বাংলাদেশের সোনালী ঐতিহ্য মসলিনকে বড় পরিসরে বাণিজ্যিক রূপ দিতে রূপগঞ্জের তারাবোতে ‘ঢাকাই মসলিন হাউস’ প্রতিষ্ঠা করবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। এছাড়াও আগামী ৪ ডিসেম্বর জাতীয় বস্ত্র দিবসে ৭ প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এ তথ্য জনান।
মন্ত্রী বলেন, সোনালী ঐতিহ্যে ফিরেছে ঢাকাই মসলিন, আবারও মাতাবে বিশ্ব। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড থেকে বাস্তবায়িত একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৭০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া সোনালী ঐতিহ্য ও বিশ্ববিখ্যাত ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধার করে গৌরব ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
বাংলাদেশের সোনালী ঐতিহ্য মসলিনকে বড় পরিসরে বাণিজ্যিক রূপদানের জন্য ‘ঢাকাই মসলিন হাউস’ প্রতিষ্ঠা করছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। ঢাকার অদুরে রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবতে জুটো-ফাইবার গাস ইন্ড্রাস্ট্রিজের জমিতে এ ‘ঢাকাই মসলিন হাউস’ স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ কার্যক্রমের সুবাদে ঢাকাই মসলিনের বাণিজিক উৎপাদনের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিপুল সংখ্যক লোকের বিশেষ করে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে বস্ত্রখাতের ভূমিকা অপরিসীম। অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে তৈরি পোষাকখাত। দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ অর্জিত হয় এ খাত থেকে। দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের একটি বড় অংশ আসে বস্ত্রখাত থেকে।
বস্ত্রখাতে দক্ষ জনবলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এ ধরনের আরও প্রতিষ্ঠান স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় বস্ত্র দিবসের জন্য নির্ধারিত দিনে অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ উদযাপন করবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী বস্ত্র শিল্পের টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারের জন্য বস্ত্র খাত সংশ্লিষ্ট সব উদ্যোগকে সমন্বিত করা এবং সংশ্লিষ্ট সব অংশীজন, উদ্যোক্তা, শ্রমিক, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থার বহুমুখী কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয়ের লক্ষ্যে ২০১৯ সাল থেকে এ দিবস পালন করা হচ্ছে।
‘বাংলাদেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে বস্ত্র খাতের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে তৈরি পোশাক খাত। দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ অর্জন হয় এ খাত হতে। দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের একটি বড় অংশ আসে বস্ত্র খাত থেকে।’
তিনি বলেন, ‘তৈরি পোশাকশিল্পের ক্রমউন্নয়ন বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজ জীবনে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধন করেছে। বর্তমানে বস্ত্র খাতে প্রায় ৫০ লক্ষ শ্রমজীবী কর্মরত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ শ্রমজীবী নারী এবং এসব কর্মকান্ড নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
‘বস্ত্র শিল্পের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের গতি বেগবান করা এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার লক্ষ্য সামনে রেখে আগামী ৪ ডিসেম্বর জাতীয় বস্ত্র দিবস দেশব্যাপী উদযাপন করা হবে।’
গোলাম দস্তগীর বলেন, ‘এবারের জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বস্ত্র খাতের বিশ্বায়ন: বাংলাদেশের উন্নয়ন’। এ উপলক্ষে ৪ ডিসেম্বর ওসমানী মিলনায়তনে বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
বৃহস্পতিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২১
বাংলাদেশের সোনালী ঐতিহ্য মসলিনকে বড় পরিসরে বাণিজ্যিক রূপ দিতে রূপগঞ্জের তারাবোতে ‘ঢাকাই মসলিন হাউস’ প্রতিষ্ঠা করবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। এছাড়াও আগামী ৪ ডিসেম্বর জাতীয় বস্ত্র দিবসে ৭ প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এ তথ্য জনান।
মন্ত্রী বলেন, সোনালী ঐতিহ্যে ফিরেছে ঢাকাই মসলিন, আবারও মাতাবে বিশ্ব। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড থেকে বাস্তবায়িত একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৭০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া সোনালী ঐতিহ্য ও বিশ্ববিখ্যাত ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধার করে গৌরব ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
বাংলাদেশের সোনালী ঐতিহ্য মসলিনকে বড় পরিসরে বাণিজ্যিক রূপদানের জন্য ‘ঢাকাই মসলিন হাউস’ প্রতিষ্ঠা করছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। ঢাকার অদুরে রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবতে জুটো-ফাইবার গাস ইন্ড্রাস্ট্রিজের জমিতে এ ‘ঢাকাই মসলিন হাউস’ স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ কার্যক্রমের সুবাদে ঢাকাই মসলিনের বাণিজিক উৎপাদনের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিপুল সংখ্যক লোকের বিশেষ করে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে বস্ত্রখাতের ভূমিকা অপরিসীম। অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে তৈরি পোষাকখাত। দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ অর্জিত হয় এ খাত থেকে। দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের একটি বড় অংশ আসে বস্ত্রখাত থেকে।
বস্ত্রখাতে দক্ষ জনবলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এ ধরনের আরও প্রতিষ্ঠান স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় বস্ত্র দিবসের জন্য নির্ধারিত দিনে অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ উদযাপন করবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী বস্ত্র শিল্পের টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারের জন্য বস্ত্র খাত সংশ্লিষ্ট সব উদ্যোগকে সমন্বিত করা এবং সংশ্লিষ্ট সব অংশীজন, উদ্যোক্তা, শ্রমিক, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থার বহুমুখী কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয়ের লক্ষ্যে ২০১৯ সাল থেকে এ দিবস পালন করা হচ্ছে।
‘বাংলাদেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে বস্ত্র খাতের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে তৈরি পোশাক খাত। দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ অর্জন হয় এ খাত হতে। দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের একটি বড় অংশ আসে বস্ত্র খাত থেকে।’
তিনি বলেন, ‘তৈরি পোশাকশিল্পের ক্রমউন্নয়ন বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজ জীবনে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধন করেছে। বর্তমানে বস্ত্র খাতে প্রায় ৫০ লক্ষ শ্রমজীবী কর্মরত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ শ্রমজীবী নারী এবং এসব কর্মকান্ড নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
‘বস্ত্র শিল্পের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের গতি বেগবান করা এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার লক্ষ্য সামনে রেখে আগামী ৪ ডিসেম্বর জাতীয় বস্ত্র দিবস দেশব্যাপী উদযাপন করা হবে।’
গোলাম দস্তগীর বলেন, ‘এবারের জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বস্ত্র খাতের বিশ্বায়ন: বাংলাদেশের উন্নয়ন’। এ উপলক্ষে ৪ ডিসেম্বর ওসমানী মিলনায়তনে বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।