রংপুর চেম্বারের তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়া
প্রস্তাবিত বাজেট প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় রংপুর চেম্বার সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু বলেছেন প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া রংপুর অঞ্চলের দারিদ্র নিরসন ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘নর্থ বেঙ্গল ডেভেলপমেন্ট মিনিস্ট্রি’’ গঠনের মত বিষয়গুলো অর্ন্তভূক্ত থাকা উচিত ছিল। রংপুর অঞ্চলের দারিদ্র্য নিরসন ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে রংপুর চেম্বারের প্রস্তাবগুলো সংশোধিত বাজেটে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
তিনি বলেন প্রস্তাবিত বাজেট স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ, কর্মসংস্থানমুখী এবং দেশীয় শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন। তিনি বাজেট বাস্তবায়নে দুর্নীতি প্রতিরোধ, অর্থ পাচার রোধ এবং প্রবৃদ্ধির সুফল যেন সুষমভাবে বন্টন হয় সেদিকে নজর দেয়ার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী যুগ স্মার্ট বাংলাদেশ। কিন্তু সেখানে পৌঁছতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে নজর দেয়া জরুরি বলে মনে করে। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি যে হারে বেড়েছে সামাজিক সুরক্ষা ভাতা সেভাবে বাড়েনি। শুধু খাদ্য ছাড়াও মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটাতে বাসস্থান, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা প্রয়োজন। সামাজিক সুরক্ষার অপ্রতুলতা আগেও ছিল, এখনো রয়েছে। তাই তিনি সংশোধিত বাজেটে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার অনুরোধ জানান।
এ ছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আহরণের যে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা বড় ধরনের সংস্কার ছাড়া অর্জন করা সম্ভব নয় বলে রংপুর চেম্বার মনে করে। তবে সাধারণ মানুষকে চাপে ফেলে রাজস্ব বাড়ানোর কৌশল জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে বলে রংপুর চেম্বার মনে করে। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ও পরিচালন ব্যয় দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পরিস্থিতিতে রাজস্ব সংগ্রহ কাঙ্খিত হারে বৃদ্ধি না পেলে সরকারের ব্যাংক নির্ভরতা আর্থিক খাতকে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ফেলবে। তবে বেসরকারি বিনিয়োগের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রস্তাবিত বাজেটে করজাল বৃদ্ধির যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা অত্যন্ত যুগোপযোগী বলে রংপুর চেম্বার মনে করে। প্রস্তাবিত বাজেটের ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়ার যে প্রস্তাব করা হয়েছে তাতে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে মন্তব্য করে রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু। ঘাটতি পূরণে ব্যাংক খাতের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বৈদেশিক উৎস, অবকাঠামো তহবিল, অবকাঠামো বন্ড ও অন্যান্য আর্থিক উপাদানের ওপর জোর দেওয়ার অনুরোধ জানান। বেসরকারি খাত বাধাগ্রস্থ হলে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হবে বলে তিনি জানান ।
রংপুর চেম্বারের তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়া
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩
প্রস্তাবিত বাজেট প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় রংপুর চেম্বার সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু বলেছেন প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া রংপুর অঞ্চলের দারিদ্র নিরসন ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘নর্থ বেঙ্গল ডেভেলপমেন্ট মিনিস্ট্রি’’ গঠনের মত বিষয়গুলো অর্ন্তভূক্ত থাকা উচিত ছিল। রংপুর অঞ্চলের দারিদ্র্য নিরসন ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে রংপুর চেম্বারের প্রস্তাবগুলো সংশোধিত বাজেটে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
তিনি বলেন প্রস্তাবিত বাজেট স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ, কর্মসংস্থানমুখী এবং দেশীয় শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন। তিনি বাজেট বাস্তবায়নে দুর্নীতি প্রতিরোধ, অর্থ পাচার রোধ এবং প্রবৃদ্ধির সুফল যেন সুষমভাবে বন্টন হয় সেদিকে নজর দেয়ার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী যুগ স্মার্ট বাংলাদেশ। কিন্তু সেখানে পৌঁছতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে নজর দেয়া জরুরি বলে মনে করে। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি যে হারে বেড়েছে সামাজিক সুরক্ষা ভাতা সেভাবে বাড়েনি। শুধু খাদ্য ছাড়াও মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটাতে বাসস্থান, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা প্রয়োজন। সামাজিক সুরক্ষার অপ্রতুলতা আগেও ছিল, এখনো রয়েছে। তাই তিনি সংশোধিত বাজেটে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার অনুরোধ জানান।
এ ছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আহরণের যে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা বড় ধরনের সংস্কার ছাড়া অর্জন করা সম্ভব নয় বলে রংপুর চেম্বার মনে করে। তবে সাধারণ মানুষকে চাপে ফেলে রাজস্ব বাড়ানোর কৌশল জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে বলে রংপুর চেম্বার মনে করে। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ও পরিচালন ব্যয় দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পরিস্থিতিতে রাজস্ব সংগ্রহ কাঙ্খিত হারে বৃদ্ধি না পেলে সরকারের ব্যাংক নির্ভরতা আর্থিক খাতকে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ফেলবে। তবে বেসরকারি বিনিয়োগের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রস্তাবিত বাজেটে করজাল বৃদ্ধির যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা অত্যন্ত যুগোপযোগী বলে রংপুর চেম্বার মনে করে। প্রস্তাবিত বাজেটের ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়ার যে প্রস্তাব করা হয়েছে তাতে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে মন্তব্য করে রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু। ঘাটতি পূরণে ব্যাংক খাতের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বৈদেশিক উৎস, অবকাঠামো তহবিল, অবকাঠামো বন্ড ও অন্যান্য আর্থিক উপাদানের ওপর জোর দেওয়ার অনুরোধ জানান। বেসরকারি খাত বাধাগ্রস্থ হলে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হবে বলে তিনি জানান ।