ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণার দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির মুখে সোমবার (১৬ জুন) কমিশন ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
রবিবার (১৫ জুন) বিকেলে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, “আগামীকাল (সোমবার) বিকালে সিন্ডিকেট সভা রয়েছে। সেখানে আমরা ডাকসুর নির্বাচন কমিশন গঠন করে অনুমোদনের চেষ্টা করব। কমিশন গঠন হলে পরবর্তী সকল আনুষ্ঠানিকতা সেই কমিশনের অধীনেই পরিচালিত হবে।”
রবিবার দুপুর থেকেই একদল শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। তারা ‘ডাকসু আমার অধিকার’, ‘নারী শিক্ষার্থীদের হল বৃদ্ধি ডাকসুর অন্যতম ইশতেহার’—এমন নানা স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান নেন।
‘শিক্ষার্থীবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং কিছু গোষ্ঠী নানা অজুহাত তুলে ডাকসু নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা করছে। অথচ, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় নির্বাচিত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক দুর্বলতা, ছাত্রকল্যাণ, হল সংকট, যৌক্তিক সুযোগ-সুবিধা—এসব সংকট দূরীকরণে কার্যকর ভূমিকা রাখে ডাকসু। সুতরাং নির্বাচন বিলম্ব না করে অবিলম্বে কমিশন গঠন করে তফসিল ঘোষণা করতে হবে।”
শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন হয়েছে ৩৭ বার। তার মধ্যে স্বাধীনতার পর গত ৫৩ বছরে মাত্র ৮ বার। সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালে। সে নির্বাচিত সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই, ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে শিক্ষার্থীদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনার কথা জানায়। পরে ১৫ এপ্রিল ডাকসু নির্বাচনের একটি ‘পথনকশা’ ঘোষণা করা হয়, যেখানে মে মাসের মধ্যে প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তফসিল ঘোষণা করা হয়নি।
২২ মে ডাকসু নির্বাচন দাবিতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেন। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা ও প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ ২ জুনের মধ্যে কমিশন গঠনের আশ্বাস দিলে অনশন ভাঙেন তারা। তবে সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ীও কমিশন গঠিত হয়নি।
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণার দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির মুখে সোমবার (১৬ জুন) কমিশন ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
রবিবার (১৫ জুন) বিকেলে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, “আগামীকাল (সোমবার) বিকালে সিন্ডিকেট সভা রয়েছে। সেখানে আমরা ডাকসুর নির্বাচন কমিশন গঠন করে অনুমোদনের চেষ্টা করব। কমিশন গঠন হলে পরবর্তী সকল আনুষ্ঠানিকতা সেই কমিশনের অধীনেই পরিচালিত হবে।”
রবিবার দুপুর থেকেই একদল শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। তারা ‘ডাকসু আমার অধিকার’, ‘নারী শিক্ষার্থীদের হল বৃদ্ধি ডাকসুর অন্যতম ইশতেহার’—এমন নানা স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান নেন।
‘শিক্ষার্থীবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং কিছু গোষ্ঠী নানা অজুহাত তুলে ডাকসু নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা করছে। অথচ, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় নির্বাচিত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক দুর্বলতা, ছাত্রকল্যাণ, হল সংকট, যৌক্তিক সুযোগ-সুবিধা—এসব সংকট দূরীকরণে কার্যকর ভূমিকা রাখে ডাকসু। সুতরাং নির্বাচন বিলম্ব না করে অবিলম্বে কমিশন গঠন করে তফসিল ঘোষণা করতে হবে।”
শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন হয়েছে ৩৭ বার। তার মধ্যে স্বাধীনতার পর গত ৫৩ বছরে মাত্র ৮ বার। সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালে। সে নির্বাচিত সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই, ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে শিক্ষার্থীদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনার কথা জানায়। পরে ১৫ এপ্রিল ডাকসু নির্বাচনের একটি ‘পথনকশা’ ঘোষণা করা হয়, যেখানে মে মাসের মধ্যে প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তফসিল ঘোষণা করা হয়নি।
২২ মে ডাকসু নির্বাচন দাবিতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেন। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা ও প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ ২ জুনের মধ্যে কমিশন গঠনের আশ্বাস দিলে অনশন ভাঙেন তারা। তবে সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ীও কমিশন গঠিত হয়নি।