বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছ থেকে সেরা মানের চায়ের জন্য পুরস্কার গ্রহণ করেন কেদারপুর টি কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়লা রহমান কবির।
সেরা মানের চায়ের জন্য প্রথম জাতীয় চা পুরস্কার পেল মধুপুর টি এস্টেটের কেদারপুর টি কোম্পানি লিমিটেড। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন কেদারপুর টি কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়লা রহমান কবির।
আজ রবিবার (৪ জুন) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘৩য় জাতীয় চা দিবস উদযাপন ও ১ম জাতীয় চা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। দেশের চা শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রথমবারের মতো চালু করা ‘জাতীয় চা পুরস্কার-২০২৩’ এক ব্যক্তি ও সাতটি প্রতিষ্ঠানকে হস্তান্তর করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নজরদারি এবং নানামুখী উদ্যোগের ফলে দেশের চা খাত আজ টেকসই ও মজবুত অবস্থানে এসেছে। গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা কার্যক্রম জোরদারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন শ্রমিকবান্ধব নেতা। গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে সারাজীবন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। চা শিল্পের সঙ্গে প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক নিয়োজিত আছে, যাদের অর্ধেকের বেশি নারী শ্রমিক। এ শিল্পের সঙ্গে তাদের ভাগ্য জড়িয়ে আছে।’
নারী-পুরুষ উভয় শ্রমিকদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে কোনো শিল্পের প্রাণ হচ্ছে শ্রমিক। অতএব তাদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। চা শ্রমিকদের বেতন নিয়ে যখন সমস্যা দেখা দিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নিয়ে নিজে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করে দিয়েছেন এবং শ্রমিকরা তা নির্দ্বিধায় মেনে নিয়েছেন।’
টিপু মুনশি জানান, প্রতি বছর দেশে চায়ের চাহিদা ৫ থেকে ৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৭ কোটি মানুষ এক কাপ করে চা পান করলেও ১৭ কোটি কাপ চা প্রয়োজন। আমরা একজন প্রতিদিন ৩-৪ কাপ চা পান করে থাকি। কিন্তু চা উৎপাদন সে হারে বৃদ্ধি পায় না। এ জন্য চা উৎপাদন বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
মন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪ জুন ১৯৫৭ সালে প্রথম বাঙালি হিসেবে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ অলঙ্কৃত করেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশের চা শিল্পে অসামান্য অবদান রাখেন। চা শিল্পে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ৪ জুন চা দিবস পালন করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি ও সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি শাহ মঈনুদ্দিন হাসান এবং বাংলাদেশ চা সংসদের সভাপতি কামরান টি রহমান বক্তব্য দেন। পরে বাণিজ্যমন্ত্রী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চা মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছ থেকে সেরা মানের চায়ের জন্য পুরস্কার গ্রহণ করেন কেদারপুর টি কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়লা রহমান কবির।
রোববার, ০৪ জুন ২০২৩
সেরা মানের চায়ের জন্য প্রথম জাতীয় চা পুরস্কার পেল মধুপুর টি এস্টেটের কেদারপুর টি কোম্পানি লিমিটেড। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন কেদারপুর টি কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়লা রহমান কবির।
আজ রবিবার (৪ জুন) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘৩য় জাতীয় চা দিবস উদযাপন ও ১ম জাতীয় চা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। দেশের চা শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রথমবারের মতো চালু করা ‘জাতীয় চা পুরস্কার-২০২৩’ এক ব্যক্তি ও সাতটি প্রতিষ্ঠানকে হস্তান্তর করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নজরদারি এবং নানামুখী উদ্যোগের ফলে দেশের চা খাত আজ টেকসই ও মজবুত অবস্থানে এসেছে। গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা কার্যক্রম জোরদারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন শ্রমিকবান্ধব নেতা। গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে সারাজীবন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। চা শিল্পের সঙ্গে প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক নিয়োজিত আছে, যাদের অর্ধেকের বেশি নারী শ্রমিক। এ শিল্পের সঙ্গে তাদের ভাগ্য জড়িয়ে আছে।’
নারী-পুরুষ উভয় শ্রমিকদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে কোনো শিল্পের প্রাণ হচ্ছে শ্রমিক। অতএব তাদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। চা শ্রমিকদের বেতন নিয়ে যখন সমস্যা দেখা দিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নিয়ে নিজে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করে দিয়েছেন এবং শ্রমিকরা তা নির্দ্বিধায় মেনে নিয়েছেন।’
টিপু মুনশি জানান, প্রতি বছর দেশে চায়ের চাহিদা ৫ থেকে ৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৭ কোটি মানুষ এক কাপ করে চা পান করলেও ১৭ কোটি কাপ চা প্রয়োজন। আমরা একজন প্রতিদিন ৩-৪ কাপ চা পান করে থাকি। কিন্তু চা উৎপাদন সে হারে বৃদ্ধি পায় না। এ জন্য চা উৎপাদন বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
মন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪ জুন ১৯৫৭ সালে প্রথম বাঙালি হিসেবে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ অলঙ্কৃত করেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশের চা শিল্পে অসামান্য অবদান রাখেন। চা শিল্পে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ৪ জুন চা দিবস পালন করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি ও সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি শাহ মঈনুদ্দিন হাসান এবং বাংলাদেশ চা সংসদের সভাপতি কামরান টি রহমান বক্তব্য দেন। পরে বাণিজ্যমন্ত্রী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চা মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।