গবেষণায় ও সংস্কৃতিক ভিত্তি একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উপাদান। এই দুই খাতে যদি উন্নয়ন না হয় তাতো উচ্চশিক্ষা কেন্দ্র হবে না। গবেষণা ও সংস্কৃতি দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশ বিদেশের কাছে পরিচয় করাবো। আমি যদি ব্যর্থ হই তাহলে বিদায় নিবো।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এসব মন্তব্য করেন।
সেশনজট নিরসন ও পরীক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে সেশনজট তৈরি হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষে যারা আছে তাদের আগে পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা আছে। যাতে তারা পাশ করে দ্রুত চলে যেতে পারে এবং চাকরি করতে পারে। যোগদানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন ও বিভাগের চেয়ারম্যানদের সাথে আলোচনা করে পরীক্ষা ও সেশনজট নিরসনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। খুব দ্রুত সময়েই এই সংকট নিরসন করে ফেলবো বলে আমি আশা রাখি।
এসময় তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণা খাত দিয়ে দেশে-বিদেশে একটি মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে তুলে ধরবো। এখানে যাতে সংস্কৃতি, শিক্ষা ও গবেষণার মান যাতে বৃদ্ধি পায় সেগুলো নিয়ে কাজ করার চেষ্টা থাকবে। আমি ইউজিসির গবেষণা কমিটিতে ছিলাম। তখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো প্রজেক্ট দেখিনি। প্রজেক্ট না আসলে বাজেট দেয়া সম্ভব না। গবেষণা নিয়ে আমার বৃহৎ পরিকল্পনা আছে।
দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেরানীগঞ্জ ক্যাম্পাস নিয়ে আমার পরিকল্পনা রয়েছে এবং কিভাবে দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নিবো।
উল্লেখ্য, বুধবার (১লা জুন) চার বছরের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডীন ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ. কে. এম. সিরাজুল ইসলাম খান। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক আবু হোসেন সিদ্দিক দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে একবছর দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদকে তৃতীয় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ওই বছরের ১৯ মার্চ অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানকে চার বছরের জন্য চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। প্রথম মেয়াদ শেষে ২০১৭ সালে তাকে পুনরায় দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বুধবার, ০২ জুন ২০২১
গবেষণায় ও সংস্কৃতিক ভিত্তি একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উপাদান। এই দুই খাতে যদি উন্নয়ন না হয় তাতো উচ্চশিক্ষা কেন্দ্র হবে না। গবেষণা ও সংস্কৃতি দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশ বিদেশের কাছে পরিচয় করাবো। আমি যদি ব্যর্থ হই তাহলে বিদায় নিবো।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এসব মন্তব্য করেন।
সেশনজট নিরসন ও পরীক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে সেশনজট তৈরি হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষে যারা আছে তাদের আগে পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা আছে। যাতে তারা পাশ করে দ্রুত চলে যেতে পারে এবং চাকরি করতে পারে। যোগদানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন ও বিভাগের চেয়ারম্যানদের সাথে আলোচনা করে পরীক্ষা ও সেশনজট নিরসনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। খুব দ্রুত সময়েই এই সংকট নিরসন করে ফেলবো বলে আমি আশা রাখি।
এসময় তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণা খাত দিয়ে দেশে-বিদেশে একটি মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে তুলে ধরবো। এখানে যাতে সংস্কৃতি, শিক্ষা ও গবেষণার মান যাতে বৃদ্ধি পায় সেগুলো নিয়ে কাজ করার চেষ্টা থাকবে। আমি ইউজিসির গবেষণা কমিটিতে ছিলাম। তখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো প্রজেক্ট দেখিনি। প্রজেক্ট না আসলে বাজেট দেয়া সম্ভব না। গবেষণা নিয়ে আমার বৃহৎ পরিকল্পনা আছে।
দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেরানীগঞ্জ ক্যাম্পাস নিয়ে আমার পরিকল্পনা রয়েছে এবং কিভাবে দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নিবো।
উল্লেখ্য, বুধবার (১লা জুন) চার বছরের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডীন ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ. কে. এম. সিরাজুল ইসলাম খান। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক আবু হোসেন সিদ্দিক দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে একবছর দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদকে তৃতীয় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ওই বছরের ১৯ মার্চ অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানকে চার বছরের জন্য চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। প্রথম মেয়াদ শেষে ২০১৭ সালে তাকে পুনরায় দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়।