alt

অর্থ-বাণিজ্য

চীন থেকে পোশাক কারখানা সরছে ভিয়েতনাম-কম্বোডিয়ায়

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : শুক্রবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২২

করোনার কারণে উৎপাদন ব্যহত হওয়ায় এবার জাপানের উদ্যোক্তারা চীন থেকে তাদের পোশাক কারখানাগুলো সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে। ইতোমধ্যেই কয়েকটি কারখানা সরিয়ে নেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান শ্রম ব্যয়ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সিদ্ধান্ত নিতে প্ররোচিত করছে। এক্ষেত্রে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় উৎপাদন স্থানান্তরিত করছে সংস্থাগুলো। নিক্কেই এশিয়া।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ডলারের বিপরীতে ইয়েনের বিনিময় হারে পতন, জিরো কভিড নীতি এবং ক্রমবর্ধমান কাঁচামাল ও শ্রম ব্যয় চীনে উৎপাদন কার্যক্রমকে অনেক ব্যয়বহুল করে তুলছে। এমন পরিস্থিতি জাপানি পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চীনে উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রাখা নিয়ে ভাবতে বাধ্য করছে। গত জানুয়ারিতে এশিয়া-প্যাসিফিক বাণিজ্য চুক্তি রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) স্বাক্ষর হয়েছিল। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় উৎপাদন কার্যক্রম বাড়াতে জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করছে।

অ্যাডাস্ট্রিয়া, আয়োইয়ামা ট্রেডিং ও ইউনিক্লোর মতো প্রধান জাপানি পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান টেক্সটাইল আমদানি শুল্ক হ্রাস বা ছাড়ের সুবিধা নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরসিইপি সদস্য দেশগুলোয় উৎপাদন কার্যক্রম স্থানান্তরিত করছে। গ্লোবাল ওয়ার্কসহ জনপ্রিয় ফ্যাশন ব্র্যান্ডের মালিক অ্যাডাস্ট্রিয়া চলতি বছর কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামে উৎপাদন বাড়িয়েছে। পরিমাণের হিসাবে গত আগস্টে সংস্থাটির মোট পোশাক উৎপাদনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অংশ ২২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ হার এক বছর আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

প্রতিষ্ঠানটি ইন্দোনেশিয়া ও অন্য দেশগুলোয় উৎপাদন কার্যক্রম সম্প্রসারণেরও পরিকল্পনা করছে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি নাগাদ সংস্থাটি মোট উৎপাদনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অংশ ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে চায়। জাপানে আমদানি করা প্রতিষ্ঠানটির পোশাকের মধ্যে চীনে উৎপাদন হওয়ার পরিমাণ গত বছর ৫৯ শতাংশে নেমেছে। এক দশক আগে যা ৮১ শতাংশে ছিল।

ইতোধ্যেই জাপানে পুরুষদের পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আয়োইয়ামা ট্রেডিং ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনাম থেকে পণ্য সংগ্রহ বাড়াতে শুরু করেছে। ২০২১ অর্থবছরে সংস্থাটির চীন থেকে আমদানি করা পোশাকের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশে। এ হার আগের অর্থবছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম।

ইউনিক্লোর সাবসিডিয়ারি ফাস্ট রিটেইলিংয়ে চুক্তিভিত্তিক পণ্য সরবরাহ করে মাতসুওকা করপোরেশন। ২০২২ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে সংস্থাটির সরবরাহ করা পোশাকের ৫০ শতাংশ উৎপাদন হয়েছিল চীনে। তবে ২০২৫ সালের মধ্যে সংস্থাটি এ হার ২৯ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ সময়ে সংস্থাটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় উৎপাদন বাড়িয়ে তুলতে চায়। এ লক্ষ্যে সংস্থাটি চলতি অর্থবছর উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে ৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করছে।

পোশাক শিল্পের অনেক প্রক্রিয়া এখনো মানুষের হাতের ওপর নির্ভরশীল। কারণ সেলাইয়ের কাজ স্বয়ংক্রিয় করা কঠিন হতে পারে। এ অবস্থায় কাঁচামাল ছাড়াও ক্রমবর্ধমান শ্রম ব্যয় উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে তুলছে। আশির দশক থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো সস্তা শ্রমের সন্ধানে জাপান থেকে চীনে উৎপাদন স্থানান্তর শুরু করে। কিন্তু ২০১০ সালের দিকে চীনে শ্রম ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সংস্থাগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় উৎপাদন প্রসারিত করতে মনোযোগ বাড়ায়।

জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের মতে, চীনের গুয়াংজুতে একজন কারখানা শ্রমিকের গড় মাসিক বেতন প্রায় ৬৭০ ডলারে পৌঁছেছে। যেখানে ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটিতে বেতনের পরিমাণ প্রায় ২৭০ ডলার।

কেবল পোশাক শিল্পই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় উৎপাদন কার্যক্রম বিস্তৃত করছে তা কিন্তু নয়। আসবাবপত্র ও গৃহস্থালি জিনিসপত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোও এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে। জাপানের ফার্নিচার ও হোমওয়্যার জায়ান্ট নিটোরি উৎপাদন বিস্তৃত করতে ভিয়েতনামে একটি কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। এছাড়া অফিস আসবাবপত্র প্রস্তুতকারক ওকামুরা চীনের বাইরের কাঁচামাল ব্যবহারের সুযোগ খুঁজছে।

তবে জাপানি পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চীন এখনো গুরুত্বপূর্ণ উৎস দেশ। ভৌগোলিক অবস্থানগত নৈকট্যের দিক বিবেচনা করলেও সংস্থাগুলোর জন্য চীন থেকে পুরোপুরি উৎপাদন কার্যক্রম সরিয়ে নেয়া কঠিন।

ছবি

রাজধানীতে ঈদের পরও চড়া সবজির বাজার

ছবি

সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম বাড়ল ৪ টাকা

ছবি

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক এশিয়া কিনবে পাকিস্তানি ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশ

ছবি

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ

ছবি

একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংক চাইলে সরে যেতে পারবে, তবে শর্তসাপেক্ষে : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

ছবি

একীভূত ব্যাংক : পাঁচটির বাইরে আপাতত আর না

ছবি

ঈদে মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখেছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ে বেশি দেখছে এডিবি

ছবি

মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

ছবি

ঈদের আগে পাঁচ দিনে দেশে এলো ৪৬ কোটি ডলার

ছবি

শিল্পাঞ্চলের বাইরের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ আর নয়, পাবেনা ঋণও

এবার ঈদে পর্যটন খাত চাঙ্গা হওয়ার আশা

ছবি

জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়ার অনুমোদন

সোনালীতে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

ছবি

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা

ছবি

সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক

ছবি

বিজিএমইএর দায়িত্ব নিলেন এস এম মান্নান কচি

ছবি

বাজার মূলধন কিছুটা বাড়লো, তবু লাখ কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি

ছবি

নতুন বিদেশী ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ শোধ করছে সরকার : সিপিডি

ছবি

ব্যাংক একীভুতকরনে নীতিমালা জারি

রাষ্ট্রীয় চার ব্যাংক একীভূত হয়ে হবে দুই

ছবি

এবার একীভূত হচ্ছে ‘সোনালীর সাথে বিডিবিএল’ ও ‘কৃষির সাথে রাকাব’

ছবি

শেয়ার প্রতি ১ পয়সা লভ্যাংশ দেবে একমি পেস্টিসাইড

এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেডের কর্মীদের জন্য মেটলাইফের বীমা সুরক্ষা

গাজীপুরে এক বছরে ট্রাফিক পুলিশের ৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয়

ছবি

প্রবৃদ্ধি কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হবে: বিশ্বব্যাংক

ছবি

সিএসআর ফান্ডের আওতায় কৃষকদের আর্থিক সহযোগিতা করল সাউথইস্ট ব্যাংক

ছবি

ডেমরায় বাস গ্যারেজে আগুন

ছবি

নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও সেইহারে বাড়েনি তামাকপণ্যের দাম

ছবি

প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়া সেই ভূমি অফিস কর্মী সাময়িক বরখাস্ত

ব্যাংক ঋণের সুদহার আরও বাড়লো

ছবি

বেক্সিমকোর ২ হাজার ৬২৫ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন দিলো বিএসইসি

শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে কাজ করব : শ্রম প্রতিমন্ত্রী

ছবি

ঈদে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বাড়াল বিমান

tab

অর্থ-বাণিজ্য

চীন থেকে পোশাক কারখানা সরছে ভিয়েতনাম-কম্বোডিয়ায়

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক

শুক্রবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২২

করোনার কারণে উৎপাদন ব্যহত হওয়ায় এবার জাপানের উদ্যোক্তারা চীন থেকে তাদের পোশাক কারখানাগুলো সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে। ইতোমধ্যেই কয়েকটি কারখানা সরিয়ে নেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান শ্রম ব্যয়ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সিদ্ধান্ত নিতে প্ররোচিত করছে। এক্ষেত্রে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় উৎপাদন স্থানান্তরিত করছে সংস্থাগুলো। নিক্কেই এশিয়া।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ডলারের বিপরীতে ইয়েনের বিনিময় হারে পতন, জিরো কভিড নীতি এবং ক্রমবর্ধমান কাঁচামাল ও শ্রম ব্যয় চীনে উৎপাদন কার্যক্রমকে অনেক ব্যয়বহুল করে তুলছে। এমন পরিস্থিতি জাপানি পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চীনে উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রাখা নিয়ে ভাবতে বাধ্য করছে। গত জানুয়ারিতে এশিয়া-প্যাসিফিক বাণিজ্য চুক্তি রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) স্বাক্ষর হয়েছিল। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় উৎপাদন কার্যক্রম বাড়াতে জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করছে।

অ্যাডাস্ট্রিয়া, আয়োইয়ামা ট্রেডিং ও ইউনিক্লোর মতো প্রধান জাপানি পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান টেক্সটাইল আমদানি শুল্ক হ্রাস বা ছাড়ের সুবিধা নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরসিইপি সদস্য দেশগুলোয় উৎপাদন কার্যক্রম স্থানান্তরিত করছে। গ্লোবাল ওয়ার্কসহ জনপ্রিয় ফ্যাশন ব্র্যান্ডের মালিক অ্যাডাস্ট্রিয়া চলতি বছর কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামে উৎপাদন বাড়িয়েছে। পরিমাণের হিসাবে গত আগস্টে সংস্থাটির মোট পোশাক উৎপাদনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অংশ ২২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ হার এক বছর আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

প্রতিষ্ঠানটি ইন্দোনেশিয়া ও অন্য দেশগুলোয় উৎপাদন কার্যক্রম সম্প্রসারণেরও পরিকল্পনা করছে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি নাগাদ সংস্থাটি মোট উৎপাদনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অংশ ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে চায়। জাপানে আমদানি করা প্রতিষ্ঠানটির পোশাকের মধ্যে চীনে উৎপাদন হওয়ার পরিমাণ গত বছর ৫৯ শতাংশে নেমেছে। এক দশক আগে যা ৮১ শতাংশে ছিল।

ইতোধ্যেই জাপানে পুরুষদের পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আয়োইয়ামা ট্রেডিং ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনাম থেকে পণ্য সংগ্রহ বাড়াতে শুরু করেছে। ২০২১ অর্থবছরে সংস্থাটির চীন থেকে আমদানি করা পোশাকের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশে। এ হার আগের অর্থবছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম।

ইউনিক্লোর সাবসিডিয়ারি ফাস্ট রিটেইলিংয়ে চুক্তিভিত্তিক পণ্য সরবরাহ করে মাতসুওকা করপোরেশন। ২০২২ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে সংস্থাটির সরবরাহ করা পোশাকের ৫০ শতাংশ উৎপাদন হয়েছিল চীনে। তবে ২০২৫ সালের মধ্যে সংস্থাটি এ হার ২৯ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ সময়ে সংস্থাটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় উৎপাদন বাড়িয়ে তুলতে চায়। এ লক্ষ্যে সংস্থাটি চলতি অর্থবছর উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে ৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করছে।

পোশাক শিল্পের অনেক প্রক্রিয়া এখনো মানুষের হাতের ওপর নির্ভরশীল। কারণ সেলাইয়ের কাজ স্বয়ংক্রিয় করা কঠিন হতে পারে। এ অবস্থায় কাঁচামাল ছাড়াও ক্রমবর্ধমান শ্রম ব্যয় উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে তুলছে। আশির দশক থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো সস্তা শ্রমের সন্ধানে জাপান থেকে চীনে উৎপাদন স্থানান্তর শুরু করে। কিন্তু ২০১০ সালের দিকে চীনে শ্রম ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সংস্থাগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় উৎপাদন প্রসারিত করতে মনোযোগ বাড়ায়।

জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের মতে, চীনের গুয়াংজুতে একজন কারখানা শ্রমিকের গড় মাসিক বেতন প্রায় ৬৭০ ডলারে পৌঁছেছে। যেখানে ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটিতে বেতনের পরিমাণ প্রায় ২৭০ ডলার।

কেবল পোশাক শিল্পই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় উৎপাদন কার্যক্রম বিস্তৃত করছে তা কিন্তু নয়। আসবাবপত্র ও গৃহস্থালি জিনিসপত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোও এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে। জাপানের ফার্নিচার ও হোমওয়্যার জায়ান্ট নিটোরি উৎপাদন বিস্তৃত করতে ভিয়েতনামে একটি কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। এছাড়া অফিস আসবাবপত্র প্রস্তুতকারক ওকামুরা চীনের বাইরের কাঁচামাল ব্যবহারের সুযোগ খুঁজছে।

তবে জাপানি পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চীন এখনো গুরুত্বপূর্ণ উৎস দেশ। ভৌগোলিক অবস্থানগত নৈকট্যের দিক বিবেচনা করলেও সংস্থাগুলোর জন্য চীন থেকে পুরোপুরি উৎপাদন কার্যক্রম সরিয়ে নেয়া কঠিন।

back to top