ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে গ্রেফতার ও কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় নিন্দা ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। একইসঙ্গে এ ঘটনায় ঢাবি শিক্ষক সমিতির নীরবতা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন সাদা দলের শিক্ষকরা।
আজ সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অধ্যাপক তাজমেরীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা ও তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এই প্রশ্ন তুলেন শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম। এই কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান।
এসময় অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান বলেন, এমন একজন মানুষের জন্য আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি যিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সারাজীবন অবদান রেখে গেছেন। আমরা তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এটি এক ধরনের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। কারণ তিনি লেখালেখি ছাড়া রাজনৈতিক কাজে তেমন একটা অংশ নিতেন না। কিন্তু এরপরও তাকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তার একটাই দোষ, আর তা হলো তিনি জাতীয়তাবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী। আমরা মনে করি এই প্রতিহিংসার ফলাফল কখনো ভালো হবে না। কারণ শহীদ জিয়াকে আপনারা যেভাবে চেপে ধরেছেন, তার পদক বাতিল করছেন, তাকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা করছেন এসব করে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে শহীদ জিয়াকে মুছে ফেলা যাবে না। শহীদ জিয়াকে নিশ্চিহ্ন করে দিবেন, বাংলাদেশের প্রতিটি জাতীয়তাবাদী পরিবারের ছেলেরা উঠে দাঁড়াবে।
তার গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, ড. তাজমেরী ইসলাম শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খ্যাতিমান ও সফল শিক্ষকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন শিক্ষক নেতা। তিনি একজন রসায়নবিদ হিসেবে কেবল দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সমানভাবে সমাদৃত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিজ্ঞান অনুষদের একাধিক মেয়াদে নির্বাচিত ডিন, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবেও সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এমন একজন কৃতি শিক্ষাবিদকে একটা মিথ্যা গায়েবি মামলায় গ্রেফতার করে জালিম সরকার কারাগারে নিক্ষেপ করেছে।ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, অধ্যাপক তাজমেরী একজন শিক্ষক ছিলেন, সত্যিকারের শিক্ষক। ওয়ান ইলেভেনের সময় জাতি যখন দিশেহারা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষককে যখন ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাজমেরী ইসলাম। আজকে কোনো সমীকরণেই আসে না যে তিনি বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করতে পারেন। তিনি জামিনের আবেদন করেছেন কিন্তু তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। তারা উপর মহলের আদেশের অপেক্ষায় আছে।
ঢাবি শিক্ষক সমিতির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তিনি আরও বলেন, আজকে শিক্ষক সমিতি এ ব্যাপারে নীরব। তারা মনে করছেন তাদের কাছে এখন আলো আছে। কিন্তু কখন যে এ আলো নিভে যাবে তা তারা জানে না।
রোকেয়া হলের সাবেক প্রভোস্ট ও প্রাণ রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. লাইলা নুর ইসলাম বলেন, এটা শুধু তাজিমেরীর অপমান নয়, এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই অপমান। তিনি যদি সত্যিই নাশকতামূলক কোনো কাজে জড়িত থাকতেন তাহলে এতদিন যে তাকে বিভিন্ন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তখন কেন এগুলা বিবেচনা করা হয়নি! যে প্রতিষ্ঠানের জন্য তিনি এত কিছু করলেন আজকে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি চুপ। আমরা আশা করছি যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার জামিনের ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন এবং শিক্ষক সমিতিও কাজ করবে।
সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে গ্রেফতার ও কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় নিন্দা ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। একইসঙ্গে এ ঘটনায় ঢাবি শিক্ষক সমিতির নীরবতা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন সাদা দলের শিক্ষকরা।
আজ সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অধ্যাপক তাজমেরীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা ও তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এই প্রশ্ন তুলেন শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম। এই কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান।
এসময় অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান বলেন, এমন একজন মানুষের জন্য আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি যিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সারাজীবন অবদান রেখে গেছেন। আমরা তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এটি এক ধরনের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। কারণ তিনি লেখালেখি ছাড়া রাজনৈতিক কাজে তেমন একটা অংশ নিতেন না। কিন্তু এরপরও তাকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তার একটাই দোষ, আর তা হলো তিনি জাতীয়তাবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী। আমরা মনে করি এই প্রতিহিংসার ফলাফল কখনো ভালো হবে না। কারণ শহীদ জিয়াকে আপনারা যেভাবে চেপে ধরেছেন, তার পদক বাতিল করছেন, তাকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা করছেন এসব করে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে শহীদ জিয়াকে মুছে ফেলা যাবে না। শহীদ জিয়াকে নিশ্চিহ্ন করে দিবেন, বাংলাদেশের প্রতিটি জাতীয়তাবাদী পরিবারের ছেলেরা উঠে দাঁড়াবে।
তার গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, ড. তাজমেরী ইসলাম শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খ্যাতিমান ও সফল শিক্ষকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন শিক্ষক নেতা। তিনি একজন রসায়নবিদ হিসেবে কেবল দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সমানভাবে সমাদৃত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিজ্ঞান অনুষদের একাধিক মেয়াদে নির্বাচিত ডিন, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবেও সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এমন একজন কৃতি শিক্ষাবিদকে একটা মিথ্যা গায়েবি মামলায় গ্রেফতার করে জালিম সরকার কারাগারে নিক্ষেপ করেছে।ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, অধ্যাপক তাজমেরী একজন শিক্ষক ছিলেন, সত্যিকারের শিক্ষক। ওয়ান ইলেভেনের সময় জাতি যখন দিশেহারা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষককে যখন ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাজমেরী ইসলাম। আজকে কোনো সমীকরণেই আসে না যে তিনি বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করতে পারেন। তিনি জামিনের আবেদন করেছেন কিন্তু তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। তারা উপর মহলের আদেশের অপেক্ষায় আছে।
ঢাবি শিক্ষক সমিতির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তিনি আরও বলেন, আজকে শিক্ষক সমিতি এ ব্যাপারে নীরব। তারা মনে করছেন তাদের কাছে এখন আলো আছে। কিন্তু কখন যে এ আলো নিভে যাবে তা তারা জানে না।
রোকেয়া হলের সাবেক প্রভোস্ট ও প্রাণ রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. লাইলা নুর ইসলাম বলেন, এটা শুধু তাজিমেরীর অপমান নয়, এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই অপমান। তিনি যদি সত্যিই নাশকতামূলক কোনো কাজে জড়িত থাকতেন তাহলে এতদিন যে তাকে বিভিন্ন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তখন কেন এগুলা বিবেচনা করা হয়নি! যে প্রতিষ্ঠানের জন্য তিনি এত কিছু করলেন আজকে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি চুপ। আমরা আশা করছি যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার জামিনের ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন এবং শিক্ষক সমিতিও কাজ করবে।