কর অব্যাহতি দেয়ার কারণে দেশ কী পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে, সেই বিষয়ে জরিপ করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শেই এই উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী আইএমএফ আগে থেকেই বলে আসছে যে বাংলাদেশে কর অব্যাহতি বেশি। এ সুবিধা কমিয়ে আনতে সরকারকে বারবার তাগাদা দিয়ে আসছে ওয়াশিংটনভিত্তিক ঋণদাতা সংস্থাটি।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, আইএমএফ থেকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে কর অব্যাহতি কমানো। নভেম্বর মাসে আইএমএফ মিশন বাংলাদেশ সফরে আসার পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকে বিভিন্ন খাতে দেয়া কর অব্যাহতি সুবিধা কমাতে বলেছে। সরকার এখন সে পথেই হাঁটছে।
সূত্র জানায়, আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে কর অব্যাহতির বিষয়ে জনগণকে একটি ধারণা দেয়া হবে সংসদে উপস্থাপিত বাজেটের মাধ্যমে। এতে এই সুবিধা দেয়ার কারণে বছরে কী পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে, কোন কোন খাতে সুবিধা দেয়া হয়েছে এবং সুবিধা দেয়ায় দেশের আর্থ-সামাজিক সুফল কতটুকু পাওয়া গেছে- এসব বিষয় তুলে ধরা হবে। তার আগে কর অব্যাহতির বিষয়ে ব্যাপকভিত্তিক সমীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর।
আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও আমদানি শুল্ক-এই তিন খাতে সুবিধা দেয়ার কারণে যে পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে, তা তুলে ধরা হবে সমীক্ষায়।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশে কর-জিডিপি অনুপাত এখন ৮ শতাংশ। যদি আয়কর বা প্রত্যক্ষ কর ধরা হয়, তাহলে আরও কম। মাত্র আড়াই শতাংশ। প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান ও নেপালে এই অনুপাত ১৫ শতাংশের ওপরে। বর্তমানে বাংলাদেশে চলতি মূল্যে জিডিপির আকার প্রায় ৪০ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে কৃষি, রপ্তানি, শিল্প, সামরিক, রেমিট্যান্সসহ বিভিন্ন খাত কর হ্রাস, কর হার কম, কর অবকাশ, কর রেয়াতসহ নানা নামে সুবিধা ভোগ করছে। এসব সুবিধা দেয়ার পর যে পরিমাণ রাজস্ব আহরণ হয় তা খুবই কম।
সবশেষ গত অর্থবছরে এনবিআরের মাধ্যমে সংগৃহীত রাজস্বের পরিমাণ ২ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর সূত্র বলেছে, আয়কর, ভ্যাট ও আমদানি শুল্কে অব্যাহতি সুবিধা আছে। এর মধ্যে বেশি সুবিধা ভ্যাটে। কৃষি, কৃষিজাত শিল্প রপ্তানির প্রায় পুরোটাই ভ্যাটের বাইরে।
পোশাক খাত সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছে। পোশাক আমদানিকারকরা বিদেশ থেকে যেসব কাঁচামাল আনেন তাতে কোন শুল্ক লাগে না। এজন্য বন্ড লাইসেন্স দেয়া হয়। তবে শর্ত হচ্ছে, শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আনার পর তা দিয়ে পোশাকপণ্য তৈরি করে রপ্তানি করতে হবে। কিন্তু অনেক পোশাক কারখানার মালিক বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়ে রাতারাতি সম্পদশালী বনে গেছেন বলে অভিযোগ আছে।
শুক্রবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২২
কর অব্যাহতি দেয়ার কারণে দেশ কী পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে, সেই বিষয়ে জরিপ করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শেই এই উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী আইএমএফ আগে থেকেই বলে আসছে যে বাংলাদেশে কর অব্যাহতি বেশি। এ সুবিধা কমিয়ে আনতে সরকারকে বারবার তাগাদা দিয়ে আসছে ওয়াশিংটনভিত্তিক ঋণদাতা সংস্থাটি।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, আইএমএফ থেকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে কর অব্যাহতি কমানো। নভেম্বর মাসে আইএমএফ মিশন বাংলাদেশ সফরে আসার পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকে বিভিন্ন খাতে দেয়া কর অব্যাহতি সুবিধা কমাতে বলেছে। সরকার এখন সে পথেই হাঁটছে।
সূত্র জানায়, আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে কর অব্যাহতির বিষয়ে জনগণকে একটি ধারণা দেয়া হবে সংসদে উপস্থাপিত বাজেটের মাধ্যমে। এতে এই সুবিধা দেয়ার কারণে বছরে কী পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে, কোন কোন খাতে সুবিধা দেয়া হয়েছে এবং সুবিধা দেয়ায় দেশের আর্থ-সামাজিক সুফল কতটুকু পাওয়া গেছে- এসব বিষয় তুলে ধরা হবে। তার আগে কর অব্যাহতির বিষয়ে ব্যাপকভিত্তিক সমীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর।
আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও আমদানি শুল্ক-এই তিন খাতে সুবিধা দেয়ার কারণে যে পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে, তা তুলে ধরা হবে সমীক্ষায়।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশে কর-জিডিপি অনুপাত এখন ৮ শতাংশ। যদি আয়কর বা প্রত্যক্ষ কর ধরা হয়, তাহলে আরও কম। মাত্র আড়াই শতাংশ। প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান ও নেপালে এই অনুপাত ১৫ শতাংশের ওপরে। বর্তমানে বাংলাদেশে চলতি মূল্যে জিডিপির আকার প্রায় ৪০ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে কৃষি, রপ্তানি, শিল্প, সামরিক, রেমিট্যান্সসহ বিভিন্ন খাত কর হ্রাস, কর হার কম, কর অবকাশ, কর রেয়াতসহ নানা নামে সুবিধা ভোগ করছে। এসব সুবিধা দেয়ার পর যে পরিমাণ রাজস্ব আহরণ হয় তা খুবই কম।
সবশেষ গত অর্থবছরে এনবিআরের মাধ্যমে সংগৃহীত রাজস্বের পরিমাণ ২ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর সূত্র বলেছে, আয়কর, ভ্যাট ও আমদানি শুল্কে অব্যাহতি সুবিধা আছে। এর মধ্যে বেশি সুবিধা ভ্যাটে। কৃষি, কৃষিজাত শিল্প রপ্তানির প্রায় পুরোটাই ভ্যাটের বাইরে।
পোশাক খাত সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছে। পোশাক আমদানিকারকরা বিদেশ থেকে যেসব কাঁচামাল আনেন তাতে কোন শুল্ক লাগে না। এজন্য বন্ড লাইসেন্স দেয়া হয়। তবে শর্ত হচ্ছে, শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আনার পর তা দিয়ে পোশাকপণ্য তৈরি করে রপ্তানি করতে হবে। কিন্তু অনেক পোশাক কারখানার মালিক বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়ে রাতারাতি সম্পদশালী বনে গেছেন বলে অভিযোগ আছে।