আন্দোলনে সহযেগিতার অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের গ্রেফতারের নিন্দা ও অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়দীপ ভট্টাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, “শাবিপ্রবি’র আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সাহায্য করার অভিযোগে শাবিপ্রবি’র প্রাক্তণ ৫ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তাদেরকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানাই।”
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে আরোও বলেন “আন্দোলনকারীরা দিনরাত এক করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করছে। ডাইনিং, কেন্টিন, ক্যাফেটেরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বন্ধ করে রেখেছে। ক্যাম্পাসের আশপাশের খাবার স্থানগুলিও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী খুলতে দিচ্ছে না। অনশনরত শিক্ষার্থী ব্যতীত বাকিরা নিজেরাই খোলা জায়গায় রান্না করে খাচ্ছে। তীব্র শীতে অবস্থানকারীদের জন্য ছাদ বা তাবু বানাতে হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। এর জন্য অর্থ সহযোগিতা করছেন প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা। আর এই অপরাধে প্রাক্তন ৫ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। এটি ছাত্রদের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের কাজে আইন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যথেচ্ছা ব্যবহারের আরেকটি নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করলো। এর আগে শিক্ষার্থীরা যে মোবাইল একাউন্টগুলোর মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করছিলেন তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে দমন করার জন্য সরকার সবদিক থেকে সংগঠিত হয়ে আক্রমণ করছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফোন করে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এরপরও ছাত্রছাত্রীরা লড়ে যাচ্ছেন। আমরা দ্রুত অনশনরতদের জন্য চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি। একজন অনৈতিক, অন্যায়কারী উপাচার্যকে রক্ষা করার জন্য গোটা রাষ্ট্র ঝাঁপিয়ে পড়েছে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর- এ এক নজিরবিহীন ঘটনা।”
নেতৃবৃন্দ ছাত্রছাত্রীদের এই ভয়াবহ প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অদম্য সাহস ও মনোবলকে অভিনন্দন জানায় এবং উপাচার্যকে অবিলম্বে অপসারনের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানায়। একইসাথে দেশের সকল বিবেকবান সচেতন নাগরিককে শাবিপ্রবি’র শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো আহ্বান জানায়।
মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২
আন্দোলনে সহযেগিতার অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের গ্রেফতারের নিন্দা ও অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়দীপ ভট্টাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, “শাবিপ্রবি’র আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সাহায্য করার অভিযোগে শাবিপ্রবি’র প্রাক্তণ ৫ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তাদেরকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানাই।”
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে আরোও বলেন “আন্দোলনকারীরা দিনরাত এক করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করছে। ডাইনিং, কেন্টিন, ক্যাফেটেরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বন্ধ করে রেখেছে। ক্যাম্পাসের আশপাশের খাবার স্থানগুলিও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী খুলতে দিচ্ছে না। অনশনরত শিক্ষার্থী ব্যতীত বাকিরা নিজেরাই খোলা জায়গায় রান্না করে খাচ্ছে। তীব্র শীতে অবস্থানকারীদের জন্য ছাদ বা তাবু বানাতে হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। এর জন্য অর্থ সহযোগিতা করছেন প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা। আর এই অপরাধে প্রাক্তন ৫ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। এটি ছাত্রদের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের কাজে আইন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যথেচ্ছা ব্যবহারের আরেকটি নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করলো। এর আগে শিক্ষার্থীরা যে মোবাইল একাউন্টগুলোর মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করছিলেন তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে দমন করার জন্য সরকার সবদিক থেকে সংগঠিত হয়ে আক্রমণ করছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফোন করে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এরপরও ছাত্রছাত্রীরা লড়ে যাচ্ছেন। আমরা দ্রুত অনশনরতদের জন্য চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি। একজন অনৈতিক, অন্যায়কারী উপাচার্যকে রক্ষা করার জন্য গোটা রাষ্ট্র ঝাঁপিয়ে পড়েছে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর- এ এক নজিরবিহীন ঘটনা।”
নেতৃবৃন্দ ছাত্রছাত্রীদের এই ভয়াবহ প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অদম্য সাহস ও মনোবলকে অভিনন্দন জানায় এবং উপাচার্যকে অবিলম্বে অপসারনের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানায়। একইসাথে দেশের সকল বিবেকবান সচেতন নাগরিককে শাবিপ্রবি’র শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো আহ্বান জানায়।