দুই অধ্যাপককে অব্যাহতির সুপারিশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ইচ্ছাকৃতভাবে পরীক্ষার খাতায় নম্বর কম দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় দুই অধ্যাপককে পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে তিন বছরের জন্য অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত দুই অধ্যাপক হচ্ছেন ওই বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন এবং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুস সবুর খান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত দুই অধ্যাপকের তৈরি করা ফলাফলে অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছিল ২০১৮ সালে। ওই সময় ফলাফলে অনাস্থা এনে ফল পুন:নীরিক্ষণের দাবি জানায় বিভাগের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। পরে অভিযোগ আমলে নিয়ে পুন:নীরিক্ষিত ফলাফলে ১১ শিক্ষার্থীর চারটি কোর্সের ৩২ স্থানে প্রাপ্ত নম্বরের কমবেশি করার প্রমাণ মেলে। পূর্ব থেকে জমে থাকা কোনো ক্ষোভ ও মনোমালিণ্য থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফলাফলে অসঙ্গতি হয়েছে বলে তখন অভিযোগ উঠেছিলো।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন(ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় তিন বছরের জন্য দুই অধ্যাপককে পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে।
পরবর্তীতে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে কলা অনুষদের বর্তমান ডিন অধ্যাপক আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিও তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় পুনরায় উপাচার্যের নিকট তিন বছরের জন্য দুই শিক্ষককে পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আসলে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হয়। এর আগে এমন অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের চাকরিচ্যুতির দৃষ্টান্তও রয়েছে।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন এ বিষয়ে সংবাদকে বলেন, "এ বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি এ পরীক্ষা কমিটির সভাপতিও ছিলাম না"।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবকিছু নিয়ম-নীতির মধ্য দিয়ে হয়। যখন যে ফোরামে দরকার তখন সেখানে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
দুই অধ্যাপককে অব্যাহতির সুপারিশ
মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ইচ্ছাকৃতভাবে পরীক্ষার খাতায় নম্বর কম দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় দুই অধ্যাপককে পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে তিন বছরের জন্য অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত দুই অধ্যাপক হচ্ছেন ওই বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন এবং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুস সবুর খান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত দুই অধ্যাপকের তৈরি করা ফলাফলে অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছিল ২০১৮ সালে। ওই সময় ফলাফলে অনাস্থা এনে ফল পুন:নীরিক্ষণের দাবি জানায় বিভাগের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। পরে অভিযোগ আমলে নিয়ে পুন:নীরিক্ষিত ফলাফলে ১১ শিক্ষার্থীর চারটি কোর্সের ৩২ স্থানে প্রাপ্ত নম্বরের কমবেশি করার প্রমাণ মেলে। পূর্ব থেকে জমে থাকা কোনো ক্ষোভ ও মনোমালিণ্য থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফলাফলে অসঙ্গতি হয়েছে বলে তখন অভিযোগ উঠেছিলো।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন(ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় তিন বছরের জন্য দুই অধ্যাপককে পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে।
পরবর্তীতে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে কলা অনুষদের বর্তমান ডিন অধ্যাপক আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিও তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় পুনরায় উপাচার্যের নিকট তিন বছরের জন্য দুই শিক্ষককে পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আসলে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হয়। এর আগে এমন অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের চাকরিচ্যুতির দৃষ্টান্তও রয়েছে।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন এ বিষয়ে সংবাদকে বলেন, "এ বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি এ পরীক্ষা কমিটির সভাপতিও ছিলাম না"।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবকিছু নিয়ম-নীতির মধ্য দিয়ে হয়। যখন যে ফোরামে দরকার তখন সেখানে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"