২০২১ এর জানুয়ারী থেকে ২০২৫ এর এপ্রিল — এই ৪ বছর ৪ মাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১২ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। আর এ বছর চারমাসে চার জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। প্রেমের সম্পর্কে অবনতি, বেকারত্বের হতাশা, মানসিক চাপ, পারিবারিক কলহ-সহ বিভিন্ন কারণে শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যা করছেন বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সূত্রমতে, শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রবণতা রোধ, বিষণ্নতা, পরীক্ষা ভীতি দূর করতে ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের নিচতলায় প্রতিষ্ঠা করা হয় কাউন্সেলিং সেন্টার। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সেন্টারে অভিজ্ঞ এবং পেশাদার সাইকোলজিস্টের অভাবে ‘যথাযথ সেবা পাচ্ছেন না’ তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সেখানে পেশাদার ও অভিজ্ঞ সাইকোলজিস্ট নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ইন্টার্ণ শিক্ষার্থীরা পাঠ্যসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের সেবা দিয়ে থাকেন। মনোবিজ্ঞান বিভাগের তিনজন শিক্ষক তত্ত্বাবধান করেন।
সেন্টার প্রতিষ্ঠার পর ৭ আত্নহত্যা
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কাউন্সেলিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে মোট ৭ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।
এ বছর ২৯শে এপ্রিল মেসে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী প্রত্যাশা মজুমদার। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাবরিনা রহমান শাম্মী গত ১৭ই ফেব্রুয়ারী নিজ বাড়িতে বিষপানে আত্মহত্যা করেন।
কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাবিব রিয়াদ ১৯শে ফেব্রুয়ারী গলায় ফাঁস দেয়ার দুদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ফিন্যান্স বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মো. আহাদ হোসেন এ বছর ১৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে ঢাকার সূত্রাপুরে নিজ মেসে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
ইংরেজি বিভাগের (২০১৬-১৭ সেশন) শিক্ষার্থী অঙ্কন বিশ্বাস ২০২২ সালের মে মাসে মারা যান। অঙ্কন বিশ্বাসের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের (২০১৬-১৭ সেশন) শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাব্বি ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা ১৫ মার্চ ২০২৪ তারিখে কুমিল্লায় নিজ বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা ফেসবুক পোস্ট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তারা জামিনে আছেন।
কী বলছেন শিক্ষার্থীরা
প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হুমায়রা আবেদীন বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা পরিবার ছেড়ে একা থাকায় নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। এই মানসিক দূর্বল অবস্থায় যদি কোন অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে, তখন অনেকে চাপ নিতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। আমাদের হতাশা, দুশ্চিন্তা রোধে জন্য কাউন্সিলিং সেন্টারে অভিজ্ঞ সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরী করতে হবে, যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।"
পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাইফ ওয়াসিফ বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থতার জন্য যে নামমাত্র কাউন্সেলিং সেন্টার ও প্রতি বিভাগে দুইজন করে ছাত্র উপদেষ্টা রয়েছেন। তাদের কি পর্যাপ্ত ট্রেনিং ও মনিটরিং এর ব্যবস্থা করে নিয়োগ দেয়া হয়েছে? বিগত সাড়ে চার বছরে আমরা ১৫ জন শিক্ষার্থীকে হারিয়েছি। এরমধ্যে এবছরই আমরা চারজনকে হারিয়েছি যা আমাদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ সংখ্যা যদি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তাহলে আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের মনোবল হারিয়ে ফেলবেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতায় দৃশ্যমান উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানাই৷ প্রশাসনের উচিত প্রতিটা বিভাগে অন্তত মাসে দুইটি করে কাউন্সেলিং সেশন নেওয়া; যা আত্মহত্যা প্রতিরোধে সহায়ক হয়।"
কী বলছে কর্তৃপক্ষ
বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলিং সেন্টারের পরিচালক এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. ফারজানা আহমেদ বলেন, "আত্মহত্যার চূড়ান্ত ইচ্ছা হুট করে আসে, এসময় মানুষ হিতাহিত বোধ হারিয়ে ফেলে হুট করে আত্মহত্যা করে ফেলে। এসময় যদি তাকে কোনভাবে আটকানো যায় তবে আত্মহত্যা রোধ করা যেতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা বিভিন্ন বিভাগে পোস্টার লাগিয়েছি। বিভাগীয় ছাত্র উপদেষ্টাদের বলা হয়েছে, আত্মহত্যা প্রবণ বা জীবন নিয়ে হতাশ শিক্ষার্থীদের যাতে কাউন্সিলিং সেন্টারে পাঠায়।"
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রেজাউল করিম বলেন," আমাদের এখানে থাকা কাউন্সিলিং সেন্টারকে প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে। বর্তমানে কাউন্সিলিং সেন্টার পরিচালনায় মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আছেন। সেখানে অন্যান্য বিভাগকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে যাতে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও সহজে সেবা পেতে পারেন।"
কাউন্সিলিং সেন্টারে কাউন্সিলিং সাইকোলজিস্ট নিয়োগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "কতজন শিক্ষার্থী সেবা নেয়, কিভাবে কি করতে হবে এসব তথ্য নেয়া হচ্ছে। আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিব।"
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
২০২১ এর জানুয়ারী থেকে ২০২৫ এর এপ্রিল — এই ৪ বছর ৪ মাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১২ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। আর এ বছর চারমাসে চার জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। প্রেমের সম্পর্কে অবনতি, বেকারত্বের হতাশা, মানসিক চাপ, পারিবারিক কলহ-সহ বিভিন্ন কারণে শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যা করছেন বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সূত্রমতে, শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রবণতা রোধ, বিষণ্নতা, পরীক্ষা ভীতি দূর করতে ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের নিচতলায় প্রতিষ্ঠা করা হয় কাউন্সেলিং সেন্টার। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সেন্টারে অভিজ্ঞ এবং পেশাদার সাইকোলজিস্টের অভাবে ‘যথাযথ সেবা পাচ্ছেন না’ তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সেখানে পেশাদার ও অভিজ্ঞ সাইকোলজিস্ট নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ইন্টার্ণ শিক্ষার্থীরা পাঠ্যসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের সেবা দিয়ে থাকেন। মনোবিজ্ঞান বিভাগের তিনজন শিক্ষক তত্ত্বাবধান করেন।
সেন্টার প্রতিষ্ঠার পর ৭ আত্নহত্যা
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কাউন্সেলিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে মোট ৭ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।
এ বছর ২৯শে এপ্রিল মেসে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী প্রত্যাশা মজুমদার। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাবরিনা রহমান শাম্মী গত ১৭ই ফেব্রুয়ারী নিজ বাড়িতে বিষপানে আত্মহত্যা করেন।
কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাবিব রিয়াদ ১৯শে ফেব্রুয়ারী গলায় ফাঁস দেয়ার দুদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ফিন্যান্স বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মো. আহাদ হোসেন এ বছর ১৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে ঢাকার সূত্রাপুরে নিজ মেসে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
ইংরেজি বিভাগের (২০১৬-১৭ সেশন) শিক্ষার্থী অঙ্কন বিশ্বাস ২০২২ সালের মে মাসে মারা যান। অঙ্কন বিশ্বাসের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের (২০১৬-১৭ সেশন) শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাব্বি ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা ১৫ মার্চ ২০২৪ তারিখে কুমিল্লায় নিজ বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা ফেসবুক পোস্ট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তারা জামিনে আছেন।
কী বলছেন শিক্ষার্থীরা
প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হুমায়রা আবেদীন বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা পরিবার ছেড়ে একা থাকায় নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। এই মানসিক দূর্বল অবস্থায় যদি কোন অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে, তখন অনেকে চাপ নিতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। আমাদের হতাশা, দুশ্চিন্তা রোধে জন্য কাউন্সিলিং সেন্টারে অভিজ্ঞ সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরী করতে হবে, যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।"
পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাইফ ওয়াসিফ বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থতার জন্য যে নামমাত্র কাউন্সেলিং সেন্টার ও প্রতি বিভাগে দুইজন করে ছাত্র উপদেষ্টা রয়েছেন। তাদের কি পর্যাপ্ত ট্রেনিং ও মনিটরিং এর ব্যবস্থা করে নিয়োগ দেয়া হয়েছে? বিগত সাড়ে চার বছরে আমরা ১৫ জন শিক্ষার্থীকে হারিয়েছি। এরমধ্যে এবছরই আমরা চারজনকে হারিয়েছি যা আমাদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ সংখ্যা যদি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তাহলে আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের মনোবল হারিয়ে ফেলবেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতায় দৃশ্যমান উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানাই৷ প্রশাসনের উচিত প্রতিটা বিভাগে অন্তত মাসে দুইটি করে কাউন্সেলিং সেশন নেওয়া; যা আত্মহত্যা প্রতিরোধে সহায়ক হয়।"
কী বলছে কর্তৃপক্ষ
বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলিং সেন্টারের পরিচালক এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. ফারজানা আহমেদ বলেন, "আত্মহত্যার চূড়ান্ত ইচ্ছা হুট করে আসে, এসময় মানুষ হিতাহিত বোধ হারিয়ে ফেলে হুট করে আত্মহত্যা করে ফেলে। এসময় যদি তাকে কোনভাবে আটকানো যায় তবে আত্মহত্যা রোধ করা যেতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা বিভিন্ন বিভাগে পোস্টার লাগিয়েছি। বিভাগীয় ছাত্র উপদেষ্টাদের বলা হয়েছে, আত্মহত্যা প্রবণ বা জীবন নিয়ে হতাশ শিক্ষার্থীদের যাতে কাউন্সিলিং সেন্টারে পাঠায়।"
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রেজাউল করিম বলেন," আমাদের এখানে থাকা কাউন্সিলিং সেন্টারকে প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে। বর্তমানে কাউন্সিলিং সেন্টার পরিচালনায় মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আছেন। সেখানে অন্যান্য বিভাগকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে যাতে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও সহজে সেবা পেতে পারেন।"
কাউন্সিলিং সেন্টারে কাউন্সিলিং সাইকোলজিস্ট নিয়োগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "কতজন শিক্ষার্থী সেবা নেয়, কিভাবে কি করতে হবে এসব তথ্য নেয়া হচ্ছে। আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিব।"