শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ গার্মেন্টস ব্যবসায়ে লস খেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় নেমেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড রুশাদ ফরিদী। তিনি বলেন, ‘উপাচার্য কোনো সময়েই শিক্ষক ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ে লস খেয়ে তিনি ভাবলেন বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসা লাভজনক হবে। তারপর অর্থনীতি বিভাগের অ্যালামনাইকে হাত করে ধীরে ধীরে তার উত্থান’।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং তাদের ন্যায্য দাবির সমর্থনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’ কর্তৃক আয়োজিত এক প্রতীকী অনশন কর্মসূচি থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
‘শিক্ষার্থীদের তাজা প্রাণের বিনিময়ে উপাচার্যের গদি রক্ষা নয়’ স্লোগানে সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ অনশন কর্মসূচি শুরু হয়।
রুশাদ ফরিদী আরো বলেন, ‘উল্কার মত উত্থান হয়েছে উপাচার্য ফরিদের। স্বার্থ হাসিলের জন্য এমন কোনো নীতি নাই যার সাথে তিনি আপোষ করতে পারেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি কয়েক দফায় ডিন এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। আমরাই তাকে উপাচার্য পর্যন্ত পোঁছে দিয়েছি। আমাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই এই দানব তৈরী হয়েছে। তাই এর দায় আমরাও এড়াতে পারি না’।
প্রতীকী অনশনে আরো অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দীন খান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড মো. কামরুল হাসান মামুন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোসাহিদা সুলতানা রিতু, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজলি শেহরীন ইসলাম, ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ প্রমুখ।
ড. তানজিম উদ্দিন খান বলেন, যে পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, সেটাই আসলে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকটের মূল কারণ। এখানে আসলে তার একাডেমিক যোগ্যতার চেয়ে, গবেষণার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় তার মেরুদণ্ড কত নরম। নরম মেরুদণ্ডের শিক্ষককে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সঙ্গত কারণে তারা অমানবিক, বিবেকহীন হোন। এই যে ক্ষমতার সঙ্গে তাদের যে সখ্যতা তৈরি হয়, এরমধ্য দিয়ে উপাচার্য আর উপাচার্য থাকেন না। তারা সরকারের একটি বিস্তৃত অংশ হয়ে দাঁড়ায়।
সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ গার্মেন্টস ব্যবসায়ে লস খেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় নেমেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড রুশাদ ফরিদী। তিনি বলেন, ‘উপাচার্য কোনো সময়েই শিক্ষক ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ে লস খেয়ে তিনি ভাবলেন বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসা লাভজনক হবে। তারপর অর্থনীতি বিভাগের অ্যালামনাইকে হাত করে ধীরে ধীরে তার উত্থান’।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং তাদের ন্যায্য দাবির সমর্থনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’ কর্তৃক আয়োজিত এক প্রতীকী অনশন কর্মসূচি থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
‘শিক্ষার্থীদের তাজা প্রাণের বিনিময়ে উপাচার্যের গদি রক্ষা নয়’ স্লোগানে সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ অনশন কর্মসূচি শুরু হয়।
রুশাদ ফরিদী আরো বলেন, ‘উল্কার মত উত্থান হয়েছে উপাচার্য ফরিদের। স্বার্থ হাসিলের জন্য এমন কোনো নীতি নাই যার সাথে তিনি আপোষ করতে পারেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি কয়েক দফায় ডিন এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। আমরাই তাকে উপাচার্য পর্যন্ত পোঁছে দিয়েছি। আমাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই এই দানব তৈরী হয়েছে। তাই এর দায় আমরাও এড়াতে পারি না’।
প্রতীকী অনশনে আরো অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দীন খান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড মো. কামরুল হাসান মামুন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোসাহিদা সুলতানা রিতু, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজলি শেহরীন ইসলাম, ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ প্রমুখ।
ড. তানজিম উদ্দিন খান বলেন, যে পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, সেটাই আসলে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকটের মূল কারণ। এখানে আসলে তার একাডেমিক যোগ্যতার চেয়ে, গবেষণার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় তার মেরুদণ্ড কত নরম। নরম মেরুদণ্ডের শিক্ষককে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সঙ্গত কারণে তারা অমানবিক, বিবেকহীন হোন। এই যে ক্ষমতার সঙ্গে তাদের যে সখ্যতা তৈরি হয়, এরমধ্য দিয়ে উপাচার্য আর উপাচার্য থাকেন না। তারা সরকারের একটি বিস্তৃত অংশ হয়ে দাঁড়ায়।