শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে (সিএমএসএফ) অবণ্টিত বোনাস শেয়ার প্রদানে অনিহা দেখাচ্ছে কোম্পানিগুলো। এই পর্যন্ত ৬০৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশের মধ্যে সিএমএসএফে ৪৬০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বা ৭৬ শতাংশ জমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু ৮ হাজার ১০৭ কোটি ৬ লাখ টাকার বোনাস শেয়ারের মধ্যে মাত্র জমা দিয়েছে ৩৩৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকার বা ৪ শতাংশ। তবে এসব শেয়ার ও নগদ সংগ্রহে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কঠোর অবস্থানের দিকে যাচ্ছে।
জানা গেছে বর্তমানে শেয়ারবাজারে ১৭২ কোম্পানিতে ১৪৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার নগদ অবণ্টিত লভ্যাংশ পড়ে রয়েছে। এছাড়া ২২৬ কোম্পানিতে ৭ হাজার ৭৬৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা মূল্যের ১৯০ কোটি ২২ লাখ বোনাস শেয়ার রয়েছে। অর্থাৎ নগদ ও বোনাসসহ এখনো ৭ হাজার ৯১৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকার অবণ্টিত লভ্যাংশ কোম্পানিগুলোর কাছে রয়েছে।
সবচেয়ে বেশি অবণ্টিত বোনাস শেয়ার পড়ে রয়েছে ব্যাংকগুলোর কাছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৩টি (নতুনগুলোসহ) ব্যাংকের মধ্যে ২৭টি থেকেই শেয়ার সিএমএসএফে দেয়া হয়নি। এই খাতে ১২৮ কোটি ৪৬ লাখ ৬৮ হাজার ২৫৮টি বা ৭১.৫৫ শতাংশ অবণ্টিত বোনাস শেয়ার রয়েছে। এরপরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ কোটি ৭৬ লাখ ২৮ হাজার ১৮৫টি বা ১০.৪৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে আর্থিক খাতের ১১ কোম্পানির কাছে। আর পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিংয়ের ২ কোম্পানির কাছে রয়েছে ১০ কোটি ৭১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮২টি বা ৫.৯৭ শতাংশ অবণ্টিত বোনাস শেয়ার।
এই অবণ্টিত বোনাস শেয়ার ও নগদ লভ্যাংশ আদায়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে কমিশন। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) এক অনুষ্ঠানে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘শুরুতে ২২ হাজার কোটি টাকার অবণ্টিত লভ্যাংশের তথ্য পাওয়া গেলেও এখন সেটা ৭০০-৮০০ কোটিতে নেমে এসেছে। এই অল্প সময়ের ব্যবধানে এত টাকা কোথায় গেল? এই বিষয়টি অনুসন্ধানে আমরা অডিট শুরু করব। শেয়ারবাজারে আসার পর থেকে এ পর্যন্ত কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশের বিষয়ে অডিট করা হবে। কোম্পানিগুলো যখনই অবণ্টিত লভ্যাংশ স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে প্রেরণের জন্য সময় চেয়েছে, তখনই দেয়া হয়েছে। এভাবে বারবার সময় নিচ্ছে। কিন্তু এখনো জমা দেয়নি। কিন্তু অডিট শুরু করার পরে সময় দেয়া হবে না।’
এজন্য আগামী ৩১ মে’র মধ্যে সবাইকে অবণ্টিত লভ্যাংশ দেয়ার অনুরোধ করেছেন। অন্যথায় ৩১ মে’র পরে কমিশন যদি কোন পদক্ষেপ নেয়, তখন কাউকে কিছু মনে না করারও অনুরোধ করেছেন তিনি।
শনিবার, ২৮ মে ২০২২
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে (সিএমএসএফ) অবণ্টিত বোনাস শেয়ার প্রদানে অনিহা দেখাচ্ছে কোম্পানিগুলো। এই পর্যন্ত ৬০৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশের মধ্যে সিএমএসএফে ৪৬০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বা ৭৬ শতাংশ জমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু ৮ হাজার ১০৭ কোটি ৬ লাখ টাকার বোনাস শেয়ারের মধ্যে মাত্র জমা দিয়েছে ৩৩৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকার বা ৪ শতাংশ। তবে এসব শেয়ার ও নগদ সংগ্রহে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কঠোর অবস্থানের দিকে যাচ্ছে।
জানা গেছে বর্তমানে শেয়ারবাজারে ১৭২ কোম্পানিতে ১৪৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার নগদ অবণ্টিত লভ্যাংশ পড়ে রয়েছে। এছাড়া ২২৬ কোম্পানিতে ৭ হাজার ৭৬৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা মূল্যের ১৯০ কোটি ২২ লাখ বোনাস শেয়ার রয়েছে। অর্থাৎ নগদ ও বোনাসসহ এখনো ৭ হাজার ৯১৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকার অবণ্টিত লভ্যাংশ কোম্পানিগুলোর কাছে রয়েছে।
সবচেয়ে বেশি অবণ্টিত বোনাস শেয়ার পড়ে রয়েছে ব্যাংকগুলোর কাছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৩টি (নতুনগুলোসহ) ব্যাংকের মধ্যে ২৭টি থেকেই শেয়ার সিএমএসএফে দেয়া হয়নি। এই খাতে ১২৮ কোটি ৪৬ লাখ ৬৮ হাজার ২৫৮টি বা ৭১.৫৫ শতাংশ অবণ্টিত বোনাস শেয়ার রয়েছে। এরপরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ কোটি ৭৬ লাখ ২৮ হাজার ১৮৫টি বা ১০.৪৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে আর্থিক খাতের ১১ কোম্পানির কাছে। আর পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিংয়ের ২ কোম্পানির কাছে রয়েছে ১০ কোটি ৭১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮২টি বা ৫.৯৭ শতাংশ অবণ্টিত বোনাস শেয়ার।
এই অবণ্টিত বোনাস শেয়ার ও নগদ লভ্যাংশ আদায়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে কমিশন। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) এক অনুষ্ঠানে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘শুরুতে ২২ হাজার কোটি টাকার অবণ্টিত লভ্যাংশের তথ্য পাওয়া গেলেও এখন সেটা ৭০০-৮০০ কোটিতে নেমে এসেছে। এই অল্প সময়ের ব্যবধানে এত টাকা কোথায় গেল? এই বিষয়টি অনুসন্ধানে আমরা অডিট শুরু করব। শেয়ারবাজারে আসার পর থেকে এ পর্যন্ত কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশের বিষয়ে অডিট করা হবে। কোম্পানিগুলো যখনই অবণ্টিত লভ্যাংশ স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে প্রেরণের জন্য সময় চেয়েছে, তখনই দেয়া হয়েছে। এভাবে বারবার সময় নিচ্ছে। কিন্তু এখনো জমা দেয়নি। কিন্তু অডিট শুরু করার পরে সময় দেয়া হবে না।’
এজন্য আগামী ৩১ মে’র মধ্যে সবাইকে অবণ্টিত লভ্যাংশ দেয়ার অনুরোধ করেছেন। অন্যথায় ৩১ মে’র পরে কমিশন যদি কোন পদক্ষেপ নেয়, তখন কাউকে কিছু মনে না করারও অনুরোধ করেছেন তিনি।