, শিং মাছ ৫৫০ টাকা, মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২০০-২৫০ টাকা, পাঙাশ ১৮০-২৩০ টাকা এবং তেলাপিয়া ১৫০-২২০ টাকা, সিলভার কার্প মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৫০০-৭০০ টাকা, কালিবাউশ মাছ ৪৫০ টাকা, আইড় মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া, অন্য মাছের মধ্যে ছোট চিংড়ি ৩০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৪৫০ টাকা, মলা মাছ ৩০০ টাকা, পাবদা মাছ আকারভেদে ৩০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি আকারভেদে ৬৫০-৭৫০ টাকা কেজি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে।