alt

অর্থ-বাণিজ্য

গত বছর চা উৎপাদন কমেছে ৬২ লাখ কেজি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : রোববার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

গত বছর দেশে চা উৎপাদন কমেছে। বছরের প্রথমার্ধে অনাবৃষ্টি ও বছরের শেষদিকে গত আগস্টে চা শ্রমিকদের পালন করা ধর্মঘটকে দায়ী করেছেন উৎপাদকেরা। নতুন বছরে অনুকূল আবহাওয়া থাকলে চায়ের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।

চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশের ১৬৭টি বাগানে চা উৎপাদন হয়েছে ৯ কোটি ৩৮ লাখ কেজি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ কোটি কেজি। ফলে বছর শেষে ৬২ লাখ কেজি চা কম উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া ২০২১ সালের চেয়েও উৎপাদন কমেছে ২৭ লাখ কেজি বা ৩ শতাংশ।

চা বোর্ড চা উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল, তা যে পূরণ হবে না, সেটা আগেই অনুমিত ছিল। কারণ, গত আগস্টে চা শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে প্রায় ১৫ দিন চা উৎপাদন বন্ধ ছিল। দৈনিক মজুরি ১২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত বছরের ১৩ আগস্ট থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন চা শ্রমিকেরা।

অবশ্য ২৭ আগস্ট চা-বাগান মালিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের পর শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বাড়িয়ে ১৭০ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেন চা-শ্রমিকেরা।

শ্রমিকদের ধর্মঘটের প্রভাবে গত আগস্টে চা উৎপাদিত হয় মাত্র ১ কোটি ৭ লাখ কেজি, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৬ লাখ কেজি কম।

চা-বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম শাহ আলম বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে চায়ের উৎপাদন কমেছে। বাগান থেকে পাতা তোলা যায়নি। আবার গত বছরের প্রথমদিকে বৃষ্টি কম হওয়ায় চা চাষের প্রতিকূল পরিস্থিতি ছিল। মূলত এ দুই কারণে চায়ের উৎপাদন কমেছে। তাতে অনেক বাগান লোকসানের মুখে পড়েছে।’ দেশে চা উৎপাদনে রেকর্ড হয় ২০২১ সালে। সে বছর ৯ কোটি ৬৫ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়। চা উৎপাদনে দ্বিতীয় রেকর্ডটি ২০১৯ সালে। ওই বছর চা উৎপাদন হয় ৯ কোটি ৬০ লাখ কেজি। সেই হিসাবে গত বছর তৃতীয় সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে।

ছবি

হঠাৎ ঝলকের পর আবার পতন, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

পদত্যাগ করেছেন পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ

ঈদের পর শেয়ারবাজার কিছুটা ভালো হতে শুরু করেছে

ছবি

দিনাজপুরে বাঁশ ফুলের চাল তৈরি

ছবি

অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন

ছবি

বিআইপিডি’র অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করছে : এফএফআইএল

ছবি

চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর

ছবি

রাজধানীতে ঈদের পরও চড়া সবজির বাজার

ছবি

সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম বাড়ল ৪ টাকা

ছবি

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক এশিয়া কিনবে পাকিস্তানি ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশ

ছবি

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ

ছবি

একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংক চাইলে সরে যেতে পারবে, তবে শর্তসাপেক্ষে : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

ছবি

একীভূত ব্যাংক : পাঁচটির বাইরে আপাতত আর না

ছবি

ঈদে মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখেছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ে বেশি দেখছে এডিবি

ছবি

মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

ছবি

ঈদের আগে পাঁচ দিনে দেশে এলো ৪৬ কোটি ডলার

ছবি

শিল্পাঞ্চলের বাইরের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ আর নয়, পাবেনা ঋণও

এবার ঈদে পর্যটন খাত চাঙ্গা হওয়ার আশা

ছবি

জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়ার অনুমোদন

সোনালীতে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

ছবি

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা

ছবি

সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক

ছবি

বিজিএমইএর দায়িত্ব নিলেন এস এম মান্নান কচি

ছবি

বাজার মূলধন কিছুটা বাড়লো, তবু লাখ কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি

ছবি

নতুন বিদেশী ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ শোধ করছে সরকার : সিপিডি

ছবি

ব্যাংক একীভুতকরনে নীতিমালা জারি

রাষ্ট্রীয় চার ব্যাংক একীভূত হয়ে হবে দুই

ছবি

এবার একীভূত হচ্ছে ‘সোনালীর সাথে বিডিবিএল’ ও ‘কৃষির সাথে রাকাব’

ছবি

শেয়ার প্রতি ১ পয়সা লভ্যাংশ দেবে একমি পেস্টিসাইড

এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেডের কর্মীদের জন্য মেটলাইফের বীমা সুরক্ষা

গাজীপুরে এক বছরে ট্রাফিক পুলিশের ৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয়

ছবি

প্রবৃদ্ধি কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হবে: বিশ্বব্যাংক

tab

অর্থ-বাণিজ্য

গত বছর চা উৎপাদন কমেছে ৬২ লাখ কেজি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

রোববার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

গত বছর দেশে চা উৎপাদন কমেছে। বছরের প্রথমার্ধে অনাবৃষ্টি ও বছরের শেষদিকে গত আগস্টে চা শ্রমিকদের পালন করা ধর্মঘটকে দায়ী করেছেন উৎপাদকেরা। নতুন বছরে অনুকূল আবহাওয়া থাকলে চায়ের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।

চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশের ১৬৭টি বাগানে চা উৎপাদন হয়েছে ৯ কোটি ৩৮ লাখ কেজি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ কোটি কেজি। ফলে বছর শেষে ৬২ লাখ কেজি চা কম উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া ২০২১ সালের চেয়েও উৎপাদন কমেছে ২৭ লাখ কেজি বা ৩ শতাংশ।

চা বোর্ড চা উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল, তা যে পূরণ হবে না, সেটা আগেই অনুমিত ছিল। কারণ, গত আগস্টে চা শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে প্রায় ১৫ দিন চা উৎপাদন বন্ধ ছিল। দৈনিক মজুরি ১২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত বছরের ১৩ আগস্ট থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন চা শ্রমিকেরা।

অবশ্য ২৭ আগস্ট চা-বাগান মালিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের পর শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বাড়িয়ে ১৭০ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেন চা-শ্রমিকেরা।

শ্রমিকদের ধর্মঘটের প্রভাবে গত আগস্টে চা উৎপাদিত হয় মাত্র ১ কোটি ৭ লাখ কেজি, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৬ লাখ কেজি কম।

চা-বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম শাহ আলম বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে চায়ের উৎপাদন কমেছে। বাগান থেকে পাতা তোলা যায়নি। আবার গত বছরের প্রথমদিকে বৃষ্টি কম হওয়ায় চা চাষের প্রতিকূল পরিস্থিতি ছিল। মূলত এ দুই কারণে চায়ের উৎপাদন কমেছে। তাতে অনেক বাগান লোকসানের মুখে পড়েছে।’ দেশে চা উৎপাদনে রেকর্ড হয় ২০২১ সালে। সে বছর ৯ কোটি ৬৫ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়। চা উৎপাদনে দ্বিতীয় রেকর্ডটি ২০১৯ সালে। ওই বছর চা উৎপাদন হয় ৯ কোটি ৬০ লাখ কেজি। সেই হিসাবে গত বছর তৃতীয় সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে।

back to top