সদ্য বিদায়ী বছরের শেষ ছয় মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৪৬ শতাংশ। পাশাপাশি ইউরোপ ও কানাডার বাজারে ২৪ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়াও নন-ট্রেডিশনাল মার্কেটে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছে ২৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) সারাবিশ্বে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৯৯০ কোটি ৭ লাখ ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৫৫৪ কোটি ৫৫ লাখ ৭ হাজার ডলার। সেই হিসাবে ছয় মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৮ শতাংশ।
জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪২৩ কোটি ১৬ লাখ ৫ হাজার ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৯০ কোটি ৮ হাজার ডলার। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছে ৪৫ দশমিক ৯১ শতাংশ।
ওভেন খাতে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ২৬৮ কোটি ২১ লাখ ৭ হাজার ডলারের পোশাক, যা আগের বছর ছিল ১৯১ কোটি ৬১ লাখ ৯ হাজার ডলার। অর্থাৎ ওভেন খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩০ দশমিক ৬৯ শতাংশ। নিটওয়্যার খাতে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রপ্তানি হয়েছে ১৫৪ কোটি ৬০ লাখ ৭ হাজার ডলারের পোশাক, যা আগের বছর ছিল ৯৮ কোটি ৩৮ লাখ ৯ হাজার ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ১ হাজার ২০০ কোটি ৭১ লাখ ১ হাজার ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৯৬৯ কোটি ৬৫ লাখ ২ ডলার। অর্থাৎ ৮৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
কানাডার বাজারে ছয় মাসে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৬০ কোটি ২৮ লাখ ২ হাজার ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪৮ কোটি ৭০ লাখ ২ হাজার ডলার। অর্থাৎ ২৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে।
২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসে নন-ট্রেডিং মার্কেটে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৩০৫ কোটি ৯১ লাখ ২ হাজার ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৪৬ কোটি ১৯ লাখ ৪ হাজার ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৪ দশমিক ২৬ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘ডাটা অনুযায়ী প্রধান বাজারগুলোতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ঘুরে দাঁড়ানোর চিত্র ফুটে উঠেছে। এটা হয়েছে করোনার সময়ে পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্তের ফলে। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি প্রায় ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউরোপ ও কানাডার বাজারে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ ও ২৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। স্পেন, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ফ্রান্সসহ ইউরোপের প্রায় সব দেশে রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।’
এ সময়ে অপ্রচলিত বাজারেও রপ্তানি বেড়েছে ২৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথমার্ধে পোশাকের মোট রপ্তানি ২৮ শতাংশ বেড়ে ১৯ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের পোশাক খাতে। ফলে অক্টোবর ও নভেম্বরের তুলনায় গেল বছরের ডিসেম্বরে রপ্তানি অর্ডার কমেছে। ২০ ডিসেম্বর থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত নতুন করে খুব বেশি অর্ডারও আসেনি। শুধু তাই নয়, অর্ডার দেয়া পণ্য নিতে বিলম্ব করছেন ইউরোপ-আমেরিকার বায়াররা। ফলে দুশ্চিন্তায় পোশাক মালিকরা। কারণ যত বিলম্ব হবে, ততই নির্ধারিত সময়ে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন না তারা।
ইপিবির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের আগস্টে ১১ দশমিক ৫৬, সেপ্টেম্বরে ৪১ দশমিক ৬৬, অক্টোবরে ৫৩ দশমিক ২৮, নভেম্বরে ৩২ দশমিক ৩৪ ও ডিসেম্বরে ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়। বর্তমানে চার বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি করছে। মালিকদের টার্গেট আট বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করার।
পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানসহ ইউরোপে ওমিক্রন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। অনেক স্থানে পোশাক বিক্রির দোকান ও আউটলেট বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে বায়াররা করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তারা পোশাক পণ্য গ্রহণে ‘ধীর’ নীতি অবলম্বন করেছেন।
ইপিবির পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের আগস্টে ১১ দশমিক ৫৬, সেপ্টেম্বরে ৪১ দশমিক ৬৬, অক্টোবরে ৫৩ দশমিক ২৮, নভেম্বরে ৩২ দশমিক ৩৪ ও ডিসেম্বরে ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়। বর্তমানে চার বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি করছে। মালিকদের টার্গেট আট বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করার।
শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২
সদ্য বিদায়ী বছরের শেষ ছয় মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৪৬ শতাংশ। পাশাপাশি ইউরোপ ও কানাডার বাজারে ২৪ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়াও নন-ট্রেডিশনাল মার্কেটে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছে ২৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) সারাবিশ্বে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৯৯০ কোটি ৭ লাখ ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৫৫৪ কোটি ৫৫ লাখ ৭ হাজার ডলার। সেই হিসাবে ছয় মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৮ শতাংশ।
জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪২৩ কোটি ১৬ লাখ ৫ হাজার ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৯০ কোটি ৮ হাজার ডলার। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছে ৪৫ দশমিক ৯১ শতাংশ।
ওভেন খাতে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ২৬৮ কোটি ২১ লাখ ৭ হাজার ডলারের পোশাক, যা আগের বছর ছিল ১৯১ কোটি ৬১ লাখ ৯ হাজার ডলার। অর্থাৎ ওভেন খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩০ দশমিক ৬৯ শতাংশ। নিটওয়্যার খাতে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রপ্তানি হয়েছে ১৫৪ কোটি ৬০ লাখ ৭ হাজার ডলারের পোশাক, যা আগের বছর ছিল ৯৮ কোটি ৩৮ লাখ ৯ হাজার ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ১ হাজার ২০০ কোটি ৭১ লাখ ১ হাজার ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৯৬৯ কোটি ৬৫ লাখ ২ ডলার। অর্থাৎ ৮৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
কানাডার বাজারে ছয় মাসে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৬০ কোটি ২৮ লাখ ২ হাজার ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪৮ কোটি ৭০ লাখ ২ হাজার ডলার। অর্থাৎ ২৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে।
২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসে নন-ট্রেডিং মার্কেটে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৩০৫ কোটি ৯১ লাখ ২ হাজার ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৪৬ কোটি ১৯ লাখ ৪ হাজার ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৪ দশমিক ২৬ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘ডাটা অনুযায়ী প্রধান বাজারগুলোতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ঘুরে দাঁড়ানোর চিত্র ফুটে উঠেছে। এটা হয়েছে করোনার সময়ে পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্তের ফলে। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি প্রায় ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউরোপ ও কানাডার বাজারে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ ও ২৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। স্পেন, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ফ্রান্সসহ ইউরোপের প্রায় সব দেশে রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।’
এ সময়ে অপ্রচলিত বাজারেও রপ্তানি বেড়েছে ২৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথমার্ধে পোশাকের মোট রপ্তানি ২৮ শতাংশ বেড়ে ১৯ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের পোশাক খাতে। ফলে অক্টোবর ও নভেম্বরের তুলনায় গেল বছরের ডিসেম্বরে রপ্তানি অর্ডার কমেছে। ২০ ডিসেম্বর থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত নতুন করে খুব বেশি অর্ডারও আসেনি। শুধু তাই নয়, অর্ডার দেয়া পণ্য নিতে বিলম্ব করছেন ইউরোপ-আমেরিকার বায়াররা। ফলে দুশ্চিন্তায় পোশাক মালিকরা। কারণ যত বিলম্ব হবে, ততই নির্ধারিত সময়ে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন না তারা।
ইপিবির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের আগস্টে ১১ দশমিক ৫৬, সেপ্টেম্বরে ৪১ দশমিক ৬৬, অক্টোবরে ৫৩ দশমিক ২৮, নভেম্বরে ৩২ দশমিক ৩৪ ও ডিসেম্বরে ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়। বর্তমানে চার বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি করছে। মালিকদের টার্গেট আট বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করার।
পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানসহ ইউরোপে ওমিক্রন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। অনেক স্থানে পোশাক বিক্রির দোকান ও আউটলেট বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে বায়াররা করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তারা পোশাক পণ্য গ্রহণে ‘ধীর’ নীতি অবলম্বন করেছেন।
ইপিবির পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের আগস্টে ১১ দশমিক ৫৬, সেপ্টেম্বরে ৪১ দশমিক ৬৬, অক্টোবরে ৫৩ দশমিক ২৮, নভেম্বরে ৩২ দশমিক ৩৪ ও ডিসেম্বরে ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়। বর্তমানে চার বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি করছে। মালিকদের টার্গেট আট বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করার।