একক হাইকোর্ট বেঞ্চের আদেশ
আদালতের মাধ্যমে গঠিত যেকোন ভালো প্রতিষ্ঠান দিয়ে ইভ্যালির সম্পত্তি অডিট করানো যাবে বলে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।
তিনি বলেন, ‘ইভ্যালির সম্পত্তি অডিট করতো কেপিএনজি নামে একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠান অডিট করতে খরচ ধরেছে ৮৬ লাখ টাকা। এর থেকে কমে তারা অডিট করতে পারবে না বলে বোর্ডকে জানায়। এ বিষয়ে বোর্ড থেকে একটি আবেদন করা হলে আদালত শুনানি শেষে আদেশ দিয়েছে।’
আদেশে আদালত বলেছে, ‘কোর্ট কর্তৃক নির্ধারিত বোর্ড যেকোন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান দিয়ে অডিট করাতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও ইভ্যালির মামলায় অন্তর্ভুক্তির জন্য একজন গ্রাহক আবেদন করেন। আদালত তার আবেদনটি নথিভুক্ত করে রেখে দেন। গত বছরের ১৮ অক্টোবর হাইকোর্ট এক আদেশে বলেন, যারা যারা ইভ্যালির কাছে টাকা বা পণ্য পান তারা কোর্ট দ্বারা নির্ধারিত বোর্ডের কাছে আবেদন দিয়ে বোর্ডকে ছয় মাস সময় দিতে হবে। ছয় মাসের মধ্যে তারা যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবে।’
এদিকে, গত ১৬ জানুয়ারি ইভ্যালি অবসায়নে গঠিত বোর্ড তাদের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দেশের দুটি ব্যাংক থেকে দুই কোটি ৩৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা উত্তোলনের অনুমতি দেয় আদালত।
একইসঙ্গে ইভ্যালির ২২টি গাড়ি ভাড়া দিয়ে বা বিক্রি করে অর্থ আদায় করার সুযোগ দেয়া হয় বোর্ডকে। পাশাপাশি ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান ও এমডি কোথায়, কিভাবে কত টাকা ব্যয় করেছেন তারও একটি তালিকা প্রনয়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য গত বছরের ১৮ অক্টোবর আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেয় হাইকোর্ট।
বিচারপতি মানিক ছাড়াও বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
আদেশে বোর্ডের কাজ কী সেটিও বলে দেয়া হয়। কোম্পানির কোথায় কী আছে, সবকিছু বুঝে নেবে বোর্ড। কোম্পানি যেভাবে চলে, সেভাবে প্রথমে বোর্ড মিটিং বসবে। এরপর সবকিছু করার পর বোর্ড যদি দেখে কোম্পানিটির চলার যোগ্যতা নেই, তখন অবসায়নের জন্য প্রসিড (প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া) করবে। আর যদি চালানো সম্ভব, তাহলে কোম্পানিটি চলবে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালি অবসায়ন চেয়ে আবেদন করা হয়। সেখানে একটি আবেদন ছিল ইভ্যালি অবসায়নে যাতে একটি কমিটি বা বোর্ড গঠন করে দেয়। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ১৮ অক্টোবর আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
একক হাইকোর্ট বেঞ্চের আদেশ
মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২
আদালতের মাধ্যমে গঠিত যেকোন ভালো প্রতিষ্ঠান দিয়ে ইভ্যালির সম্পত্তি অডিট করানো যাবে বলে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।
তিনি বলেন, ‘ইভ্যালির সম্পত্তি অডিট করতো কেপিএনজি নামে একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠান অডিট করতে খরচ ধরেছে ৮৬ লাখ টাকা। এর থেকে কমে তারা অডিট করতে পারবে না বলে বোর্ডকে জানায়। এ বিষয়ে বোর্ড থেকে একটি আবেদন করা হলে আদালত শুনানি শেষে আদেশ দিয়েছে।’
আদেশে আদালত বলেছে, ‘কোর্ট কর্তৃক নির্ধারিত বোর্ড যেকোন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান দিয়ে অডিট করাতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও ইভ্যালির মামলায় অন্তর্ভুক্তির জন্য একজন গ্রাহক আবেদন করেন। আদালত তার আবেদনটি নথিভুক্ত করে রেখে দেন। গত বছরের ১৮ অক্টোবর হাইকোর্ট এক আদেশে বলেন, যারা যারা ইভ্যালির কাছে টাকা বা পণ্য পান তারা কোর্ট দ্বারা নির্ধারিত বোর্ডের কাছে আবেদন দিয়ে বোর্ডকে ছয় মাস সময় দিতে হবে। ছয় মাসের মধ্যে তারা যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবে।’
এদিকে, গত ১৬ জানুয়ারি ইভ্যালি অবসায়নে গঠিত বোর্ড তাদের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দেশের দুটি ব্যাংক থেকে দুই কোটি ৩৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা উত্তোলনের অনুমতি দেয় আদালত।
একইসঙ্গে ইভ্যালির ২২টি গাড়ি ভাড়া দিয়ে বা বিক্রি করে অর্থ আদায় করার সুযোগ দেয়া হয় বোর্ডকে। পাশাপাশি ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান ও এমডি কোথায়, কিভাবে কত টাকা ব্যয় করেছেন তারও একটি তালিকা প্রনয়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য গত বছরের ১৮ অক্টোবর আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেয় হাইকোর্ট।
বিচারপতি মানিক ছাড়াও বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
আদেশে বোর্ডের কাজ কী সেটিও বলে দেয়া হয়। কোম্পানির কোথায় কী আছে, সবকিছু বুঝে নেবে বোর্ড। কোম্পানি যেভাবে চলে, সেভাবে প্রথমে বোর্ড মিটিং বসবে। এরপর সবকিছু করার পর বোর্ড যদি দেখে কোম্পানিটির চলার যোগ্যতা নেই, তখন অবসায়নের জন্য প্রসিড (প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া) করবে। আর যদি চালানো সম্ভব, তাহলে কোম্পানিটি চলবে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালি অবসায়ন চেয়ে আবেদন করা হয়। সেখানে একটি আবেদন ছিল ইভ্যালি অবসায়নে যাতে একটি কমিটি বা বোর্ড গঠন করে দেয়। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ১৮ অক্টোবর আদেশ দেয় হাইকোর্ট।