জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষকদের মধ্য থেকে উপাচার্য চেয়ে অবস্থান ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলন’ এর ব্যানারে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘বাইরের ভিসি আসলে, গেটে তালা ঝুলবে’, ‘বাহির থেকে ভিসি, মানবো না মানবো না’, ‘দাবি মোদের একটাই, জবি থেকে ভিসি চাই’, ‘অতিথি পাখি মানি না, মানব না’—এসব স্লোগান দিতে থাকেন।
এসময় অবস্থানকারীরা বলেন, এমন কাউকে আমরা গ্রহণ করবো না যিনি কোনো দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে। অনতিবিলম্বে আমাদের দাবি মানতে হবে নয়তো কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
এসময ইংরেজি বিভাগের ফরহাদ হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা এখানে দাড়িয়েছি বৈষম্যবিরোধী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে অনেক পিছিয়ে। আমাদের কোন খেলার মাঠ নেই আমাদের কোন আবাসন ব্যবস্থা নেই। বিগত কোন উপাচার্য আমাদের এই সমস্যা গুলো নিয়ে চিন্তিত হননি, কারণ তারা অতিথি হয়ে আসছেন আবার চলে গেছেন। যদি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য দেওয়া হত তাহলে তাঁরা নিজের শিক্ষার্থীদের সমস্যা গুলো অনুধাবন করতেন এবং ব্যবস্থা নিতেন।’
লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী স্বর্ণা বলেন, ‘আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য চাই। কিন্তু কোন দলীয় উপাচার্য চাই না। দলীয় কোন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে এমন কোন উপাচার্য চাই না।’
সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৭০০ শিক্ষক আছেন যার মধ্যে ১৫০ এর উপরে অধ্যাপক আছেন। যারা ভিসি হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন। আমরা কেন এখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পাই না। আমরা চাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিসি হোক। আমরা অতিথি উপাচার্য চাই না। কারণ বাহিরের কোন উপাচার্য এসে আমাদের শিক্ষার্থীদের আপন করতে পারেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কে ‘মূলা’ স্বপ্ন দেখিয়ে রেখেছেন প্রশাসন। আমাদের কোন ল্যাব নেই কোন মাঠ নেই। আমাদের নতুন ক্যাম্পাসের স্বপ্ন দেখিয়ে বছরের পর বছর ভোগান্তিতে রেখেছেন। আমরা এই সংকীর্ণতা থেকে বের হতে চাই।’
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ড. মো. বিলাল হোসাইন বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ হাজার শিক্ষার্থী আর ৭০০ শিক্ষক সকলে এই দাবির সঙ্গে একমত। আমরা আমাদের দাবি পূরণ করে ছাড়ব ইনশা আল্লাহ।’
সিএসই বিভাগের অধ্যাপক নাসির বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯ বছর আগে।আজকে পর্যন্ত একটি মাত্র ভবন হয়েছে আমরা যদি এই সময়টাই অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় দেখি তাহলে দেখা যায় অর্ধশতাধিক ভবন হয়েছে, ল্যাব হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা নেই। এর একটাই কারণ আমাদের নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য না থাকা।’
এদিকে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ভাষা শহীদ রফিক ভবন ও ভাস্কর্য চত্বরসহ সব বিভাগেই শিক্ষার্থীদের থেকে স্বাক্ষর গ্রহণ কর্মসূচি চলছে। এ সময় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে।
বুধবার, ২১ আগস্ট ২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষকদের মধ্য থেকে উপাচার্য চেয়ে অবস্থান ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলন’ এর ব্যানারে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘বাইরের ভিসি আসলে, গেটে তালা ঝুলবে’, ‘বাহির থেকে ভিসি, মানবো না মানবো না’, ‘দাবি মোদের একটাই, জবি থেকে ভিসি চাই’, ‘অতিথি পাখি মানি না, মানব না’—এসব স্লোগান দিতে থাকেন।
এসময় অবস্থানকারীরা বলেন, এমন কাউকে আমরা গ্রহণ করবো না যিনি কোনো দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে। অনতিবিলম্বে আমাদের দাবি মানতে হবে নয়তো কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
এসময ইংরেজি বিভাগের ফরহাদ হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা এখানে দাড়িয়েছি বৈষম্যবিরোধী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে অনেক পিছিয়ে। আমাদের কোন খেলার মাঠ নেই আমাদের কোন আবাসন ব্যবস্থা নেই। বিগত কোন উপাচার্য আমাদের এই সমস্যা গুলো নিয়ে চিন্তিত হননি, কারণ তারা অতিথি হয়ে আসছেন আবার চলে গেছেন। যদি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য দেওয়া হত তাহলে তাঁরা নিজের শিক্ষার্থীদের সমস্যা গুলো অনুধাবন করতেন এবং ব্যবস্থা নিতেন।’
লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী স্বর্ণা বলেন, ‘আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য চাই। কিন্তু কোন দলীয় উপাচার্য চাই না। দলীয় কোন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে এমন কোন উপাচার্য চাই না।’
সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৭০০ শিক্ষক আছেন যার মধ্যে ১৫০ এর উপরে অধ্যাপক আছেন। যারা ভিসি হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন। আমরা কেন এখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পাই না। আমরা চাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিসি হোক। আমরা অতিথি উপাচার্য চাই না। কারণ বাহিরের কোন উপাচার্য এসে আমাদের শিক্ষার্থীদের আপন করতে পারেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কে ‘মূলা’ স্বপ্ন দেখিয়ে রেখেছেন প্রশাসন। আমাদের কোন ল্যাব নেই কোন মাঠ নেই। আমাদের নতুন ক্যাম্পাসের স্বপ্ন দেখিয়ে বছরের পর বছর ভোগান্তিতে রেখেছেন। আমরা এই সংকীর্ণতা থেকে বের হতে চাই।’
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ড. মো. বিলাল হোসাইন বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ হাজার শিক্ষার্থী আর ৭০০ শিক্ষক সকলে এই দাবির সঙ্গে একমত। আমরা আমাদের দাবি পূরণ করে ছাড়ব ইনশা আল্লাহ।’
সিএসই বিভাগের অধ্যাপক নাসির বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯ বছর আগে।আজকে পর্যন্ত একটি মাত্র ভবন হয়েছে আমরা যদি এই সময়টাই অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় দেখি তাহলে দেখা যায় অর্ধশতাধিক ভবন হয়েছে, ল্যাব হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা নেই। এর একটাই কারণ আমাদের নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য না থাকা।’
এদিকে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ভাষা শহীদ রফিক ভবন ও ভাস্কর্য চত্বরসহ সব বিভাগেই শিক্ষার্থীদের থেকে স্বাক্ষর গ্রহণ কর্মসূচি চলছে। এ সময় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে।