বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণসুবিধা অনুমোদন দেয়ার পর আরও দুটি বড় বহুপক্ষীয় ঋণদান সংস্থা বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রতিশ্রুত অর্থ সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয়, এখন সেদিকে দৃষ্টি ফিরছে। বিশ্বব্যাংক আগেই বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। এখন জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের জন্য প্রতিশ্রুত বাজেট সহায়তা দ্বি-গুণ করতে পারে বিশ্বব্যাংক। গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাক্সেল ফন ট্রটসেন বাংলাদেশ ঘুরে যাওয়ার পরই পরিস্থিতি বদলে গেছে।
চলতি ২০২৩ সালে সব মিলিয়ে ৫০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা পাওয়া নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে আলোচনা চলছিল। এখন এই বাজেট সহায়তার পরিমাণ ১০০ কোটি ডলারে উন্নীত হতে পারে। বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। আইএমএফের ঋণ অনুমোদন পাওয়ায় বিশ্বব্যাংকের অর্থ পাওয়াও সহজ হয়ে গেছে। কারণ, আইএমএফের যেসব সংস্কারের শর্তে বাংলাদেশ ঋণ নিতে রাজি হয়েছে, বিশ্বব্যাংকের সংস্কারের শর্তগুলো প্রায় একই রকম।অর্থ মন্ত্রণালয়য়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও অন্য দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিশ্বব্যাংকের গ্রিন, রেজিলিয়েন্স, ইনক্লুসিভ, ডেভেলপমেন্ট (জিআরআইডি) বা গ্রিড কর্মসূচির আওতায় ২৫ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা পাওয়া নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে আলোচনা চলছিল। সেটি বাড়িয়ে এখন ৫০ কোটি ডলার চিন্তা-ভাবনা করছে বিশ্বব্যাংক। আগামী মার্চ মাসে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় এই ঋণ প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হতে পারে।
ইআরডির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। কোন কোন খাতে কীভাবে অর্থ খরচ হবে, তা নিয়ে শীঘ্রই দর-কষাকষি চূড়ান্ত হবে। একই ভাবে চলতি অর্থবছরের জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্যোগ নিতে আরও ২৫ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তা নিয়ে শীঘ্রই আলোচনা শুরু হবে। সেটিও এখন ৫০ কোটি ডলারে উন্নীত হতে যাচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এই ঋণ আগামী অর্থবছরের প্রথমার্ধে অর্থাৎ আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে অনুমোদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, গত ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাক্সেল ফন ট্রটসেন বাংলাদেশ সফরে করেন। এই সফরকালে তিনি সরকারের উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারক এবং বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বাজেট সহায়তার পরিমাণ বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর থেকে এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়। গ্রিড কর্মসূচির আওতায় ৫০ কোটি ডলার সহায়তা দেয়া হলে তা দিয়ে কী ধরনের প্রকল্প নেয়া হবে, চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে তা চূড়ান্ত করতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের অর্থ পেতে কিছু শর্ত নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা হয়েছে, যার সঙ্গে আইএমএফের শর্তের সঙ্গে মিল রয়েছে। যেমন ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন, শুল্ক আইন, আয়কর আইন পাস করা ইত্যাদি। এর মধ্যে শুল্ক আইন জাতীয় সংসদে পাসের জন্য উত্থাপন করা হয়েছে। গত সপ্তাহে নতুন আয়কর আইন মন্ত্রিসভা বৈঠকে নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কাজ করছে। গত বছরের জুন মাসে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইআরডি ১০০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা চেয়ে বিশ্বব্যাংককে চিঠি দিয়েছিল। এরপর কয়েক মাস এ নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি। তবে দু-তিন মাস ধরে এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। এই সময়ে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার তিনবার বাংলাদেশ সফর করেন। প্রতিটি সফরে তিনি বাংলাদেশকে সহায়তা বৃদ্ধির আশ্বাস দেন।
বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণসুবিধা অনুমোদন দেয়ার পর আরও দুটি বড় বহুপক্ষীয় ঋণদান সংস্থা বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রতিশ্রুত অর্থ সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয়, এখন সেদিকে দৃষ্টি ফিরছে। বিশ্বব্যাংক আগেই বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। এখন জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের জন্য প্রতিশ্রুত বাজেট সহায়তা দ্বি-গুণ করতে পারে বিশ্বব্যাংক। গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাক্সেল ফন ট্রটসেন বাংলাদেশ ঘুরে যাওয়ার পরই পরিস্থিতি বদলে গেছে।
চলতি ২০২৩ সালে সব মিলিয়ে ৫০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা পাওয়া নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে আলোচনা চলছিল। এখন এই বাজেট সহায়তার পরিমাণ ১০০ কোটি ডলারে উন্নীত হতে পারে। বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। আইএমএফের ঋণ অনুমোদন পাওয়ায় বিশ্বব্যাংকের অর্থ পাওয়াও সহজ হয়ে গেছে। কারণ, আইএমএফের যেসব সংস্কারের শর্তে বাংলাদেশ ঋণ নিতে রাজি হয়েছে, বিশ্বব্যাংকের সংস্কারের শর্তগুলো প্রায় একই রকম।অর্থ মন্ত্রণালয়য়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও অন্য দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিশ্বব্যাংকের গ্রিন, রেজিলিয়েন্স, ইনক্লুসিভ, ডেভেলপমেন্ট (জিআরআইডি) বা গ্রিড কর্মসূচির আওতায় ২৫ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা পাওয়া নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে আলোচনা চলছিল। সেটি বাড়িয়ে এখন ৫০ কোটি ডলার চিন্তা-ভাবনা করছে বিশ্বব্যাংক। আগামী মার্চ মাসে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় এই ঋণ প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হতে পারে।
ইআরডির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। কোন কোন খাতে কীভাবে অর্থ খরচ হবে, তা নিয়ে শীঘ্রই দর-কষাকষি চূড়ান্ত হবে। একই ভাবে চলতি অর্থবছরের জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্যোগ নিতে আরও ২৫ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তা নিয়ে শীঘ্রই আলোচনা শুরু হবে। সেটিও এখন ৫০ কোটি ডলারে উন্নীত হতে যাচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এই ঋণ আগামী অর্থবছরের প্রথমার্ধে অর্থাৎ আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে অনুমোদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, গত ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাক্সেল ফন ট্রটসেন বাংলাদেশ সফরে করেন। এই সফরকালে তিনি সরকারের উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারক এবং বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বাজেট সহায়তার পরিমাণ বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর থেকে এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়। গ্রিড কর্মসূচির আওতায় ৫০ কোটি ডলার সহায়তা দেয়া হলে তা দিয়ে কী ধরনের প্রকল্প নেয়া হবে, চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে তা চূড়ান্ত করতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের অর্থ পেতে কিছু শর্ত নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা হয়েছে, যার সঙ্গে আইএমএফের শর্তের সঙ্গে মিল রয়েছে। যেমন ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন, শুল্ক আইন, আয়কর আইন পাস করা ইত্যাদি। এর মধ্যে শুল্ক আইন জাতীয় সংসদে পাসের জন্য উত্থাপন করা হয়েছে। গত সপ্তাহে নতুন আয়কর আইন মন্ত্রিসভা বৈঠকে নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কাজ করছে। গত বছরের জুন মাসে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইআরডি ১০০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা চেয়ে বিশ্বব্যাংককে চিঠি দিয়েছিল। এরপর কয়েক মাস এ নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি। তবে দু-তিন মাস ধরে এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। এই সময়ে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার তিনবার বাংলাদেশ সফর করেন। প্রতিটি সফরে তিনি বাংলাদেশকে সহায়তা বৃদ্ধির আশ্বাস দেন।