ব্র্যাক ব্যাংকের আইনজীবী তুহিন জানান, ঋণ আদায়ের জন্য চেক ডিজঅনারের অভিযোগ তুলে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক কারো বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে না। এ সংক্রান্ত সব মামলার কার্যক্রম এবং সাজা স্থগিত করেছে আদালত।
কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এখন থেকে ঋণ আদায়ের জন্য কারো বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার (প্রত্যাখ্যান) মামলা করতে পারবে না বলে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত মামলার আপিল শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেয়। আইনজীবী তুহিন গনমাধ্যমকে জানান, ঋণ আদায়ের জন্য চেক ডিজঅনারের অভিযোগ তুলে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক কারো বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে না। এ সংক্রান্ত সব মামলার কার্যক্রম এবং সাজা স্থগিত করেছে আদালত।
ব্র্যাক ব্যাংকের এক মামলায় মো. আলী নামে এক ব্যক্তির ছয় মাসের কারাদন্ড এবং ২ লাখ ৯৫ হাজার ৯০৪ টাকা অর্থদন্ড হয়। এ সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আলী। তার সেই আপিলের শুনানি শেষে বিচারিক আদালতের সাজা স্থগিত করে ওই রায় দেয় উচ্চ আদালত। আদালতের রায়ে বলা হয়, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ একটি চুক্তির মাধ্যমে নেয়া হয়ে থাকে। ব্যাংকের কিছু দুর্নীতিবাজ, অসাধু কর্মকর্তা নিজেদের স্বার্থে, তাদের গুপ্ত এজেন্ডা বাস্তবায়নে চেকের অপব্যবহার করে এসব মামলা করে থাকে। তাদের ব্যবহার দাদন ব্যবসায়ীদের মতো। আদালত আরও বলে, ঋণের বিপরীতে ব্ল্যাংক চেক নেয়াটাই বেআইনি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে এ বেআইনি কাজ করে আসছে। ঋণ আদায়ের জন্য শুধু ২০০৩ সালের অর্থঋণ আইনে বর্ণিত উপায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করা যাবে। বর্তমানে আদালতে চলমান ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করা সব চেক ডিজঅনার মামলার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। আদালতে মো. আলীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আব্দুল্লাহ আল বাকী। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আরিফুজ্জামান তুহিন।
বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২
ব্র্যাক ব্যাংকের আইনজীবী তুহিন জানান, ঋণ আদায়ের জন্য চেক ডিজঅনারের অভিযোগ তুলে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক কারো বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে না। এ সংক্রান্ত সব মামলার কার্যক্রম এবং সাজা স্থগিত করেছে আদালত।
কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এখন থেকে ঋণ আদায়ের জন্য কারো বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার (প্রত্যাখ্যান) মামলা করতে পারবে না বলে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত মামলার আপিল শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেয়। আইনজীবী তুহিন গনমাধ্যমকে জানান, ঋণ আদায়ের জন্য চেক ডিজঅনারের অভিযোগ তুলে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক কারো বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে না। এ সংক্রান্ত সব মামলার কার্যক্রম এবং সাজা স্থগিত করেছে আদালত।
ব্র্যাক ব্যাংকের এক মামলায় মো. আলী নামে এক ব্যক্তির ছয় মাসের কারাদন্ড এবং ২ লাখ ৯৫ হাজার ৯০৪ টাকা অর্থদন্ড হয়। এ সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আলী। তার সেই আপিলের শুনানি শেষে বিচারিক আদালতের সাজা স্থগিত করে ওই রায় দেয় উচ্চ আদালত। আদালতের রায়ে বলা হয়, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ একটি চুক্তির মাধ্যমে নেয়া হয়ে থাকে। ব্যাংকের কিছু দুর্নীতিবাজ, অসাধু কর্মকর্তা নিজেদের স্বার্থে, তাদের গুপ্ত এজেন্ডা বাস্তবায়নে চেকের অপব্যবহার করে এসব মামলা করে থাকে। তাদের ব্যবহার দাদন ব্যবসায়ীদের মতো। আদালত আরও বলে, ঋণের বিপরীতে ব্ল্যাংক চেক নেয়াটাই বেআইনি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে এ বেআইনি কাজ করে আসছে। ঋণ আদায়ের জন্য শুধু ২০০৩ সালের অর্থঋণ আইনে বর্ণিত উপায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করা যাবে। বর্তমানে আদালতে চলমান ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করা সব চেক ডিজঅনার মামলার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। আদালতে মো. আলীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আব্দুল্লাহ আল বাকী। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আরিফুজ্জামান তুহিন।