ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের মো. আকতারুল ইসলাম নামক ২০-২১ সেশনের এক অসুস্থ শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করে হাসাপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। গতকাল রাত নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান রাজু, মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় আহমেদ কাজল, সমাজ কল্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়ামিন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম, লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম রোহান।
তারা সবাই ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী এবং হল শাখা ছাত্রলীগে পদপ্রত্যাশী আবু ইউনুস ও রবিউল ইসলাম রানার অনুসারী। তাঁরা দুজনেই ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী।
জানা যায় ভুক্তভোগী মো.আকতারুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাবা হার্ট অ্যাটাক করায় মানসিক ভাবে ছিল বিধ্বস্ত। এছাড়াও সকাল থেকেই সে অসুস্থ ছিল বলে জানা যায়। এমন পরিস্থিতিতে তাকে গেস্টরুমে বৈদ্যুতিক বাল্বের দিকে ১ ঘন্টা তাকিয়ে থাকতে বলা হয়। ১০ মিনিট তাকানোর পর আকতার অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং এ ঘটনায় তাকে ইসিজি করানো হয়।
বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিতে গেলে কোনো কথা বলতে রাজি হননি আকতার। তিনি বলেন, ভাইয়েরা শুধু হালকা গালিগালাজ করেছিল। এমনকি হাসপাতালে যাওয়ার বিষয়টিও স্বীকার করতে চাননি আকতার। কিন্তু তার পকেট থেকে পাওয়া ইসিজি রিপোর্ট থেকেই জানা যায় তাকে নির্যাতন করা হয়েছিল। যে কারণে তাকে ইসিজি করতে হয়েছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ভুক্তভোগী আকতারের বন্ধুদের আগে থেকেই বলে দেওয়া হয়েছে কাউকে কিছু না বলতে। আকতার এখন একটা মানসিক ট্রমার মধ্যে আছে। সে ভয় পাচ্ছে যে গণমাধ্যমে ঘটনার বর্ণনা দিলে তাকে হলে থাকতে দেওয়া হয় কিনা।
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের আসন্ন হল কমিটির পদপ্রত্যাশী আবু ইউনুছ এবং রবিউল ইসলাম রানাকে মুঠোফোনে একাধিক বার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির বলেন, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-নীতি বহির্ভূত কাজ। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের মো. আকতারুল ইসলাম নামক ২০-২১ সেশনের এক অসুস্থ শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করে হাসাপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। গতকাল রাত নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান রাজু, মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় আহমেদ কাজল, সমাজ কল্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়ামিন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম, লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম রোহান।
তারা সবাই ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী এবং হল শাখা ছাত্রলীগে পদপ্রত্যাশী আবু ইউনুস ও রবিউল ইসলাম রানার অনুসারী। তাঁরা দুজনেই ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী।
জানা যায় ভুক্তভোগী মো.আকতারুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাবা হার্ট অ্যাটাক করায় মানসিক ভাবে ছিল বিধ্বস্ত। এছাড়াও সকাল থেকেই সে অসুস্থ ছিল বলে জানা যায়। এমন পরিস্থিতিতে তাকে গেস্টরুমে বৈদ্যুতিক বাল্বের দিকে ১ ঘন্টা তাকিয়ে থাকতে বলা হয়। ১০ মিনিট তাকানোর পর আকতার অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং এ ঘটনায় তাকে ইসিজি করানো হয়।
বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিতে গেলে কোনো কথা বলতে রাজি হননি আকতার। তিনি বলেন, ভাইয়েরা শুধু হালকা গালিগালাজ করেছিল। এমনকি হাসপাতালে যাওয়ার বিষয়টিও স্বীকার করতে চাননি আকতার। কিন্তু তার পকেট থেকে পাওয়া ইসিজি রিপোর্ট থেকেই জানা যায় তাকে নির্যাতন করা হয়েছিল। যে কারণে তাকে ইসিজি করতে হয়েছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ভুক্তভোগী আকতারের বন্ধুদের আগে থেকেই বলে দেওয়া হয়েছে কাউকে কিছু না বলতে। আকতার এখন একটা মানসিক ট্রমার মধ্যে আছে। সে ভয় পাচ্ছে যে গণমাধ্যমে ঘটনার বর্ণনা দিলে তাকে হলে থাকতে দেওয়া হয় কিনা।
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের আসন্ন হল কমিটির পদপ্রত্যাশী আবু ইউনুছ এবং রবিউল ইসলাম রানাকে মুঠোফোনে একাধিক বার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির বলেন, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-নীতি বহির্ভূত কাজ। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।